বাংলারজমিন

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

করোনা ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ প্রমাণিত হলেও বহাল তবিয়তে কর্মকর্তা

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

১২ জুন ২০২১, শনিবার, ৮:০৯ অপরাহ্ন

করোনাকালীন সময়ে চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের বরাদ্দের প্রণোদনার টাকা ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে আত্মসাৎ করে বহাল তবিয়তে আছেন কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শামীমা শিরিন (লুবনা)। তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটির তদন্তে টাকা আত্মসাতের ঘটনা প্রমাণিত হলেও ৭ মাসের মধ্যে এখন পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিভাগ তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, করোনাকালীন সময়ে আবাসিক হোটেলে থাকা দেখিয়ে ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে ৫৭ হাজার ৬০০ টাকা ও হোটেলে খাওয়া বাবদ ৯৬ হাজার টাকা তুলে নেন ডা. শামীমা শিরিন (লুবনা)। এ নিয়ে ওই সময় বিভিন্ন পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে স্বাস্থ্য বিভাগে হৈচৈ পড়ে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শামীম কবিরকে প্রধান করে গঠিত হয় তদন্ত কমিটি। গত বছরের ২৭শে ডিসেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগমের দপ্তরে পাঠানো হয়। চলতি বছরের ৫ই জানুয়ারি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিভিল সার্জন অফিস প্রতিবেদনটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. হাসান ইমামের কাছে পাঠিয়ে দেন। কিছু সংশোধন ও সংযুক্তির জন্য পরিচালকের (প্রশাসন) দপ্তর থেকে তদন্ত প্রতিবেদনটি ফেরত পাঠিয়ে দ্বিতীয় দফা তদন্ত প্রতিবেদনটি পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়। সে মোতাবেক গত ৪ঠা এপ্রিল ২৫৩ নং স্মারকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শামীমা শিরিন লুবনার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফায় প্রমাণাদিসহ তদন্ত প্রতিবেদনটি পাঠানো হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তদন্ত কমিটির এক সদস্য জানান, আমরা সাধ্যমতো তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছি। আবাসিক হোটেল ও খাবার হোটেলের মালিক ও ম্যানেজারদের সঙ্গে কথা বলে টাকা আত্মসাতের সত্যতা পেয়েছি। তদন্ত কমিটির প্রধান উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শামীম কবির জানান, আমরা তদন্তে যা পেয়েছি তাই প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছি। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম জানান, প্রথমে আমরা যে প্রতিবেদন পাঠিয়েছিলাম তা ফেরত দিয়ে কিছুটা সংযুক্তি জুড়ে দিয়েছিল পরিচালকের দপ্তর। দ্বিতীয় দফায় আমরা আবার প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শামীমা শিরিন লুবনা জানান, হোটেলে থাকা নিয়ে রহমানিয়া হোটেলের ম্যানেজার সঠিক তথ্য দেন নি। ডাক্তাররা রোস্টার ডিউটি করেছেন। ওই সময় তারা হোটেলটিতে ছিলেন। কোনো টাকা আত্মসাৎ হয়নি। তবে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মাঝহারুল ইসলাম জানান, শুরু থেকেই তিনি কোভিড-১৯ এ দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি কখনো হোটেলে থাকেননি। আরেক চিকিৎসক আর্জুবান নেছা বলেন, তিনি বিভিন্ন সময় হোটেলে থেকেছেন। কিন্তু তারিখ বা কোন মাসে থেকেছেন সেটা তিনি জানাতে পারেননি। তবে তিনি প্রণোদনার টাকা পাননি।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status