অনলাইন
প্রসঙ্গ অর্থ পাচার
বিদেশে কারও লাইফ স্টাইল ফলো করা দূতাবাসের কাজ নয়: পররাষ্ট্র সচিব
কূটনৈতিক রিপোর্টার
১০ জুন ২০২১, বৃহস্পতিবার, ৯:৩৭ পূর্বাহ্ন
কানাডার বেগমপাড়া কিংবা মালয়েশিয়ার সেকেন্ড হোম- বিভিন্ন দেশে হঠাৎ পয়সাওয়ালা বাংলাদেশিদের আলিশান বাড়ি-গাড়ি, বিলাসী জীবনে দেশ থেকে অবৈধভাবে পাচার হওয়া অর্থের প্রভাব নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে সর্বত্র। খোদ জাতীয় সংসদের বাজেট আলোচনায় অর্থ পাচার রোধে সরকারের নির্লিপ্ততা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে। এমনকি এসব বিষয়ে বিদেশ থেকে তথ্য সংগ্রহে দূতাবাস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তথা সরকার যথেষ্ট আন্তরিক নয় বলেও সমালোচনা চলছে। কিন্তু পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন মনে করেন, বিদেশ থেকে তথ্য সংগ্রহ একটি জটিল প্রক্রিয়া। চাইলেও বাংলাদেশ মিশনগুলো অর্থ পাচারের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ কিংবা সরবরাহ করতে পারে না।
বুধবার সন্ধ্যায় নিজ দপ্তরের বাইরে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, বিদেশে বাংলাদেশিদের লাইফ স্টাইল ফলো করা দূতাবাস কিংবা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়। সুনির্দিষ্টভাবে কারও বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের তথ্য সংগ্রহের বিষয় হলে একভাবে এপ্রোচ করা যায়, কিন্তু একজন বিদেশি নাগরিক অর্থাৎ আগে বাংলাদেশি ছিলেন, এখন অন্য দেশের নাগরিক, সেই ব্যক্তি সম্পর্কে তথ্য চাইলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তথ্য দিতে বাধ্য নয়। তাছাড়া অর্থ পাচারের তথ্য সংগ্রহ একটি জটিল আইনি প্রক্রিয়া। এটির আইনি দিক আছে। সচিব বলেন, বিভিন্ন দেশ প্রাইভেসি আইন দিয়ে তার নাগরিকের সম্পদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে, এটা আমাদের বুঝতে হবে। আমি দূতাবাসকে বললাম আর দূতাবাস পেয়ে গেলো বা দিয়ে দিলো, বিষয়টা এতোটা সহজ নয়। সব কিছু একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। তবে সচিব বলেন, কেউ যদি অন্যায়ভাবে বা দুর্নীতির মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচার করে থাকে এবং সেক্ষেত্রে যদি অপরাধমূলক কিছু থেকে থাকে, তাহলে সরকার ইন্টারপোলের মাধ্যমে পদক্ষেপ নিতে পারে। তখন সংশ্লিষ্ট দেশের তথ্য প্রদানে দায়বদ্ধতার সৃষ্টি হয়। কিন্তু সে ক্ষেত্রেও সব দেশ তথ্য দিতে বাধ্য নয়। মোটা অংকের অর্থ পাচার করে বিদেশে পলাতক ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনও পদক্ষেপ নিতে পারে কি-না জানতে চাইলে সচিব বলেন, এটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ না এবং এটি কাম্যও নয়। তার মতে, দেশে যেসব দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনস্টিটিউশন আছে যেমন বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিনানশিয়্যাল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, দুদক, এসবি, ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ, তারা আইন ভাঙ্গার বিষয়গুলি দেখে। এ নিয়ে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কাজের প্রয়োজন বিষয়ে সচিব বলেন, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসট্যান্স বা এমএলএর একটা ম্যাকানিজম আছে। কিছু দেশের সঙ্গে এমএলএর কাঠামো চূড়ান্তকরণের বিষয়টি এখনও পাইপলাইনে। ওই ম্যাকানিজমের আওতায় প্রমাণিত অপরাধীকে ফেরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অবশ্যকরণীয় রয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় নিজ দপ্তরের বাইরে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, বিদেশে বাংলাদেশিদের লাইফ স্টাইল ফলো করা দূতাবাস কিংবা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়। সুনির্দিষ্টভাবে কারও বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের তথ্য সংগ্রহের বিষয় হলে একভাবে এপ্রোচ করা যায়, কিন্তু একজন বিদেশি নাগরিক অর্থাৎ আগে বাংলাদেশি ছিলেন, এখন অন্য দেশের নাগরিক, সেই ব্যক্তি সম্পর্কে তথ্য চাইলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তথ্য দিতে বাধ্য নয়। তাছাড়া অর্থ পাচারের তথ্য সংগ্রহ একটি জটিল আইনি প্রক্রিয়া। এটির আইনি দিক আছে। সচিব বলেন, বিভিন্ন দেশ প্রাইভেসি আইন দিয়ে তার নাগরিকের সম্পদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে, এটা আমাদের বুঝতে হবে। আমি দূতাবাসকে বললাম আর দূতাবাস পেয়ে গেলো বা দিয়ে দিলো, বিষয়টা এতোটা সহজ নয়। সব কিছু একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। তবে সচিব বলেন, কেউ যদি অন্যায়ভাবে বা দুর্নীতির মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচার করে থাকে এবং সেক্ষেত্রে যদি অপরাধমূলক কিছু থেকে থাকে, তাহলে সরকার ইন্টারপোলের মাধ্যমে পদক্ষেপ নিতে পারে। তখন সংশ্লিষ্ট দেশের তথ্য প্রদানে দায়বদ্ধতার সৃষ্টি হয়। কিন্তু সে ক্ষেত্রেও সব দেশ তথ্য দিতে বাধ্য নয়। মোটা অংকের অর্থ পাচার করে বিদেশে পলাতক ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনও পদক্ষেপ নিতে পারে কি-না জানতে চাইলে সচিব বলেন, এটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ না এবং এটি কাম্যও নয়। তার মতে, দেশে যেসব দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনস্টিটিউশন আছে যেমন বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিনানশিয়্যাল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, দুদক, এসবি, ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ, তারা আইন ভাঙ্গার বিষয়গুলি দেখে। এ নিয়ে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কাজের প্রয়োজন বিষয়ে সচিব বলেন, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসট্যান্স বা এমএলএর একটা ম্যাকানিজম আছে। কিছু দেশের সঙ্গে এমএলএর কাঠামো চূড়ান্তকরণের বিষয়টি এখনও পাইপলাইনে। ওই ম্যাকানিজমের আওতায় প্রমাণিত অপরাধীকে ফেরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অবশ্যকরণীয় রয়েছে।