সিলেটে আদম ব্যবসায়ী রায়হানসহ দুইজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল

সিলেটে আদম ব্যবসায়ী রায়হান উদ্দিনসহ দুইজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই। ব্যবসায়ী শাহেদ আহমদের দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে সম্প্রতি সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (২য় আমলী) আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট পিবিআইয়ের এস আই লিটন চন্দ্র পাল। সিলেটের দক্ষিণ সুরমার সিলাম মোল্লাচক গ্রামের মোহাম্মদ মুজাহিদ আলীর ছেলে রায়হান উদ্দিন ও তার ভাই রাসেল আহমদের বিরুদ্ধে গত ১১ই নভেম্বর সিলেটের আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন শহরতলীর তেলিরাই গ্রামের ব্যবসায়ী শাহেদ আহমদ। মামলার এজাহারে তিনি জানিয়েছিলেন- দক্ষিণ সুরমার নিয়ামতপুর গ্রামের বিধান বৈদ্য নামের এক যুবককে রোমানিয়ায় পাঠানোর জন্য শাহেদ আহমদের মধ্যস্থতায় আদম ব্যবসায়ী রায়হান উদ্দিন ও ভাইয়ের অ্যাকাউন্টে ৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে বিধান বৈদ্যকে কথা মতো গত বছরের ১১ই জানুয়ারি রোমানিয়ায় পাঠালে বিধান বৈদ্য জাল ভিসা থাকায় দেশে ফেরত আসেন। এরপর আদম ব্যবসায়ী রায়হানের কাছে টাকা ফেরত চাইলে সে কালক্ষেপণ করে এবং একপর্যায়ে টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করে। এদিকে- আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সিলেটের পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন পিবিআইকে দায়িত্ব দিলে তদন্ত শেষে গত ৭ই এপ্রিল সিলেটের আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। চার্জশিটে আদম ব্যবসায়ী রায়হান ও জাবেদ আহমদ নামের দুইজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে। তবে- জাল ভিসার সত্যতা পায়নি। চার্জশিটে তিনি উল্লেখ করেছেন- বিধান বৈদ্যকে রোমানিয়ায় যে কোম্পানিতে পাঠাবেন সেই কোম্পানির সঙ্গে লেনদেন সমাপ্ত না করে তাকে পাঠিয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে আসামিরা। এ কারণে রোমানিয়াস্থ ওই কোম্পানি বিধান বৈদ্যকে গ্রহণ না করে পুনরায় বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। এতে রায়হান উদ্দিন ও তদন্তে প্রাপ্ত নাম জাবেদ হোসেন বাদী শাহেদ আহমদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। এ কারণে আসামিদের বিরুদ্ধে ৪০৬/৪২০ ধারায় অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলে চার্জশিটে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন।

এ ব্যাপারে শাহেদ আহমদ জানিয়েছেন- সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধের পর বিধান বৈদ্যকে রোমানিয়ায় পাঠানো হয়। এরপর ফেরত এলে তার টাকা দিতে গড়িমসি ও একপর্যায়ে অস্বীকার করা হয়। এ কারণে তিনি মামলা দায়ের করেছিলেন বলে জানান।