বিশ্বজমিন

সাংবাদিকতায় পুলিৎজার পুরস্কার পেলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংবাদিক

মানবজমিন ডেস্ক

১২ জুন ২০২১, শনিবার, ৪:০৫ অপরাহ্ন

সিনজিয়াং প্রদেশে মুসলিম উইঘুরদের বন্দিশিবিরের তথ্য উদঘাটন করে সাংবাদিকতায় পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংবাদিক মেঘা রাজাগোপালান। আরো দু’জন সহকর্মীর সহায়তায় তিনি ধারাবাহিকভাবে রিপোর্ট করেন। এতে সিনজিয়াং অঞ্চলে জেল হিসেবে ব্যবহৃত বিশাল অবকাঠামো এবং গোপনে গণগ্রেপ্তারের তথ্য প্রকাশ হয়ে পড়ে। তার এই অনুসন্ধানী রিপোর্টিংয়ের জন্য তাকে এ পুরস্কার দেয়া হয়। এ খবর দিয়েছে ভারতের সরকারি বার্তা সংস্থা পিটিআই। ভারতীয় বংশোদ্ভূত দু’জন সাংবাদিককে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রে সাংবাদিকতায় সর্বোচ্চ এই পুরষ্কার দেয়া হয়। এর মধ্যে মিস মেঘা রাজাগোপালান কাজ করেন বাজফিড-এ। অন্যদিকে স্থানীয় পর্যায়ে রিপোর্টিংয়ের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন টাম্পা বে টাইমসের সাংবাদিক নিল বেদি। একজন শেরিফের অফিসের উদ্যোগ নিয়ে ধারাবাহিক রিপোর্ট করার জন্য ক্যাথলিন ম্যাকগ্রোরিসহ নিল বেদিকে এই পুরষ্কার দেয়া হয়। ওই শেরিফের অফিসের কমপিউটার মডেলিং ব্যবহার করে ভবিষ্যত অপরাধীদের শনাক্ত করা যায় বলে মনে করা হয়। এর অধীনে শিশু সহ প্রায় ১০০০ মানুষের ওপর নজরদারি করা হয়। টাম্পা বে টাইমসের অনুসন্ধানী সাংবাদিক নিল বেদি। এই পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মার্ক ক্যাচেস বলেছেন, পাসকো কাউন্টিতে যে বিষয়টি প্রকাশ করেছেন নিল বেদি এবং ক্যাথলিন তা স্থানীয় সম্প্রদায়ের ওপর বড় প্রভাব ফেলেছে।
অন্যদিকে মিস মেঘা রাজাগোপালানের সিনজিয়াং সিরিজ আন্তর্জাতিক রিপোর্টিং ক্যাটেগরিতে বিজয়ী হয়। ২০১৭ সালে সিনজিয়াংয়ের হাজার হাজার মুসলিমকে আটক করা শুরু করে চীন সরকার। তাদেরকে যেসব বন্দিশিবিরে আটকে রাখা হয়, তার মধ্যে একটি শিবির সবার আগে পরিদর্শন করেন মেঘা রাজাগোপালান। সেখান থেকে তিনি রিপোর্ট করেন, ভিতরের পরিস্থিতি নিয়ে। সেখানে মুসলিমদের বিরুদ্ধে কিভাবে দমনপীড়ন করা হয়, তা রিপোর্টে ফুটিয়ে তোলেন মেঘা রাজাগোপালান। কিন্তু এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে চীন। পক্ষান্তরে সরকার তার কণ্ঠরোধের চেষ্টা করে। বাতিল করে দেয় ভিসা। চীন থেকে বের করে দেয়। বাজফিড লিখেছে- এর ফলেই ওই অঞ্চলে বিদেশি সাংবাদিকদের প্রবেশ একেবারে বন্ধ করে দেয়া হয়।
কিন্তু চীন সরকারের দমনপীড়ন বা কণ্ঠরোধের কাছে নিজে মাথানত করতে অস্বীকৃতি জানান মেঘা রাজাগোপালান। তিনি লন্ডনে বসে দু’জন ব্যক্তির সহায়তা নেন। তাদের সহায়তার ওপর ভিত্তি করে তিনি রিপোর্ট করেন। তারা হলেন লাইসেন্সধারী একজন আর্কিটেক্ট অ্যালিসন কিলিং এবং প্রোগ্রামার ক্রিস্টো বুশ্চেক।

 
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status