অনলাইন
দেশের বিজ্ঞানীরা প্রথম বার্ড ফ্লু রোগের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করলেন
স্টাফ রিপোর্টার
১৩ জুন ২০২১, রবিবার, ৫:২৭ অপরাহ্ন
দেশে এই প্রথম বার্ড ফ্লু রোগের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছে এফএনএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ইতিমধ্যে এই ভ্যাকসিনের অনুমোদনও দিয়েছে বলে জানিয়েছেন এফএনএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মখলেছুল ইসলাম। আজ রোববার প্রতিষ্ঠানটির রাজধানীর নিউ ইস্কাটনস্থ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান তিনি।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরও জানান, তিন বছর চেষ্টা করে ড. মো. আলিমুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল গবেষক বার্ড ফ্লু রোগের এই টিকা আবিষ্কার করেন। এই টিকার কার্যকর ৯৪ শতাংশ। মুরগিকে ৩টি ডোজ ভ্যাকসিন দিতে হবে। মুরগি বয়স ৭ থেকে ১৪ দিনেন মধ্যে প্রথম ডোজ, ২১ থেকে ২৮ দিনের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ এবং ৬ মাস পর তৃতীয় ডোজ দিলে এক বছর রক্ষা পাবে বার্ড ফ্লু থেকে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ভ্যাকসিন উৎপাদন শুরু করেছি। এ মাসের শেষ নাগাদ প্রায় এক কোটি ভ্যাকসিন বাজারে আনার প্রক্রিয়া চলছে। বছরে ১২ কোটি ভ্যাকসিন উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে তাদের। তবে বাজার চাহিদা রয়েছে ৩০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিনের। বার্ড ফ্লু রোগ প্রতিরোধে মুরগিকে তিন থেকে চার ডোজ ভ্যাকসিন দিতে হয়। আগে বিদেশ থেকে আসা ভ্যাকসিনের দাম প্রতি ডোজ খুচরা পর্যায়ে ৬ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত পড়তো। কিন্তু এখন আমাদের গবেষণাগারে উৎপাদিত ভ্যাকসিন সাড়ে ৫ টাকা দরে ক্রেতারা কিনতে পারবেন। এতে মুরগির মৃত্যুহার কমে যাওয়ায় খামারিরা উপকৃত হবেন। একই সঙ্গে উৎপাদন খরচ কমে যাওয়ায় ক্রেতারাও কম দামে মুরগি কিনতে পারবেন। যা পোল্ট্রি শিল্পের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করি। তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্পে বার্ড ফ্লু একটি মারাত্মক রোগ। গত কয়েক বছর এ রোগের কারণে সর্বস্বান্ত হয়েছে হাজার হাজার পোল্ট্রি খামারি। বর্তমানে বাংলাদেশে বার্ড ফ্লু রোগের দু’টি সাবটাইপ এইচ৫এন১ ও এইচ৯এন২ দ্বারা রোগ সৃষ্টি করে ছোট বড় সব ধরনের খামারের ক্ষতিসাধন করছে। পোল্ট্রি শিল্পে ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট অন্যান্য রোগের পাশাপাশি বার্ড ফ্লু রোগ পোল্ট্রি শিল্পকে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। এত দিন ভারত, চীনসহ কয়েকটি দেশের উৎপাদিত ভ্যাকসিন দিয়ে খামারিরা বার্ড ফ্লু রোগটি প্রতিরোধের চেষ্টা করে আসছিলেন। এতে সময়মতো ভ্যাকসিন পাওয়া নিয়ে যেমন অনিশ্চয়তা ছিল, তেমনি দামও ছিল বেশি। এ অবস্থায় পোল্ট্রি শিল্পের উন্নয়নে এগিয়ে আসে এফএনএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। ইতঃপূর্বে মুরগির রানীক্ষেতসহ গবাদিপশুর রোগ প্রতিরোধে ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে প্রতিষ্ঠানটি সুনাম কুড়িয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সাল থেকে ড. মো. আলিমুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল গবেষক বার্ড ফ্লু রোগের টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা করেন। এ দলে রয়েছেন ড. কোহিনূর পারভীন, ড. মোস্তফা কামাল ও ড. আয়নুল হক। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর ২০২০ সালে স্থানীয়ভাবে পৃথকীকৃত ভাইরাস দিয়ে পোল্ট্রি শিল্পের জন্য মারাত্মক এ রোগ প্রতিরোধে কার্যকর বার্ড ফ্লু ভ্যাকসিন তৈরি করতে সক্ষম হন তারা। এরপর মাঠ পর্যায়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সহ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের প্রয়োজনীয় সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বাংলা বার্ড ফ্লু এইচ ৯ ভ্যাক নামে ভ্যাকসিনটি বাজারজাত করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, আমাদের প্রতিষ্ঠানটির বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন সক্ষমতা দেখার জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞদল ঝিনাইদহের কারখানা পরিদর্শন করেন। এরপর আমাদেরকে বার্ড ফ্লু রোগের ভ্যাকসিন উৎপাদনের প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা থাকায় এ ভ্যাকসিনের উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি দিয়েছেন। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আগামী বছরে তারা দেশে করোনার টিকাও তৈরি করতে পারবেন। এখন থেকে দেশে বার্ড ফ্লুর মতো রোগ প্রতিরোধ সহজ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা। ড. মো. আলিমুল ইসলামের মতে, এ ভ্যাকসিন দেশে পোল্ট্রি শিল্পের জন্য একটি যুগান্তকারী উদ্ভাবন।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরও জানান, তিন বছর চেষ্টা করে ড. মো. আলিমুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল গবেষক বার্ড ফ্লু রোগের এই টিকা আবিষ্কার করেন। এই টিকার কার্যকর ৯৪ শতাংশ। মুরগিকে ৩টি ডোজ ভ্যাকসিন দিতে হবে। মুরগি বয়স ৭ থেকে ১৪ দিনেন মধ্যে প্রথম ডোজ, ২১ থেকে ২৮ দিনের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ এবং ৬ মাস পর তৃতীয় ডোজ দিলে এক বছর রক্ষা পাবে বার্ড ফ্লু থেকে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ভ্যাকসিন উৎপাদন শুরু করেছি। এ মাসের শেষ নাগাদ প্রায় এক কোটি ভ্যাকসিন বাজারে আনার প্রক্রিয়া চলছে। বছরে ১২ কোটি ভ্যাকসিন উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে তাদের। তবে বাজার চাহিদা রয়েছে ৩০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিনের। বার্ড ফ্লু রোগ প্রতিরোধে মুরগিকে তিন থেকে চার ডোজ ভ্যাকসিন দিতে হয়। আগে বিদেশ থেকে আসা ভ্যাকসিনের দাম প্রতি ডোজ খুচরা পর্যায়ে ৬ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত পড়তো। কিন্তু এখন আমাদের গবেষণাগারে উৎপাদিত ভ্যাকসিন সাড়ে ৫ টাকা দরে ক্রেতারা কিনতে পারবেন। এতে মুরগির মৃত্যুহার কমে যাওয়ায় খামারিরা উপকৃত হবেন। একই সঙ্গে উৎপাদন খরচ কমে যাওয়ায় ক্রেতারাও কম দামে মুরগি কিনতে পারবেন। যা পোল্ট্রি শিল্পের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করি। তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্পে বার্ড ফ্লু একটি মারাত্মক রোগ। গত কয়েক বছর এ রোগের কারণে সর্বস্বান্ত হয়েছে হাজার হাজার পোল্ট্রি খামারি। বর্তমানে বাংলাদেশে বার্ড ফ্লু রোগের দু’টি সাবটাইপ এইচ৫এন১ ও এইচ৯এন২ দ্বারা রোগ সৃষ্টি করে ছোট বড় সব ধরনের খামারের ক্ষতিসাধন করছে। পোল্ট্রি শিল্পে ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট অন্যান্য রোগের পাশাপাশি বার্ড ফ্লু রোগ পোল্ট্রি শিল্পকে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। এত দিন ভারত, চীনসহ কয়েকটি দেশের উৎপাদিত ভ্যাকসিন দিয়ে খামারিরা বার্ড ফ্লু রোগটি প্রতিরোধের চেষ্টা করে আসছিলেন। এতে সময়মতো ভ্যাকসিন পাওয়া নিয়ে যেমন অনিশ্চয়তা ছিল, তেমনি দামও ছিল বেশি। এ অবস্থায় পোল্ট্রি শিল্পের উন্নয়নে এগিয়ে আসে এফএনএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। ইতঃপূর্বে মুরগির রানীক্ষেতসহ গবাদিপশুর রোগ প্রতিরোধে ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে প্রতিষ্ঠানটি সুনাম কুড়িয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সাল থেকে ড. মো. আলিমুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল গবেষক বার্ড ফ্লু রোগের টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা করেন। এ দলে রয়েছেন ড. কোহিনূর পারভীন, ড. মোস্তফা কামাল ও ড. আয়নুল হক। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর ২০২০ সালে স্থানীয়ভাবে পৃথকীকৃত ভাইরাস দিয়ে পোল্ট্রি শিল্পের জন্য মারাত্মক এ রোগ প্রতিরোধে কার্যকর বার্ড ফ্লু ভ্যাকসিন তৈরি করতে সক্ষম হন তারা। এরপর মাঠ পর্যায়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সহ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের প্রয়োজনীয় সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বাংলা বার্ড ফ্লু এইচ ৯ ভ্যাক নামে ভ্যাকসিনটি বাজারজাত করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, আমাদের প্রতিষ্ঠানটির বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন সক্ষমতা দেখার জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞদল ঝিনাইদহের কারখানা পরিদর্শন করেন। এরপর আমাদেরকে বার্ড ফ্লু রোগের ভ্যাকসিন উৎপাদনের প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা থাকায় এ ভ্যাকসিনের উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি দিয়েছেন। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আগামী বছরে তারা দেশে করোনার টিকাও তৈরি করতে পারবেন। এখন থেকে দেশে বার্ড ফ্লুর মতো রোগ প্রতিরোধ সহজ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা। ড. মো. আলিমুল ইসলামের মতে, এ ভ্যাকসিন দেশে পোল্ট্রি শিল্পের জন্য একটি যুগান্তকারী উদ্ভাবন।