বাংলারজমিন
ঠাকুরগাঁওয়ে সরকারি ঘর পেতে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ, আটক ১
স্টাফ রিপোর্টার, ঠাকুরগাঁও থেকে
১০ জুন ২০২১, বৃহস্পতিবার, ২:৩২ অপরাহ্ন
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ নিয়ে ঘুষ নেয়ার অভিযোগে আবুল কালাম আজাদ নামে একজনকে আটকের পর পুলিশে কাছে সোপর্দ করেছে ঘর বঞ্চিত অসহায় পরিবারের লোকজন ও উৎসুক জনতা । গতকাল এ ঘটনায় হরিপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, সরকারি ঘর বরাদ্দের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে হরিপুর উপজেলার ভাতুরিয়া ইউনিয়নের রামপুর গৃহায়ন প্রকল্প এলাকা থেকে আটকের পর তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদে আটক আবুল কালাম আজাদ জানায়, সে হরিপুর ইউএনও’র আওতায় সরকারি প্রকল্পের ঘর তৈরির মালামাল সরবরাহের দায়িত্বে ছিল। সেই সুযোগে ইউএনও’র শ্যালক তানবিন হাসান ঘর বরাদ্দের নাম করে আবুল কালাম আজাদকে দিয়ে ওই এলাকার প্রায় ৮-৯ জনের কাছে ১ লাখ ৬৯ হাজার গ্রহণ করে। এ বিষয়ে ভুক্তভুগী সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে হরিপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী সাইদুল ইসলাম ও ভুক্তভুগী ওহাব আলী, এরশাদ আলী অভিযোগ করে বলেন, আবুল কালাম আজাদ ঘর নির্মাণের কাজে দেখভালের দায়িত্বে ছিল। আর ইউএনও’র শ্যালক তানবিন প্রকল্প এলাকায় নিয়মিত আসা যাওয়া করতো। আমাদের ৯ জনকে ঘর দেয়ার কথা বললে আমরা মহাজন থেকে ঋণ নিয়ে তাদের কথামত আবুল কালাম আজাদকে টাকা দেই মাথাগোঁজার ঠাই পাওয়ার আশায়। আমরা নিশ্চিত ছিলাম যেহেতু ইউএনও’র শ্যালক টাকা দিতে বলেছে ঘর পাবো। কিন্তু ঘর বরাদ্দের ফাইনাল তালিকায় আমাদের নাম না থাকায় তাদের কাছে টাকা ফেরত চাইলে কালক্ষেপণ করে। পরে আবুল কালাম আজাদকে সবাই আটক করে পুলিশে দেয়। আমরা আমাদের টাকা ফেরতের পাশাপাশি তারা আরো অনেক ব্যক্তির কাছে টাকা নিয়েছে তা তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দাবি করছি।
হরিপুর উপজেলার ইউএনও আব্দুল করিমের মতামত চাওয়ার জন্য মুঠোফনে যোগোযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে হরিপুর থানার ওসি এস এম আওরঙ্গজেব বলেন, জিঙ্গাসাবাদে আটক আবুল কালাম আজাদ অর্থ নেয়ার কথা স্বীকার করেছে। আর ইউএনও’র শ্যালক তাকে ঘর বরাদ্দের জন্য স্থানীয়দের কাছে টাকা নেয়ার নির্দেশ দেয় বলে স্বীকার করে। মামলার এজাহারে আবুল কালাম আজাদকে আসামি করা হয়েছে। আর অর্থ লেনদেনের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ইউএনও’র শ্যালক তানবিনের নাম এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার তদন্তে সব বেরিয়ে আসবে।
এর আগে ওই উপজেলার একই প্রকল্পের বজ্রমতলি (শান্তির নীড়) ঘর নির্মাণের কিছুদিন পরই ফাটল ধরে বেশ কয়েকটি ঘরে। ঘর বরাদ্দ পাওয়া বাসিন্দারা ঘর তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগ তুললে পরে তা ভেঙ্গে পুনরায় নির্মাণ করে দেন ইউএনও।
পুলিশ জানায়, সরকারি ঘর বরাদ্দের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে হরিপুর উপজেলার ভাতুরিয়া ইউনিয়নের রামপুর গৃহায়ন প্রকল্প এলাকা থেকে আটকের পর তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদে আটক আবুল কালাম আজাদ জানায়, সে হরিপুর ইউএনও’র আওতায় সরকারি প্রকল্পের ঘর তৈরির মালামাল সরবরাহের দায়িত্বে ছিল। সেই সুযোগে ইউএনও’র শ্যালক তানবিন হাসান ঘর বরাদ্দের নাম করে আবুল কালাম আজাদকে দিয়ে ওই এলাকার প্রায় ৮-৯ জনের কাছে ১ লাখ ৬৯ হাজার গ্রহণ করে। এ বিষয়ে ভুক্তভুগী সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে হরিপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী সাইদুল ইসলাম ও ভুক্তভুগী ওহাব আলী, এরশাদ আলী অভিযোগ করে বলেন, আবুল কালাম আজাদ ঘর নির্মাণের কাজে দেখভালের দায়িত্বে ছিল। আর ইউএনও’র শ্যালক তানবিন প্রকল্প এলাকায় নিয়মিত আসা যাওয়া করতো। আমাদের ৯ জনকে ঘর দেয়ার কথা বললে আমরা মহাজন থেকে ঋণ নিয়ে তাদের কথামত আবুল কালাম আজাদকে টাকা দেই মাথাগোঁজার ঠাই পাওয়ার আশায়। আমরা নিশ্চিত ছিলাম যেহেতু ইউএনও’র শ্যালক টাকা দিতে বলেছে ঘর পাবো। কিন্তু ঘর বরাদ্দের ফাইনাল তালিকায় আমাদের নাম না থাকায় তাদের কাছে টাকা ফেরত চাইলে কালক্ষেপণ করে। পরে আবুল কালাম আজাদকে সবাই আটক করে পুলিশে দেয়। আমরা আমাদের টাকা ফেরতের পাশাপাশি তারা আরো অনেক ব্যক্তির কাছে টাকা নিয়েছে তা তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দাবি করছি।
হরিপুর উপজেলার ইউএনও আব্দুল করিমের মতামত চাওয়ার জন্য মুঠোফনে যোগোযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে হরিপুর থানার ওসি এস এম আওরঙ্গজেব বলেন, জিঙ্গাসাবাদে আটক আবুল কালাম আজাদ অর্থ নেয়ার কথা স্বীকার করেছে। আর ইউএনও’র শ্যালক তাকে ঘর বরাদ্দের জন্য স্থানীয়দের কাছে টাকা নেয়ার নির্দেশ দেয় বলে স্বীকার করে। মামলার এজাহারে আবুল কালাম আজাদকে আসামি করা হয়েছে। আর অর্থ লেনদেনের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ইউএনও’র শ্যালক তানবিনের নাম এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার তদন্তে সব বেরিয়ে আসবে।
এর আগে ওই উপজেলার একই প্রকল্পের বজ্রমতলি (শান্তির নীড়) ঘর নির্মাণের কিছুদিন পরই ফাটল ধরে বেশ কয়েকটি ঘরে। ঘর বরাদ্দ পাওয়া বাসিন্দারা ঘর তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগ তুললে পরে তা ভেঙ্গে পুনরায় নির্মাণ করে দেন ইউএনও।