অনলাইন

তিমির পেট থেকে ফিরে এলেন ডুবুরি

নিজস্ব সংবাদদাতা

২০২১-০৬-১২

যুক্তরাষ্ট্রের  বাসিন্দা ৫৬ বছরের মাইকেল প্যাকার্ড। পেশা মাছ ধরা। ৪০ বছর ধরে সমুদ্রের তলা থেকে চিংড়ি মাছ তুলে আনছেন। সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এলেন এবার। হাসপাতালের বেডে শুয়ে মাইকেল জানাচ্ছেন, সমুদ্রের তলায় নামার পর তাকে গিলে ফেলেছিল বিশাল আকৃতির হ্যাম্পব্যাক তিমি। প্রায় ৩০-৪০ সেকেন্ড তিনি তিমির পেটের মধ্যে থাকেন।  তারপর তিমিটি তাকে মুখ থেকে উগরে বের করে দেয়। আশ্চর্যজনকভাবে প্যাকার্ডের গোড়ালি একটু মচকে যাওয়া ছাড়া তার আর শারীরিক কোনও ক্ষতি হয়নি। ডব্লিউবিজেড-টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাইকেল বলেছেন,  তিনি এবং তার সহযোগী মিলে তাদের নৌকা নিয়ে শুক্রবার সকালে হেরিং কোভে যান। সেখানে পরিবেশ ছিল চমৎকার এবং জলের তলায়  প্রায় ২০ ফুট মত দেখা যাচ্ছিল। মাইকেল বলেন,  ''স্কুবা গিয়ার নিয়ে নৌকা থেকে জলে নেমে ডুব দেওয়ার পরেই, আমি বিশাল একটা ধাক্কা অনুভব করলাম এবং সবকিছু অন্ধকার হয়ে গেল।'' তিনি ধারণা করেছিলেন,  হয়ত বিশাল আকৃতির সাদা তিমির  খপ্পরে পড়েছেন, কারণ এই তিমিগুলো ওই এলাকায় সাঁতরে বেড়ায়। সম্বিৎ ফেরার পর  বুঝতে পারেন, সাদা তিমি নয়, একটা হ্যাম্পব্যাক তিমির মুখের ভিতরে চলে গেছেন তিনি। মাইকেল ভেবেছিলেন এবার হয়ত মরেই যাবেন। তিনি জানাচ্ছেন,  ' আমি সেই সময় আমার স্ত্রী আর  দুই পুত্রের কথা ভাবছিলাম। তারপর দেখলাম আমাকে যেন বাতাসে ছুড়ে ফেলা হল আর আমি আবার জলের মধ্যে ভেসে উঠলাম। সেই সময় আমার সঙ্গী কোনোমতে আমাকে নৌকায় তুলে নেন। আমি সত্যি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না, আমি যেন সেই গল্প বলার জন্যই এখনও বেঁচে রয়েছি।'  

হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তার এই অবিশ্বাস্য ঘটনার বর্ণনা  বিস্তারিত জানতে সাংবাদিকরা প্যাকার্ডের কাছে ছুটে যান। হ্যাম্পব্যাক তিমি সাধারণত মুখ যতটা সম্ভব হা করে মাছ, ক্রিল বা অন্য খাবার খেয়ে থাকে। তবে সমুদ্র বিজ্ঞানীরা বলছেন, মি. প্যাকার্ডের ক্ষেত্রে যা হয়েছে, তা সম্ভবত একটি দুর্ঘটনা। কারণ তিমি তার শিকার কখনো গিলে খায় না।  এদিকে প্যাকার্ড বলছেন, অন্য চাকরি নেয়ার জন্য আমার স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে অনুরোধ করছে। তবে আমি আমার ৪০ বছরের পুরোনো পেশাতেই ফিরতে চাই।

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status