বাংলারজমিন
স্ত্রী-শ্যালিকাকে ভারতে বিক্রি সেই স্বামীসহ আটক ২
গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
১৩ জুন ২০২১, রবিবার, ৮:০৫ অপরাহ্ন
বেশি বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে গফরগাঁও উপজেলার রসুলপুর গ্রামের দুই বোনকে (স্ত্রী ও শ্যালিকাকে) ভারতে নিয়ে বিক্রি করার অভিযোগে স্বামী ইউসুফ ও তার সহযোগী রাব্বিল শেখকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪। শুক্রবার র্যাব-১৪ এর আভিযানিক দলের সদস্যরা ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বালিহাটা থেকে ইউসুফ এবং গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে রাব্বিল শেখকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৪ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু নাঈম মো. তালাত এসব তথ্য জানান।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা মানব পাচারে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। প্রেমের ফাঁদে ফেলে স্বামী ইউসুফ স্ত্রী কুলসুমা আক্তার (২২) ও শ্যালিকা সুমাইয়া আক্তার (১৯)কে মানব পাচারকারীদের সহায়তায় ভারতে বিক্রি করে দেয় বলে জানায় সে।
জানা গেছে, গফরগাঁও উপজেলার রসুলপুর গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের দুই তরুণী বোন কুলছুমা আক্তার (২২) এবং মোসা. সুমাইয়া আক্তার (১৮)। দুই বছর আগে তারা শ্রীপুর উপজেলার জৈনা বাজার এলাকায় রিদিশা ফুড অ্যান্ড বেভারেজের একটি বিস্কুট কোম্পানিতে কাজ নেয়। নারী পাচারকারী দলের সদস্য মো. ইউসুফ ও তার সহযোগী এই দুই বোনের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলে। এরপর বন্ধুত্ব ও বিশ্বাস অর্জন। এক সময় নারী পাচারকারী ইউসুফ বড় বোন কুলছুমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং পরিবারের কাউকে না জানিয়ে কুলছুমাকে বিয়ে করে।
প্রেম করে বিয়ের দুই মাস পর গত মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে কুলছুমা ও সুমাইয়া ভারতে পাচারের শিকার হন। দুই বোনকে তিন লাখ টাকায় ভারতের রানাঘাট এলাকায় নিয়ে নারী ব্যবসায়ী বাবলু/রাহুলের কাছে বিক্রি করে দেয় স্বামী ইউসুফ। তাদেরকে পশ্চিমবঙ্গের দিঘা এলাকার বিভিন্ন বাসায় ও হোটেলে রেখে দেহ ব্যবসা করানো হতো। দুই বোনকে আলাদা আলাদা জায়গায় রাখা হতো। নারী ব্যবসায়ীদের কথা না শুনলেই দেয়া হতো ইলেকট্রিক শক। কঠোর নজরদারিতে এদের রাখা হতো। পশ্চিমবঙ্গের করোনার প্রার্দুভাবে ১৬ই মে থেকে লকডাউন শুরু হলে তাদের ওপর নারী পাচারকারীদের নজরদারি শিথিল হয়। এই সুযোগে দুই বোন নারী পাচারকারীদের হাত থেকে পালিয়ে আসে। গত ১৭ই মে আঁখি হাওড়া স্টেশন এলাকায় পুলিশের হাতে আটক হয়। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে কলকাতার শিয়ালদহ এলাকায় ভারতীয় সরকার পরিচালিত সেফ হোম পার্টিসিপেটরি সিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশন নেটওয়ার্ক-এর হাতে ন্যস্ত করে। কুলছুমা গত ২১শে মে ভারতের বোঝাপড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টাকালে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র হাতে গ্রেপ্তার হন। বিএসএফ তাকে ভারতীয় পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা মানব পাচারে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। প্রেমের ফাঁদে ফেলে স্বামী ইউসুফ স্ত্রী কুলসুমা আক্তার (২২) ও শ্যালিকা সুমাইয়া আক্তার (১৯)কে মানব পাচারকারীদের সহায়তায় ভারতে বিক্রি করে দেয় বলে জানায় সে।
জানা গেছে, গফরগাঁও উপজেলার রসুলপুর গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের দুই তরুণী বোন কুলছুমা আক্তার (২২) এবং মোসা. সুমাইয়া আক্তার (১৮)। দুই বছর আগে তারা শ্রীপুর উপজেলার জৈনা বাজার এলাকায় রিদিশা ফুড অ্যান্ড বেভারেজের একটি বিস্কুট কোম্পানিতে কাজ নেয়। নারী পাচারকারী দলের সদস্য মো. ইউসুফ ও তার সহযোগী এই দুই বোনের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলে। এরপর বন্ধুত্ব ও বিশ্বাস অর্জন। এক সময় নারী পাচারকারী ইউসুফ বড় বোন কুলছুমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং পরিবারের কাউকে না জানিয়ে কুলছুমাকে বিয়ে করে।
প্রেম করে বিয়ের দুই মাস পর গত মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে কুলছুমা ও সুমাইয়া ভারতে পাচারের শিকার হন। দুই বোনকে তিন লাখ টাকায় ভারতের রানাঘাট এলাকায় নিয়ে নারী ব্যবসায়ী বাবলু/রাহুলের কাছে বিক্রি করে দেয় স্বামী ইউসুফ। তাদেরকে পশ্চিমবঙ্গের দিঘা এলাকার বিভিন্ন বাসায় ও হোটেলে রেখে দেহ ব্যবসা করানো হতো। দুই বোনকে আলাদা আলাদা জায়গায় রাখা হতো। নারী ব্যবসায়ীদের কথা না শুনলেই দেয়া হতো ইলেকট্রিক শক। কঠোর নজরদারিতে এদের রাখা হতো। পশ্চিমবঙ্গের করোনার প্রার্দুভাবে ১৬ই মে থেকে লকডাউন শুরু হলে তাদের ওপর নারী পাচারকারীদের নজরদারি শিথিল হয়। এই সুযোগে দুই বোন নারী পাচারকারীদের হাত থেকে পালিয়ে আসে। গত ১৭ই মে আঁখি হাওড়া স্টেশন এলাকায় পুলিশের হাতে আটক হয়। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে কলকাতার শিয়ালদহ এলাকায় ভারতীয় সরকার পরিচালিত সেফ হোম পার্টিসিপেটরি সিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশন নেটওয়ার্ক-এর হাতে ন্যস্ত করে। কুলছুমা গত ২১শে মে ভারতের বোঝাপড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টাকালে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র হাতে গ্রেপ্তার হন। বিএসএফ তাকে ভারতীয় পুলিশের হাতে তুলে দেয়।