শেষের পাতা
ডেঙ্গু আক্রান্তের ঘটনা ৭৭ শতাংশ কমিয়ে আনার পদ্ধতি আবিষ্কার
মানবজমিন ডেস্ক
১১ জুন ২০২১, শুক্রবার, ৯:৩২ অপরাহ্ন
ডেঙ্গু জ্বরের ঘটনা অন্তত ৭৭ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ‘যুগান্তকারী’ ওই গবেষণাটি চালানো হয় ডেঙ্গুর জীবাণু বহন করা মশার ওপর। আর এতেই এই আশা জাগানিয়া ফলাফল পাওয়া
গেল। ইন্দোনেশিয়ার বিজ্ঞানীরা বলছেন, তারা এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত মশা ব্যবহার করে এই সফলতার বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে জানানো হয়েছে, ডেঙ্গু নিয়ে এই পরীক্ষাটি করেছে ইন্দোনেশিয়ার দি ওয়ার্ল্ড মসকিউটো প্রোগ্রাম টিম। তাদের দাবি, এই গবেষণা ডেঙ্গুর প্রকোপ থামাতে একটি উপায় বের করেছে। ৫০ বছর আগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছিল হাতেগোনা। কিন্তু পরে এটি ধীরগতিতে মহামারির আকার নিয়েছে। গত কয়েক বছরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যাও নাটকীয়ভাবে বাড়ছে। ১৯৭০ সাল পর্যন্ত মাত্র নয়টি দেশে ডেঙ্গু দেখা গিয়েছিল। অথচ এখন প্রতি বছর ৪০ কোটি মানুষ এতে আক্রান্ত হচ্ছেন।
ডেঙ্গু বিষয়ক এই পরীক্ষায় ব্যবহার করা হয়েছে ওলবাকিয়া ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত মশাকে। গবেষকদের একজন ড. কেটি অ্যান্ডারস একে বর্ণনা করেছেন ‘প্রাকৃতিকভাবে অলৌকিক’ হিসেবে। ওলবাকিয়া মশারা ক্ষতি করে না কিন্তু ডেঙ্গু ভাইরাসের জন্য দরকার হয় এমন একটি অংশকে শরীর থেকে সরিয়ে দেয়। ব্যাকটেরিয়াটি ডেঙ্গু ভাইরাসের পুনরায় তৈরি হওয়াকে কঠিন করে তোলে। ফলে ওই মশাটি আবার যখন কাউকে কামড়ায় তখন তার আর আক্রান্ত করার তেমন সক্ষমতা থাকে না। এই পরীক্ষায় ওলবাকিয়ায় আক্রান্ত ৫০ লাখ মশার ডিম ব্যবহার করা হয়েছে। ডিমগুলো প্রতি দুই সপ্তাহে একবার করে শহরের একটি জায়গায় পানির পাত্রে রাখা হয়েছিল।
ওই গবেষণার ফল নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিনে প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়েছে, ডেঙ্গু আক্রান্তের ঘটনা ৭৭ শতাংশ কমেছে এবং আক্রান্ত হওয়ার পর হাসপাতালে নেয়ার সংখ্যা ৮৬ শতাংশ কমেছে। পুরো শহরে মশা ছাড়ার কৌশলটি খুবই সফল হয়েছে বলে জানিয়েছে গবেষণা দলটি।
গেল। ইন্দোনেশিয়ার বিজ্ঞানীরা বলছেন, তারা এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত মশা ব্যবহার করে এই সফলতার বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে জানানো হয়েছে, ডেঙ্গু নিয়ে এই পরীক্ষাটি করেছে ইন্দোনেশিয়ার দি ওয়ার্ল্ড মসকিউটো প্রোগ্রাম টিম। তাদের দাবি, এই গবেষণা ডেঙ্গুর প্রকোপ থামাতে একটি উপায় বের করেছে। ৫০ বছর আগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছিল হাতেগোনা। কিন্তু পরে এটি ধীরগতিতে মহামারির আকার নিয়েছে। গত কয়েক বছরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যাও নাটকীয়ভাবে বাড়ছে। ১৯৭০ সাল পর্যন্ত মাত্র নয়টি দেশে ডেঙ্গু দেখা গিয়েছিল। অথচ এখন প্রতি বছর ৪০ কোটি মানুষ এতে আক্রান্ত হচ্ছেন।
ডেঙ্গু বিষয়ক এই পরীক্ষায় ব্যবহার করা হয়েছে ওলবাকিয়া ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত মশাকে। গবেষকদের একজন ড. কেটি অ্যান্ডারস একে বর্ণনা করেছেন ‘প্রাকৃতিকভাবে অলৌকিক’ হিসেবে। ওলবাকিয়া মশারা ক্ষতি করে না কিন্তু ডেঙ্গু ভাইরাসের জন্য দরকার হয় এমন একটি অংশকে শরীর থেকে সরিয়ে দেয়। ব্যাকটেরিয়াটি ডেঙ্গু ভাইরাসের পুনরায় তৈরি হওয়াকে কঠিন করে তোলে। ফলে ওই মশাটি আবার যখন কাউকে কামড়ায় তখন তার আর আক্রান্ত করার তেমন সক্ষমতা থাকে না। এই পরীক্ষায় ওলবাকিয়ায় আক্রান্ত ৫০ লাখ মশার ডিম ব্যবহার করা হয়েছে। ডিমগুলো প্রতি দুই সপ্তাহে একবার করে শহরের একটি জায়গায় পানির পাত্রে রাখা হয়েছিল।
ওই গবেষণার ফল নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিনে প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়েছে, ডেঙ্গু আক্রান্তের ঘটনা ৭৭ শতাংশ কমেছে এবং আক্রান্ত হওয়ার পর হাসপাতালে নেয়ার সংখ্যা ৮৬ শতাংশ কমেছে। পুরো শহরে মশা ছাড়ার কৌশলটি খুবই সফল হয়েছে বলে জানিয়েছে গবেষণা দলটি।