বাংলারজমিন
সরাইলে মাদকের আস্তানায় পুলিশের হানা, বন্ধ মদের কারখানা
সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
১২ জুন ২০২১, শনিবার, ৯:০৩ অপরাহ্ন
উপজেলার কালিকচ্ছ ঋষি বাড়িতে গত ৬০ বছর ধরে চলছে চোলাই মদ উৎপাদন ও বিপনণের কাজ। বিষয়টি অনেকটা ওপেন সিক্রেট। কারণ এর পেছনে রয়েছে স্থানীয় অনেক প্রভাবশালীর মদত। অনেকে এদেরকে মহাজনি সুদে টাকা দিয়ে সহায়তা করে আসছিলেন। বারবার অভিযানের পরও তাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকে। কিন্তু সরাইল থানায় সদ্য যোগদানকৃত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসলাম হোসেন মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। যোগদানের কিছুদিন পরই থানা থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরের ওই চোলাইমদ উৎপাদনের কারখানায় অভিযান চালান। অভিযানে কন্টিনসহ উদ্ধার করলেন ৯০ লিটার মদ ও উৎপাদন কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম। উৎপাদন ও বিপণনের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে গ্রেপ্তার করেছেন ৩ জনকে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত ২৪শে মে দুপুরের দিকে ঋষি বাড়িটি চারদিকে ঘেরাও করেন এসআই বিল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ। অবশ্য এর আগেই বসতঘরে তালা ঝুলিয়ে সটকে পড়েছিল কয়েকটি পরিবার। ২-৩ ঘণ্টা চলে অভিযান। অভিযানকালে মাটির নিচ থেকে মদ তৈরির সরঞ্জাম, কন্টিনসহ ৯০ লিটার মদ উদ্ধার করা হয়। উৎপাদন ও বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত থাকায় গ্রেপ্তার করা হয় কস্তরি রবি দাস (৫০), তার স্ত্রী অঞ্জনা রবি দাস (৩৫) ও মেয়ে চম্পা রবি দাসকে (১৮)। তবে এ অভিযানে খুশি হতে পারেননি মাদক ব্যবসার সঙ্গে গোপনে জড়িত সাবেক ও বর্তমান জনপ্রতিনিধিসহ প্রভাবশালীরা। তারা আবারো মদ উৎপাদনে সহযোগিতার চেষ্টা করছেন।
ওই এলাকার বাসিন্দা যুবক রাহাত মিয়া (৩২) বলেন, অনেকদিন পর পুলিশ খুবই ভালো করেছেন। কিন্তু এখন কিছু লোকের সহযোগিতায় গুরিয়া রানি রবি দাস গোপনে উৎপাদন করছেন। আর বিক্রি করছে তার ৩ ছেলে মিটন রবি দাস (২২), রিপন রবি দাস (২০) ও টিটন রবি দাস (১৮)। সন্ধ্যার পর কালিকচ্ছ বাজারের একটি জায়গায় বসে তারা কৌশলে চোলাই মদ বিক্রি করছে।
কালিকচ্ছ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সরাফত আলী বলেন, পুলিশের এ অভিযান গোটা উপজেলার মানুষের উপকার হয়েছে। কারণ এখানকার মদ শাহজাদাপুরের মলাইশ ও শাহবাজপুরেও যায়। সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, মাদকের বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছি। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত ২৪শে মে দুপুরের দিকে ঋষি বাড়িটি চারদিকে ঘেরাও করেন এসআই বিল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ। অবশ্য এর আগেই বসতঘরে তালা ঝুলিয়ে সটকে পড়েছিল কয়েকটি পরিবার। ২-৩ ঘণ্টা চলে অভিযান। অভিযানকালে মাটির নিচ থেকে মদ তৈরির সরঞ্জাম, কন্টিনসহ ৯০ লিটার মদ উদ্ধার করা হয়। উৎপাদন ও বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত থাকায় গ্রেপ্তার করা হয় কস্তরি রবি দাস (৫০), তার স্ত্রী অঞ্জনা রবি দাস (৩৫) ও মেয়ে চম্পা রবি দাসকে (১৮)। তবে এ অভিযানে খুশি হতে পারেননি মাদক ব্যবসার সঙ্গে গোপনে জড়িত সাবেক ও বর্তমান জনপ্রতিনিধিসহ প্রভাবশালীরা। তারা আবারো মদ উৎপাদনে সহযোগিতার চেষ্টা করছেন।
ওই এলাকার বাসিন্দা যুবক রাহাত মিয়া (৩২) বলেন, অনেকদিন পর পুলিশ খুবই ভালো করেছেন। কিন্তু এখন কিছু লোকের সহযোগিতায় গুরিয়া রানি রবি দাস গোপনে উৎপাদন করছেন। আর বিক্রি করছে তার ৩ ছেলে মিটন রবি দাস (২২), রিপন রবি দাস (২০) ও টিটন রবি দাস (১৮)। সন্ধ্যার পর কালিকচ্ছ বাজারের একটি জায়গায় বসে তারা কৌশলে চোলাই মদ বিক্রি করছে।
কালিকচ্ছ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সরাফত আলী বলেন, পুলিশের এ অভিযান গোটা উপজেলার মানুষের উপকার হয়েছে। কারণ এখানকার মদ শাহজাদাপুরের মলাইশ ও শাহবাজপুরেও যায়। সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, মাদকের বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছি। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।