বিশ্বজমিন
গর্ভবতী স্ত্রীকে রেখে কোভিড আক্রান্ত বাবা-মাকে দেখতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতে
মানবজমিন ডেস্ক
১০ জুন ২০২১, বৃহস্পতিবার, ৭:৩২ অপরাহ্ন
এপ্রিলের শেষ দিকে এসে পাল্লাভ ঝা'র বাবা-মা দু'জনই কোভিড আক্রান্ত হলেন। তার বাবার অবস্থা খারাপ হতে শুরু করলে তাকে এটি জানান তার মা। সেসময়ই ঝা সিদ্ধান্ত নেন, তিনি তার গর্ভবতী স্ত্রী এবং ৪ বছর বয়সী ছেলেকে যুক্তরাষ্ট্রে রেখে ভারতে বাবা-মা'র কাছে যাবেন। তিনি বলেন, আজকে আমি যা হতে পেরেছি, তা আমার বাবা মায়ের জন্যেই। আমার বাবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ আমি সরাসরি দেখতে পেরেছি এ জন্য আমি এতো দুঃখের মাঝেও কিছুটা তৃপ্ত।
২৪ এপ্রিল ঝা'র বাবাকে (৫৯) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর দুইদিন পর রাজস্থানের উদাইপুরে পৌঁছান ঝা। তার মা নিজেও কোভিডে আক্রান্ত ছিলেন। তবে তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়নি। ঝা'র বাবা কোভিডের সঙ্গে দু সপ্তাহ যুদ্ধ করে ৪ মে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
ভারতে বর্তমানে আঘাত হেনেছে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ। দেশটিতে এই মহামারিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৫০ হাজার। মোট কোভিড ধরা পড়েছে ৩ কোটি ৩৩ লাখ মানুষের। এরকম ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে ভারতে আসেননি পাল্লাভ ঝা'র স্ত্রী শিল্পা। সিএনএনকে তিনি বলেন, আমি ৮ মাসের গর্ভবতী। আবার আমাকে ৪ বছরের একটি ছেলেকে দেখাশুনা করতে হচ্ছে। আমার পাশে এখন আমার স্বামীকে দরকার। গত এক মাস ধরে আমি একাই সব দেখেশুনে রাখছি কিন্তু এখন আমার জন্য সব সামলানো অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে।
তবে ঝা যখন যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার চেষ্টা করলো তখন তাকে নানা বাধার মুখে পরতে হয়। তাকে ভারতে থাকা মার্কিন দূতাবাস থেকে পাসপোর্টে স্ট্যাম্প নেয়ার দরকার ছিল। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে এইচ-১বি ভিসা নিয়ে আছেন। সেখানে পেপালের উর্ধতন প্রোজেক্ট লিডার হিসেবে কাজ করছেন তিনি। কিন্তু ভারতে তখন কোভিডের কারণে কড়াকড়ি চলছে। তাকে কনস্যুলেট থেকে সেপ্টেম্বর মাসে যোগাযোগ করতে বলা হয়। কিন্তু এর জন্য তাকে আরো ৩ মাস অপেক্ষা করতে হতো। তাই তিনি জরুরি ভিত্তিতে আবেদনের চেষ্টা করে। কিন্তু স্পষ্ট কোনো কারণ না থাকায় তার আবেদন বাতিল করা হয়।
শুধুমাত্র ঝা একাই নন, সেসময় আরো অনেকেই এই কড়াকড়ির কারণে আটকে গিয়েছিলেন। শিল্পা বলেন, আগামি ২ বা ৩ সপ্তাহের মধ্যেই তার ডেলিভারির সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু নিজের স্বামীকে ছাড়া এই কষ্টের মধ্য দিয়ে যাওয়ার কথা তিনি ভাবতেই পারছেন না। পেপাল জানিয়েছে, তারা ঝা কে ভিসা পেতে সাহায্য করছে। এদিকে ঝা যোগাযোগ করেছে অ্যারিজোনার সিনেটর কিরস্টেন সিনেমা ও সিনেটর মার্ক কেলির সঙ্গে। সিনেমার মুখপাত্র জানিয়েছে, তাদের কার্যালয় এখন ভারতে থাকা মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং একটি সমাধান বের করার চেষ্টা চলছে। সিনেটর কেলির টিমও জানিয়েছে, তারা ঝা'র পরিবারের পাশেই রয়েছে।
২৪ এপ্রিল ঝা'র বাবাকে (৫৯) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর দুইদিন পর রাজস্থানের উদাইপুরে পৌঁছান ঝা। তার মা নিজেও কোভিডে আক্রান্ত ছিলেন। তবে তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়নি। ঝা'র বাবা কোভিডের সঙ্গে দু সপ্তাহ যুদ্ধ করে ৪ মে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
ভারতে বর্তমানে আঘাত হেনেছে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ। দেশটিতে এই মহামারিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৫০ হাজার। মোট কোভিড ধরা পড়েছে ৩ কোটি ৩৩ লাখ মানুষের। এরকম ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে ভারতে আসেননি পাল্লাভ ঝা'র স্ত্রী শিল্পা। সিএনএনকে তিনি বলেন, আমি ৮ মাসের গর্ভবতী। আবার আমাকে ৪ বছরের একটি ছেলেকে দেখাশুনা করতে হচ্ছে। আমার পাশে এখন আমার স্বামীকে দরকার। গত এক মাস ধরে আমি একাই সব দেখেশুনে রাখছি কিন্তু এখন আমার জন্য সব সামলানো অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে।
তবে ঝা যখন যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার চেষ্টা করলো তখন তাকে নানা বাধার মুখে পরতে হয়। তাকে ভারতে থাকা মার্কিন দূতাবাস থেকে পাসপোর্টে স্ট্যাম্প নেয়ার দরকার ছিল। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে এইচ-১বি ভিসা নিয়ে আছেন। সেখানে পেপালের উর্ধতন প্রোজেক্ট লিডার হিসেবে কাজ করছেন তিনি। কিন্তু ভারতে তখন কোভিডের কারণে কড়াকড়ি চলছে। তাকে কনস্যুলেট থেকে সেপ্টেম্বর মাসে যোগাযোগ করতে বলা হয়। কিন্তু এর জন্য তাকে আরো ৩ মাস অপেক্ষা করতে হতো। তাই তিনি জরুরি ভিত্তিতে আবেদনের চেষ্টা করে। কিন্তু স্পষ্ট কোনো কারণ না থাকায় তার আবেদন বাতিল করা হয়।
শুধুমাত্র ঝা একাই নন, সেসময় আরো অনেকেই এই কড়াকড়ির কারণে আটকে গিয়েছিলেন। শিল্পা বলেন, আগামি ২ বা ৩ সপ্তাহের মধ্যেই তার ডেলিভারির সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু নিজের স্বামীকে ছাড়া এই কষ্টের মধ্য দিয়ে যাওয়ার কথা তিনি ভাবতেই পারছেন না। পেপাল জানিয়েছে, তারা ঝা কে ভিসা পেতে সাহায্য করছে। এদিকে ঝা যোগাযোগ করেছে অ্যারিজোনার সিনেটর কিরস্টেন সিনেমা ও সিনেটর মার্ক কেলির সঙ্গে। সিনেমার মুখপাত্র জানিয়েছে, তাদের কার্যালয় এখন ভারতে থাকা মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং একটি সমাধান বের করার চেষ্টা চলছে। সিনেটর কেলির টিমও জানিয়েছে, তারা ঝা'র পরিবারের পাশেই রয়েছে।