বিশ্বজমিন
বিশ্ববাসীর চোখ বাইডেন-পুতিনের দিকে
মানবজমিন ডেস্ক
১০ জুন ২০২১, বৃহস্পতিবার, ১১:০৩ পূর্বাহ্ন
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথম কোনো সরকারি বিদেশ সফরে বুধবার তিনি বৃটেনে পৌঁছেছেন। এদিন তিনি রাশিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেন, যদি তারা কোন ‘হার্মফুল এক্টিভিটি’ বা ক্ষতিকর কর্মকা-ের সঙ্গে যুক্ত হয় তাহলে এর দৃঢ় ও অর্থপূর্ণ পরিণতি ভোগ করতে হবে। বৃটেন পৌঁছে তিনি বৃটিশ বিমান ঘাঁটিতে প্রায় ১০০০ সেনা কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারবর্গের সামনে বক্তব্য রাখেন। সেখানেই তিনি পুতিনের উদ্দেশে স্পষ্ট বার্তা পৌঁছে দেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি এবং বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
আগামী সপ্তাহে ন্যাটো, জি৭ এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে সামিটের পাশাপাশি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে জো বাইডেনের। এ কারণেই ন্যাটো সম্মেলন, জি৭ বা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে তার বৈঠকের চেয়ে সবার দৃষ্টি কেড়েছে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক। এর কারণ বহুবিধ। যুক্তরাষ্ট্রের এক নম্বর বিরোধী শক্তি হিসেবে পুতিনকে দেখা হয়। এ ছাড়া ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুতিনের মদতে রাশিয়া হস্তক্ষেপ করেছিল বলে গোয়েন্দা সংস্থাসহ বিভিন্ন মিডিয়া তথ্যপ্রমাণ হাজির করে। বলা হয়, ওই নির্বাচনে ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন যাতে বিজয়ী হতে না পারেন, সেজন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে কাজ করেছিল রাশিয়া। এ কারণে ওই নির্বাচনে হিলারি পরাজিত হয়েছেন বলে ব্যাপকভাবে বিশ্বাস করা হয়। এবার ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন সেই ডেমোক্রেট দলের প্রার্থী জো বাইডেন। ফলে তার দলকে ২০১৬ সালে নির্বাচনে হারানোর জন্য পুতিনের কাছে তিনি কৈফিয়ত চাইতে পারেন।
এ ছাড়া সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা বা সরকারি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে হ্যাকাররা হামলা করে হ্যাক করেছে। এসব হ্যাকার রাশিয়ার বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের দিকে শ্যেন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রাশিয়া। আবার রাশিয়াকেও মিত্র বা বন্ধু হিসেবে মেনে নিতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্র। ফলে শীতলযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বর্তমানে এই দুটি দেশের মধ্যে তীব্র বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। এমন অবস্থার প্রেক্ষিতে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছেন জো বাইডেন। বুধবার বৃটেন পৌঁছে তিনি সেনা কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সঙ্গে বৈঠকে বলেছেন, আমরা রাশিয়ার সঙ্গে সংঘাত চাই না। আমরা একটি স্থিতিশীল এবং অনুমেয় সম্পর্ক প্রত্যাশা করতে চাই। তবে আমি এ বিষয়টি পরিষ্কার করে বলতে চাই- যদি রাশিয়ার সরকার ক্ষতিকর কর্মকা-ে লিপ্ত হয় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তার শক্তিশালী এবং অর্থপূর্ণ জবাব দেবে।
এ সফরে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করার ইচ্ছা আছে বাইডেনের। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে যে উত্তেজনাকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল, তা ঝালাই করে নেয়ার চেষ্টা করবেন বাইডেন। এ জন্য বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে তার বৈঠক করার কথা রয়েছে। সেই বৈঠকে নতুন একটি ‘আটলান্টিক চার্টার’ চুক্তি স্বাক্ষরের কথা রয়েছে। ১৯৪১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট এবং বৃটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল। সেই চুক্তিকে আধুনিক রূপ দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে জোর দেয়া হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন এবং নিরাপত্তার মতো ইস্যু।
বিবিসির রাজনৈতিক সম্পাদক লরা কুয়েন্সবার্গ বলেছেন, এই সাক্ষাতে বাইডেন ও বরিস জনসন গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে নতুন করে রূপ দেবেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অধীনে এই সম্পর্কে টান ধরেছিল। জো বাইডেনের এই ইউরোপ সফর হবে আটদিনের। এ সময় তিনি উইন্ডসর ক্যাসেলে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। যোগ দেবেন জি৭ নেতাদের বৈঠকে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথমবারের মতো ন্যাটো সম্মেলনে যোগ দেবেন।
সফরের শেষের দিকে জেনেভার ব্রাসেলসে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার সাক্ষাত হওয়ার কথা। পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে হোয়াইট হাউজ থেকে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে যে, তিনি একটি পূর্ণাঙ্গ ইস্যুভিত্তিক চাপ সৃষ্টি করবেন পুতিনের ওপর। এর মধ্যে রয়েছে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, জলবায়ু পরিবর্তন, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক উপস্থিতি, রাশিয়ার সাইবার হ্যাকিং কর্মকা- এবং ভিন্ন মতাবলম্বী অ্যালেক্সি নাভালনিকে জেলে রাখার ইস্যু। ওদিকে বুধবার নাভালনির সঙ্গে যুক্ত তিনটি সংগঠনকে মস্কোর একটি আদালত নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। তাদেরকে কট্টরপন্থি বা উগ্রপন্থি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
আগামী সপ্তাহে ন্যাটো, জি৭ এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে সামিটের পাশাপাশি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে জো বাইডেনের। এ কারণেই ন্যাটো সম্মেলন, জি৭ বা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে তার বৈঠকের চেয়ে সবার দৃষ্টি কেড়েছে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক। এর কারণ বহুবিধ। যুক্তরাষ্ট্রের এক নম্বর বিরোধী শক্তি হিসেবে পুতিনকে দেখা হয়। এ ছাড়া ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুতিনের মদতে রাশিয়া হস্তক্ষেপ করেছিল বলে গোয়েন্দা সংস্থাসহ বিভিন্ন মিডিয়া তথ্যপ্রমাণ হাজির করে। বলা হয়, ওই নির্বাচনে ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন যাতে বিজয়ী হতে না পারেন, সেজন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে কাজ করেছিল রাশিয়া। এ কারণে ওই নির্বাচনে হিলারি পরাজিত হয়েছেন বলে ব্যাপকভাবে বিশ্বাস করা হয়। এবার ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন সেই ডেমোক্রেট দলের প্রার্থী জো বাইডেন। ফলে তার দলকে ২০১৬ সালে নির্বাচনে হারানোর জন্য পুতিনের কাছে তিনি কৈফিয়ত চাইতে পারেন।
এ ছাড়া সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা বা সরকারি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে হ্যাকাররা হামলা করে হ্যাক করেছে। এসব হ্যাকার রাশিয়ার বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের দিকে শ্যেন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রাশিয়া। আবার রাশিয়াকেও মিত্র বা বন্ধু হিসেবে মেনে নিতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্র। ফলে শীতলযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বর্তমানে এই দুটি দেশের মধ্যে তীব্র বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। এমন অবস্থার প্রেক্ষিতে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছেন জো বাইডেন। বুধবার বৃটেন পৌঁছে তিনি সেনা কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সঙ্গে বৈঠকে বলেছেন, আমরা রাশিয়ার সঙ্গে সংঘাত চাই না। আমরা একটি স্থিতিশীল এবং অনুমেয় সম্পর্ক প্রত্যাশা করতে চাই। তবে আমি এ বিষয়টি পরিষ্কার করে বলতে চাই- যদি রাশিয়ার সরকার ক্ষতিকর কর্মকা-ে লিপ্ত হয় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তার শক্তিশালী এবং অর্থপূর্ণ জবাব দেবে।
এ সফরে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করার ইচ্ছা আছে বাইডেনের। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে যে উত্তেজনাকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল, তা ঝালাই করে নেয়ার চেষ্টা করবেন বাইডেন। এ জন্য বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে তার বৈঠক করার কথা রয়েছে। সেই বৈঠকে নতুন একটি ‘আটলান্টিক চার্টার’ চুক্তি স্বাক্ষরের কথা রয়েছে। ১৯৪১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট এবং বৃটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল। সেই চুক্তিকে আধুনিক রূপ দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে জোর দেয়া হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন এবং নিরাপত্তার মতো ইস্যু।
বিবিসির রাজনৈতিক সম্পাদক লরা কুয়েন্সবার্গ বলেছেন, এই সাক্ষাতে বাইডেন ও বরিস জনসন গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে নতুন করে রূপ দেবেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অধীনে এই সম্পর্কে টান ধরেছিল। জো বাইডেনের এই ইউরোপ সফর হবে আটদিনের। এ সময় তিনি উইন্ডসর ক্যাসেলে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। যোগ দেবেন জি৭ নেতাদের বৈঠকে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথমবারের মতো ন্যাটো সম্মেলনে যোগ দেবেন।
সফরের শেষের দিকে জেনেভার ব্রাসেলসে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার সাক্ষাত হওয়ার কথা। পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে হোয়াইট হাউজ থেকে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে যে, তিনি একটি পূর্ণাঙ্গ ইস্যুভিত্তিক চাপ সৃষ্টি করবেন পুতিনের ওপর। এর মধ্যে রয়েছে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, জলবায়ু পরিবর্তন, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক উপস্থিতি, রাশিয়ার সাইবার হ্যাকিং কর্মকা- এবং ভিন্ন মতাবলম্বী অ্যালেক্সি নাভালনিকে জেলে রাখার ইস্যু। ওদিকে বুধবার নাভালনির সঙ্গে যুক্ত তিনটি সংগঠনকে মস্কোর একটি আদালত নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। তাদেরকে কট্টরপন্থি বা উগ্রপন্থি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।