অনলাইন
মানবজমিনকে ঋতুপর্ণা
আমি দ্বিধায় ভুগলেও বুদ্ধদেব আমার ওপর আস্থা রাখেন
তারিক চয়ন
১০ জুন ২০২১, বৃহস্পতিবার, ৪:২৩ অপরাহ্ন
ভারতের খ্যাতিমান পরিচালক বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত আর নেই। বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ কলকাতায় নিজ বাড়িতে মৃত্যু হয় তার। বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত'র মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী, ঢালিউড এবং টলিউডের জনপ্রিয় নায়িকা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
মানবজমিনকে ফোনে ঋতুপর্ণা বলেন, 'বুদ্ধদেব মানেই আন্তর্জাতিক মান, আন্তর্জাতিক সম্মাননা, ভারতীয় চলচ্চিত্রকে একটি গ্লোবাল প্ল্যাটফর্মে দেখা। খুব ছোটবেলায় চাচা আমাকে 'গৃহযুদ্ধ' সিনেমাটি দেখান। তখন ছবিটির মর্ম সেভাবে না বুঝলেও সেটা ছিল ভালো সিনেমার সাথে আমার পরিচয়। পরে বড় হয়ে যখন আবার দেখলাম তখন সেটা মূল্যায়ন করতে পারলাম। বুঝলাম কিভাবে একজন মানুষ চরিত্রগুলোকে এভাবে 'এক্সপ্লোর' করতে পারেন।"
বুদ্ধদেবের সাথে নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে ঋতুপর্ণা বলেন, 'আমি অবাক হয়েছিলাম যখন তার মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একজন পরিচালক আমাকে 'মন্দ মেয়ের উপাখ্যান' এ অভিনয়ের জন্য নির্বাচিত করেছিলেন। তখন আমি ক্যারিয়ারের একদম শুরুতে। আমি ওরকম একটা চরিত্রে অভিনয় করতে পারবো কিনা তা নিয়ে দ্বিধায় ভুগলেও তিনি ঠিকই আস্থা রেখেছিলেন যে সেটা আমি-ই করতে পারবো। শেষ পর্যন্ত ছবিটি সে বছর 'বেস্ট ফিল্ম' হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিল। সেটা ছিল আমার জন্য খুব বড় এক প্রাপ্তি। তার পরবর্তী ছবি 'উত্তরা' যা ছিল আরেকটি আলোড়নকারী সৃষ্টি, সেটাতেও তিনি আমাকে অভিনয়ের প্রস্তাব করেছিলেন। আমার বাবাকে গল্প পাঠিয়ে চিঠিও লিখেছিলেন। কিন্তু অনেকগুলো কাজে তখন ব্যস্ত থাকায় আমি দুর্ভাগ্যবশত সেটায় অভিনয় করতে পারিনি। এটা আমার সারাজীবনের আক্ষেপ। বাবাও আমার ওপর খুব অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন। বুদ্ধদেব আমার অনেক কাজ দেখে বাহবা দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, আবারো ভালো কোনো গল্প নিয়ে আমরা একসাথে কাজ করবো, আশা করি ঋতুপর্ণা আপনাকে পাবো। পুরো নাম ধরেই তিনি আমাকে ডাকতেন। উনার মেয়ে আর আমি একই স্কুলে পড়তাম।'
শোকাহত ঋতুপর্ণা বলেন, 'তার সম্পর্কে বলার মতো আমি খুব ক্ষুদ্র মানুষ। তিনি যে পরিধিতে কাজ করেছেন এবং আমাদের যা দিয়ে গেছেন বা দেখিয়ে গেছেন বা রেখে গেছেন সেটা একটা 'টেক্সবুক' এর মতো। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম তা পড়বে। এরকম একজন 'ম্যাজিকাল পারসোনালিটি' আজ আমাদের মাঝে নেই, একথাটা ভাবতেও পারছিনা। ভাববোও না। কারণ তিনি যে লেগেসি রেখে গেছেন বা যে লেগেসি থাকবে সেটা আমাদের সবার জন্য বিশাল এক প্রাপ্তি।'
বুদ্ধদেব পরিচালিত ছবিগুলোর মধ্যে তার পছন্দের কোনগুলো জানতে চাইলে ঋতুপর্ণা বলেন, 'আমার ব্যক্তিগত পছন্দ বাঘবাহাদুর, চরাচর, গৃহযুদ্ধ, তাহাদের কথা।'
'একজন মননশীল ব্যক্তিত্ব। তার অনেক গুণ। তিনি একজন কবি। তিনি নির্মাতা। অসাধারণ সমালোচক। অনেককিছুই মাথায় আসে এই নামটির সাথে। আজ আমাদের জীবনে এক কালো দিন। এতো বড় একজন নির্মাতা যার দ্বারা আমরা সমৃদ্ধ, যার অবদানে ভারতীয় চলচ্চিত্র আপ্লুত, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যার কারণে আমাদের সম্মাননা বা পুরস্কার প্রাপ্তি তিনি আমার কাছে নমস্য। পুরো চলচ্চিত্র পরিবারের কাছেই তিনি একজন 'ফেনোমেনা', ঋতুপর্ণা যোগ করেন।
উল্লেখ্য, বাংলা সিনেমা এবং বাংলা কবিতা দুই জগতেই অবাধ বিচরণ ছিল বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত'র। তিনি তৈরি করেছেন 'বাঘ বাহাদুর', 'লাল দরজা', 'গৃহযুদ্ধ', 'চরাচর', 'মন্দ মেয়ের উপাখ্যান', 'কালপুরুষ', 'উত্তরা', 'স্বপ্নের দিন', 'তাহাদের কথা'র মত ছবি'। তার মৃত্যুতে দুই বাংলার সংস্কৃতিনুরাগীদের মধ্যে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। এই পরিচালকের মৃত্যুতে শোকবার্তা পাঠিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মানবজমিনকে ফোনে ঋতুপর্ণা বলেন, 'বুদ্ধদেব মানেই আন্তর্জাতিক মান, আন্তর্জাতিক সম্মাননা, ভারতীয় চলচ্চিত্রকে একটি গ্লোবাল প্ল্যাটফর্মে দেখা। খুব ছোটবেলায় চাচা আমাকে 'গৃহযুদ্ধ' সিনেমাটি দেখান। তখন ছবিটির মর্ম সেভাবে না বুঝলেও সেটা ছিল ভালো সিনেমার সাথে আমার পরিচয়। পরে বড় হয়ে যখন আবার দেখলাম তখন সেটা মূল্যায়ন করতে পারলাম। বুঝলাম কিভাবে একজন মানুষ চরিত্রগুলোকে এভাবে 'এক্সপ্লোর' করতে পারেন।"
বুদ্ধদেবের সাথে নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে ঋতুপর্ণা বলেন, 'আমি অবাক হয়েছিলাম যখন তার মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একজন পরিচালক আমাকে 'মন্দ মেয়ের উপাখ্যান' এ অভিনয়ের জন্য নির্বাচিত করেছিলেন। তখন আমি ক্যারিয়ারের একদম শুরুতে। আমি ওরকম একটা চরিত্রে অভিনয় করতে পারবো কিনা তা নিয়ে দ্বিধায় ভুগলেও তিনি ঠিকই আস্থা রেখেছিলেন যে সেটা আমি-ই করতে পারবো। শেষ পর্যন্ত ছবিটি সে বছর 'বেস্ট ফিল্ম' হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিল। সেটা ছিল আমার জন্য খুব বড় এক প্রাপ্তি। তার পরবর্তী ছবি 'উত্তরা' যা ছিল আরেকটি আলোড়নকারী সৃষ্টি, সেটাতেও তিনি আমাকে অভিনয়ের প্রস্তাব করেছিলেন। আমার বাবাকে গল্প পাঠিয়ে চিঠিও লিখেছিলেন। কিন্তু অনেকগুলো কাজে তখন ব্যস্ত থাকায় আমি দুর্ভাগ্যবশত সেটায় অভিনয় করতে পারিনি। এটা আমার সারাজীবনের আক্ষেপ। বাবাও আমার ওপর খুব অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন। বুদ্ধদেব আমার অনেক কাজ দেখে বাহবা দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, আবারো ভালো কোনো গল্প নিয়ে আমরা একসাথে কাজ করবো, আশা করি ঋতুপর্ণা আপনাকে পাবো। পুরো নাম ধরেই তিনি আমাকে ডাকতেন। উনার মেয়ে আর আমি একই স্কুলে পড়তাম।'
শোকাহত ঋতুপর্ণা বলেন, 'তার সম্পর্কে বলার মতো আমি খুব ক্ষুদ্র মানুষ। তিনি যে পরিধিতে কাজ করেছেন এবং আমাদের যা দিয়ে গেছেন বা দেখিয়ে গেছেন বা রেখে গেছেন সেটা একটা 'টেক্সবুক' এর মতো। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম তা পড়বে। এরকম একজন 'ম্যাজিকাল পারসোনালিটি' আজ আমাদের মাঝে নেই, একথাটা ভাবতেও পারছিনা। ভাববোও না। কারণ তিনি যে লেগেসি রেখে গেছেন বা যে লেগেসি থাকবে সেটা আমাদের সবার জন্য বিশাল এক প্রাপ্তি।'
বুদ্ধদেব পরিচালিত ছবিগুলোর মধ্যে তার পছন্দের কোনগুলো জানতে চাইলে ঋতুপর্ণা বলেন, 'আমার ব্যক্তিগত পছন্দ বাঘবাহাদুর, চরাচর, গৃহযুদ্ধ, তাহাদের কথা।'
'একজন মননশীল ব্যক্তিত্ব। তার অনেক গুণ। তিনি একজন কবি। তিনি নির্মাতা। অসাধারণ সমালোচক। অনেককিছুই মাথায় আসে এই নামটির সাথে। আজ আমাদের জীবনে এক কালো দিন। এতো বড় একজন নির্মাতা যার দ্বারা আমরা সমৃদ্ধ, যার অবদানে ভারতীয় চলচ্চিত্র আপ্লুত, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যার কারণে আমাদের সম্মাননা বা পুরস্কার প্রাপ্তি তিনি আমার কাছে নমস্য। পুরো চলচ্চিত্র পরিবারের কাছেই তিনি একজন 'ফেনোমেনা', ঋতুপর্ণা যোগ করেন।
উল্লেখ্য, বাংলা সিনেমা এবং বাংলা কবিতা দুই জগতেই অবাধ বিচরণ ছিল বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত'র। তিনি তৈরি করেছেন 'বাঘ বাহাদুর', 'লাল দরজা', 'গৃহযুদ্ধ', 'চরাচর', 'মন্দ মেয়ের উপাখ্যান', 'কালপুরুষ', 'উত্তরা', 'স্বপ্নের দিন', 'তাহাদের কথা'র মত ছবি'। তার মৃত্যুতে দুই বাংলার সংস্কৃতিনুরাগীদের মধ্যে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। এই পরিচালকের মৃত্যুতে শোকবার্তা পাঠিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।