দেশ বিদেশ

বিশেষজ্ঞের মত

ব্লাসফেমি আইনে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়ন চালাচ্ছে পাকিস্তান

অনলাইন ডেস্ক

১২ জুন ২০২১, শনিবার, ১১:৫৫ অপরাহ্ন

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠন ও সম্প্রদায়ের সমালোচনা সত্ত্বেও পাকিস্তান ‘ব্লাসফেমি’ আইনের মাধ্যমে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।

দেশটির সাংবাদিক সনিয়া আরিফ বলেন 'সাগুফতা কাওসার ও সাফকাত এমানুয়েলের মামলা উল্লেখ করে পাকিস্তানের ব্লাসফেমি আইন নিয়ে ইউরেপিয়ান পার্লামেন্ট একটি রেজ্যুলেশন পাস করে। এই দুজন টেক্সট মেসেজ পাঠানোয় ব্লাসফেমি আইনে অভিযুক্ত হন। তাদের মৃত্যু দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু তারা কেউই লিখতে বা পড়তে পারেন না।’
তিনি বলেন, ‘ব্লাসফেমি আইনে যে কাউকে অভিযুক্ত করা হতে পারে এবং এই ব্যাপারটি পাকিস্তানের অনেক অধিকারকর্মী দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছেন। এই আইনের ফলে মুসলিম ও অমুসলিম উভয়েই ভুক্তভোগী হয়েছেন। যাইহোক, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর বৈষম্য পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। অনেকের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী খ্রিস্টান সম্প্রদায় এই বৈষম্যের সচারচর ভুক্তভোগী।

অধিকারকর্মীরা বলেন, ‘খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ওপর বৈষম্য নিপীড়ণে পরিণত হয়েছে। অনেক ঘটনা রয়েছে যেখানে ভিত্তিহীন অভিযোগে খ্রিস্টানদেরকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।’ বিশ্লেষক খালেদ আহমেদের বরাত দিয়ে সাংবাদিক সনিয়া আরিফ বলেন, ‘নব্বই শতাংশের বেশি খ্রিস্টান পাঞ্জাবে বাস করেন। ৬০ শতাংশ বাস করেন গ্রামে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে আদিবাসীরা তাদের নির্দিষ্ট অঞ্চলে থাকেন। ধর্মনিন্দা ও কোরআনের অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয় তাদেরকে এবং পরে সংগঠিতভাবে তাদের সম্পদ ধ্বংস করা হয়।’

গত বছর অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছিল, ড্রাকোনিয়ান এই আইনটি জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এবং তা বাতিল করা উচিত। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিবের কার্যালয়ের পরিচালক ডেভিড গ্রিফিথস বলেন, ‘ব্লাসফেমি আইনটি কতটা বিপজ্জনক তার জন্য পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের আর কোনো প্রমাণের দরকার নেই। মিথ্যা অভিযোগে অনেকে অভিযুক্ত হয়েছেন এবং অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়েছে। এর ফলে সমস্ত সম্প্রদায় ভুক্তভোগী হয়েছেন। তাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

সূত্র : ইন্ডিয়া ব্লুমস
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status