খেলা
যে কারণে সাকিবের পাশে মোহামেডান
স্পোর্টস রিপোর্টার
১৩ জুন ২০২১, রবিবার, ৯:৩৮ অপরাহ্ন
‘না, উচিত হয়নি সাকিবের এমন আচরণ। এতে আমরা হতাশ, আমাদের জন্য বিব্রতকর।’ মোহামেডান ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুজ্জামানের এমন বক্তব্য একেবারেই ক্রিকেটীয় দৃষ্টিকোণ থেকে। তবে ক্লাব কর্মকর্তা হিসেবে তার মত একেবারেই ভিন্ন। তিনি বলেন, ‘মানছি উচিত হয়নি। কিন্তু দেখতে হবে সে কি পরিস্থিতিতে এমনটা করেছে। বছরের পর বছর ধরে ভিতরে জমে থাকা ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ। আর কতো এইভাবে আম্পায়ারদের স্বেচ্ছাচারিতা সহ্য করবে ক্রিকেটার ও দুর্বল ক্লাবগুলো? কাউকে না কাউকেতো প্রতিবাদ করতে হবে। আমি নিজেও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও ক্রিকেট কমিটি ঢাকা মেট্রোপলিসের (সিসিডিএম) কাছে আন্তরিকভাবে অনুরোধ জানাবো যে তারা যেন আম্পায়ারদের এই পক্ষপাতটা একটু নজরে আনেন। নয়তো দেশের ঘরোয়া ক্রিকেট টিকে থাকবে না। আজ সাকিব এমনটা করেছে, কাল অন্যজন করবে। কতোদিন এই অন্যায় সবাই সহ্য করবে?’ শুক্রবার সাকিবের লাথি আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচে আম্পায়ার সাকিবের আপিলে আউট না দেয়ায় লাথি মারেন স্টাম্পে। শুধু তাই নয়, নিজ হাতে স্টাম্প তুলে উপড়ে ফেলেন। তারপর পর থেকে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।
সাকিবের এমন কাণ্ডের পর গোটা দেশ যেন দুইভাগে ভাগ হয়ে গেছে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ঝড় উঠেছে দারুণভাবে। এক পক্ষের দাবি সাকিব লাথি দিয়ে যে স্টাম্প ভেঙেছে তার দীর্ঘদিন থেকে চলতে থাকা পক্ষপাতপূর্ণ আম্পায়ারিংয়ের বিপক্ষে প্রবাদ। আবার আরেক পক্ষের দাবি এটি কোন ভাবেই ক্রিকেটীয় আচরণ হতে পারে না। সে যে আচরণ করেছে তা পরের প্রজন্মের জন্য ভীষণ বাজে দৃষ্টান্তের হয়ে থাকবে। ভদ্রলোকের খেলা ক্রিকেটে এমন নোংরামি কোনোভাবেই কাম্য নয়। কারণ প্রতিবাদের আরও অনেক ভাষাতো আছে। মোহামেডান ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যানও মনে করেন এমন ধারণা ভুল নয়। তিনি মানেন যে, সাকিবের এমন আরচণে তারা বিব্রত। তবে তারা এই মহাতারকার পাশে থাকার কারণও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘সাকিব ভুল করেছে, ঠিক করেনি এমনটা আমাদের মানতে কোনো অপত্তি নেই। কারণ এটা ক্রিকেটীয় আচরণ নয়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে- মানুষ কেন তার পক্ষে? সবাই কিন্তু ক্রিকেটকে ভালোবাসে। সবাই চায় এদেশের ক্রিকেট উন্নতি করুক। এই দেশের ক্রিকেট ভক্ত থেকে শুরু করে সাধরণ মানুষ এতোদিনে ভালো করে জেনে গেছে ঢাকা প্রিমিয়ার লীগ থেকে শুরু করে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগের ক্রিকেটে আম্পারিংয়ে কতোটা জালিয়াতি হয়। এই অভিযোগ, এই ঘটানা দেশের বেশির ভাগ মানুষই জানেন। তাই সাকিবের অন্যায় করলেও তারা বলছে এটি আসলে এইসব অপকর্মের প্রতিবাদ। সাকিব যা করেছে সাধরণ মানুষ ঠিক মনে করছে কারণ তারা বুঝতে পারবে এতে সাকিব অনেকদিনের অন্যায়ের বিপক্ষে প্রতিবাদ করেছে।’ দেশের ঐহিত্যবাহীই নয়, অন্যতম শক্তিশালী ক্লাবের একটি মোহামেডান ক্লাব। তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী ক্লাব। তবে অভিযোগ এখন বদলে গেছে দিন। দুই ক্লাবের কর্তাদের জন্য এখন আর সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই। তবে ক্লাব ক্রিকেট নিয়ে যতটা অভিযোগ আবাহনীর বিপক্ষে ততোটা মোহামেডানের বিরুদ্ধেও। অভিযোগ রয়েছে- বড় এই দুই ক্লাব মিলেই নষ্ট করেছ দেশের ক্রিকেটের পরিবেশ। তা না হলে এতোদিন কেন মোহামেডানের কর্মকর্তারা মুখ বন্ধ করেছিল! এ বিষয়ে মাসুদুজ্জামান বলেন, ‘আগের কথা বলতে পারবো না। তবে আমি আম্পারিংয়ের যে বাজে অবস্থা তার সুষ্ঠু সামাধান চাই। আমি বিসিবি, সিসিডিএম’র কাছে অনুরোধ করবো দেশের ক্রিকেটের স্বার্থে যেন আম্পায়ারিংয়ের মান ও স্বচ্ছতার দিকে নজর রাখে।’
সাকিবের এমন কাণ্ডের পর গোটা দেশ যেন দুইভাগে ভাগ হয়ে গেছে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ঝড় উঠেছে দারুণভাবে। এক পক্ষের দাবি সাকিব লাথি দিয়ে যে স্টাম্প ভেঙেছে তার দীর্ঘদিন থেকে চলতে থাকা পক্ষপাতপূর্ণ আম্পায়ারিংয়ের বিপক্ষে প্রবাদ। আবার আরেক পক্ষের দাবি এটি কোন ভাবেই ক্রিকেটীয় আচরণ হতে পারে না। সে যে আচরণ করেছে তা পরের প্রজন্মের জন্য ভীষণ বাজে দৃষ্টান্তের হয়ে থাকবে। ভদ্রলোকের খেলা ক্রিকেটে এমন নোংরামি কোনোভাবেই কাম্য নয়। কারণ প্রতিবাদের আরও অনেক ভাষাতো আছে। মোহামেডান ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যানও মনে করেন এমন ধারণা ভুল নয়। তিনি মানেন যে, সাকিবের এমন আরচণে তারা বিব্রত। তবে তারা এই মহাতারকার পাশে থাকার কারণও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘সাকিব ভুল করেছে, ঠিক করেনি এমনটা আমাদের মানতে কোনো অপত্তি নেই। কারণ এটা ক্রিকেটীয় আচরণ নয়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে- মানুষ কেন তার পক্ষে? সবাই কিন্তু ক্রিকেটকে ভালোবাসে। সবাই চায় এদেশের ক্রিকেট উন্নতি করুক। এই দেশের ক্রিকেট ভক্ত থেকে শুরু করে সাধরণ মানুষ এতোদিনে ভালো করে জেনে গেছে ঢাকা প্রিমিয়ার লীগ থেকে শুরু করে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগের ক্রিকেটে আম্পারিংয়ে কতোটা জালিয়াতি হয়। এই অভিযোগ, এই ঘটানা দেশের বেশির ভাগ মানুষই জানেন। তাই সাকিবের অন্যায় করলেও তারা বলছে এটি আসলে এইসব অপকর্মের প্রতিবাদ। সাকিব যা করেছে সাধরণ মানুষ ঠিক মনে করছে কারণ তারা বুঝতে পারবে এতে সাকিব অনেকদিনের অন্যায়ের বিপক্ষে প্রতিবাদ করেছে।’ দেশের ঐহিত্যবাহীই নয়, অন্যতম শক্তিশালী ক্লাবের একটি মোহামেডান ক্লাব। তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী ক্লাব। তবে অভিযোগ এখন বদলে গেছে দিন। দুই ক্লাবের কর্তাদের জন্য এখন আর সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই। তবে ক্লাব ক্রিকেট নিয়ে যতটা অভিযোগ আবাহনীর বিপক্ষে ততোটা মোহামেডানের বিরুদ্ধেও। অভিযোগ রয়েছে- বড় এই দুই ক্লাব মিলেই নষ্ট করেছ দেশের ক্রিকেটের পরিবেশ। তা না হলে এতোদিন কেন মোহামেডানের কর্মকর্তারা মুখ বন্ধ করেছিল! এ বিষয়ে মাসুদুজ্জামান বলেন, ‘আগের কথা বলতে পারবো না। তবে আমি আম্পারিংয়ের যে বাজে অবস্থা তার সুষ্ঠু সামাধান চাই। আমি বিসিবি, সিসিডিএম’র কাছে অনুরোধ করবো দেশের ক্রিকেটের স্বার্থে যেন আম্পায়ারিংয়ের মান ও স্বচ্ছতার দিকে নজর রাখে।’