প্রথম পাতা

অপেক্ষা বাড়লো জুনে খুলছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

স্টাফ রিপোর্টার

১৩ জুন ২০২১, রবিবার, ৯:৪১ অপরাহ্ন

জুনেও শ্রেণিকক্ষে ফিরতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা। করোনায় আক্রান্তের হার ও সংখ্যা দুটোই বাড়ছে। তাই আবারো বাড়ানো হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি । ১৩ই জুন স্কুল ও কলেজ খোলার ঘোষণা দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সর্বশেষ ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, ১৩ই জুন থেকে আমরা স্কুল-কলেজ খুলে দিচ্ছি। তবে ফের এই ছুটি আরেক দফা বাড়িয়ে ৩০শে জুন পর্যন্ত করা হলো।
গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এ গণমাধ্যমে দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে করোনার বিস্তৃতি আরো বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং কোনো কোনো অঞ্চলে আংশিকভাবে কঠোর লকডাউন কার্যকর থাকায়, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সার্বিক নিরাপত্তার বিবেচনায় এবং কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে পরামর্শক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং এবতেদায়ী ও কওমি মাদ্রাসাসমূহের চলমান ছুটি আগামী ৩০শে জুন ২০২১ তারিখ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
গত বছরের ১৭ই মার্চ থেকে সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। দফায় দফায় বাড়ানো হয়েছে ছুটি।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ায় সব থেকে বেশি দুশ্চিন্তায় রয়েছেন চলতি বছরের এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীরা। শিক্ষা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১লা ফেব্রুয়ারি ও ১লা এপ্রিল হওয়ার কথা ছিল তাদের পরীক্ষা। এসএসসি’র জন্য ৬০ ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ৮০ কর্মদিবসের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কমানো হয়েছে সিলেবাসও। এই শিক্ষার্থীদের ‘অটোপাস’ দেয়া হবে না এই ঘোষণাও দেয়া হয়েছে বারবার।
ইতিমধ্যে এসএসসি ও দাখিলের প্রশ্ন প্রণয়ন ও পরিশোধন শেষে মুদ্রণ কাজও শেষ করেছে বলে জানা যায়। এই পরীক্ষাগুলো অনলাইনে নেয়ার বিষয়ে ভাবছে সরকার। অনলাইনে এই পরীক্ষাগুলো নেয়া যায় কিনা সে ব্যাপারে পরামর্শ চেয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদকে আহ্বায়ক করে কমিটিও গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু এই বিষয়ে মতামত দেননি বিশেষজ্ঞরা। তাদের দাবি, প্রায় ২০ লাখ শিক্ষার্থীর এভাবে অনলাইনে পরীক্ষা নেয়া ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাবে।
অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, ২০-২২ লাখ পরীক্ষার্থীর অনলাইনে পরীক্ষা নেয়াটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। প্রত্যন্ত অঞ্চলে সবার জন্য বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট বা ওয়াইফাই নিশ্চিতের বিষয়টিও ভাবাচ্ছে তাদের। কম্পিউটার বা ল্যাপটপ সবার কাছে নেই। তাই আমরা অনলাইনে পরীক্ষার কথা ভাবতে পারছি না। তবে যখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে তখন ক্লাস করিয়েই তাদের পরীক্ষা নেয়া হবে।
শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা ছাড়া বিকল্প কিছু নেই বলে জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থা কিংবা আইসিটি নির্ভর যে অবকাঠামো আছে তার সর্বোচ্চ ব্যবহার করার চেষ্টা করছি।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status