বাংলারজমিন
মানবজমিন-এ সংবাদ প্রকাশের পর সরকারি জমি থেকে ব্যাংক সরানোর তোড়জোড়
নীলফামারী প্রতিনিধি
২০২১-০৬-১৩
৩১ বছর ধরে দেখেও যেন না দেখার ভান করে ছিলেন সংশ্লিষ্টরা। সরকারি জমির ওপর ঘর নির্মাণ করে ব্যাংকের কাছ থেকে নির্বিঘ্নে ভাড়া উত্তোলন করছিল চক্রটি। গত ৯ই জুন মানবজমিন-এ এ সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেছেন রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) কর্তৃপক্ষ। ব্যাংকের একাধিক সূত্র জানায়, খবর প্রকাশের পর যতদূত সম্ভব ব্যাংকের শাখা ভবনটি অন্যত্র সরানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। করোনাকাল উপেক্ষা করে গত শুক্রবার রেডজোন রাজশাহী থেকে এসে ব্যাংকের এমডি মো. ইসমাইল হোসেন নীলফামারী সার্কিট হাউজে ‘ব্যবসায়িক পারফর্মেন্স মূল্যায়ন’ সভা শেষে সংশ্লিষ্টদের এ নির্দেশনা দেন। উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালের ১লা জুন নীলফামারী সদর উপজেলার চাপড়া সরমজানী ইউনিয়নের জনৈক আবুল কাশেম চৌধুরী বেড়াডাঙ্গা মৌজার যাদুরহাট বাজারে আধাপাকা টিনসেড ঘর নির্মাণ দেখিয়ে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) এর যাদুরহাট শাখার সঙ্গে ভাড়ার চুক্তিবদ্ধ করেন। এদিকে যে দাগ খতিয়ান ও জমির ওপর ব্যাংকের শাখা ঘরটি রয়েছে তা আদৌ ওই ব্যক্তির নয় মর্মে ২০১৬ ইং সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি সহকারী কমিশনার (ভূমি) মর্মে প্রতিবেদন দেন। বছর খানেক আগে নতুন করে এগ্রিমেন্ট করার সময় তৎকালীন শাখা ব্যবস্থাপকের বিষয়টি নজরে এলে তিনি ওপর মহলে লিখিতভাবে জানান। পরে রাকাব প্রধান কার্যালয়ের জনৈক কর্মকর্তার মৌখিক নির্দেশে চলতি বছরের মার্চ মাসে ভাড়া বৃদ্ধিসহ নতুন করে এগ্রিমেন্ট করা হয়।