প্রথম পাতা
দশ বছরে সর্বোচ্চ লেনদেন পুঁজিবাজারে
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
১০ জুন ২০২১, বৃহস্পতিবার, ৯:৪৫ অপরাহ্ন
গত ১০ বছরে গতকাল সর্বোচ্চ লেনদেনের রেকর্ড গড়লো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। এদিন ডিএসইতে ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা লেনদেন হয়। যা সর্বকালের সর্বোচ্চ লেনদেন থেকে মাত্র ১০ কোটি টাকা কম। এর আগে ২০১০ সালে মহা ধসের আগে ৫ই জানুয়ারি লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৭১০ কোটি টাকা। এ ছাড়া গত রোববার লেনদেন হয় ২ হাজার ৬৬৯ কোটি টাকা।
এদিকে গত রোববারের মতোই লেনদেন সাড়ে ১০ বছরের মধ্যে নতুন উচ্চতায় পৌঁছার দিন পুঁজিবাজারে উচ্ছ্বাস আর হতাশার মিশ্র অনুভূতি দেখা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে মাত্র ১০ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হয়। ২০২১-২২ অর্থবছরে সেই সুযোগ দেয়া হয়নি। সেই হিসেবে আগামী ৩০শে জুনের পর কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগ থাকছে না। এ সুযোগের কারণে কয়েকদিন ধরে বাজারে কালোটাকার একটি অংশ ঢুকছে, যা লেনদেন বাড়াতে ভূমিকা রাখছে।
কালোটাকার বিষয়ে প্রস্তাবিত বাজেটে কিছুই বলেননি অর্থমন্ত্রী। এ কারণে ধরে নেয়া হচ্ছে চলতি অর্থবছর মাত্র ১০ শতাংশ কর দিয়ে শেয়ারবাজারে কালোটাকা বিনিয়োগের যে সুযোগ দেয়া হয়, তা আগামী অর্থবছর থাকবে না। ফলে ৩০শে জুনের পর ১০ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা যাবে না।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, রেকর্ড লেনদেনের দিন শেয়ারবাজারে মূল্য সূচক উত্থান হয়েছে। সেই সঙ্গে দাম বেড়েছে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের। এদিন দাম বেড়েছে ২০৮টি কোম্পানির, কমেছে ১২৪টির। আর অপরিবর্তিত ছিল ৩৭টির। লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৬৫ কোটি টাকা। একদিনের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৬৪০ কোটি টাকা। বেশির ভাগ শেয়ারের দাম বৃদ্ধির দিন সূচকও বেড়েছে ৩১ পয়েন্ট, যদিও দিনের শুরুতে এর চেয়ে বেশি বৃদ্ধির ইঙ্গিত ছিল। সকালে লেনদেনের শুরুতেই উত্থান ঘটা পুঁজিবাজারে একপর্যায়ে সূচক ৭৩ পয়েন্ট বেড়েছিল। তবে শেষ দেড় ঘণ্টায় ৩১ পয়েন্ট ও শেষ আধা ঘণ্টায় ১৮ পয়েন্ট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত সূচক দাঁড়ায় ৬ হাজার ৫৫ পয়েন্টে। ২০১৮ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারির পর সূচকের এটি সর্বোচ্চ অবস্থান। সেদিন সূচক ছিল ৬ হাজার ৫০ পয়েন্ট।
ডিএসই’র এক সদস্য বলেন, বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী শেয়ারবাজারে কালোটাকা বিনিয়োগের যে তথ্য দিয়েছেন, অর্থবছর শেষে তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে পুঁজিবাজারে তার থেকে অনেক বেশি কালোটাকা ঢুকেছে। কারণ কালোটাকার বড় অংশ এই জুন মাসে ঢুকেছে এবং মাসের বাকি দিনগুলোতেও ঢুকবে। শেয়ারবাজারে এখন যে তেজিভাব রয়েছে, তার পেছনে কালোটাকা বড় ভূমিকা পালন করেছে।
ডিএসই’র পরিচালক মো. শাকিল রিজভী বলেন, এক বছর ধরেই শেয়ারবাজার ভালো অবস্থানে রয়েছে। এর পেছনে বেশকিছু বিষয় কাজ করেছে। করোনার কারণে মানুষের বিকল্প বিনিয়োগকারীদের সুযোগ কমে গেছে। ব্যাংকের সুদের হারও কম। আবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বেশকিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। যা বাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়িয়েছে। এর সঙ্গে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে শেয়ারবাজারে কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া হয়। এটিও শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
এদিকে রেকর্ড লেনদেনের দিনে টাকার অঙ্কের ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১৫৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ৭৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৬৫ কোটি ৯০ লাখ টাকার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ন্যাশনাল পলিমার। এ ছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ন্যাশনাল ফিড, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের, ইসলামিক ফাইন্যান্স, এনআরবিসি ব্যাংক, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ও ফরচুন সুজ।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই আগের দিনের চেয়ে ৮৪.৩৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫১৫ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে মোট ৭৬ কোটি টাকা। লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৮২টির, কমেছে ৯৬টির। দর পাল্টায়নি ৩১টির।
এদিকে গত রোববারের মতোই লেনদেন সাড়ে ১০ বছরের মধ্যে নতুন উচ্চতায় পৌঁছার দিন পুঁজিবাজারে উচ্ছ্বাস আর হতাশার মিশ্র অনুভূতি দেখা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে মাত্র ১০ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হয়। ২০২১-২২ অর্থবছরে সেই সুযোগ দেয়া হয়নি। সেই হিসেবে আগামী ৩০শে জুনের পর কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগ থাকছে না। এ সুযোগের কারণে কয়েকদিন ধরে বাজারে কালোটাকার একটি অংশ ঢুকছে, যা লেনদেন বাড়াতে ভূমিকা রাখছে।
কালোটাকার বিষয়ে প্রস্তাবিত বাজেটে কিছুই বলেননি অর্থমন্ত্রী। এ কারণে ধরে নেয়া হচ্ছে চলতি অর্থবছর মাত্র ১০ শতাংশ কর দিয়ে শেয়ারবাজারে কালোটাকা বিনিয়োগের যে সুযোগ দেয়া হয়, তা আগামী অর্থবছর থাকবে না। ফলে ৩০শে জুনের পর ১০ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা যাবে না।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, রেকর্ড লেনদেনের দিন শেয়ারবাজারে মূল্য সূচক উত্থান হয়েছে। সেই সঙ্গে দাম বেড়েছে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের। এদিন দাম বেড়েছে ২০৮টি কোম্পানির, কমেছে ১২৪টির। আর অপরিবর্তিত ছিল ৩৭টির। লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৬৫ কোটি টাকা। একদিনের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৬৪০ কোটি টাকা। বেশির ভাগ শেয়ারের দাম বৃদ্ধির দিন সূচকও বেড়েছে ৩১ পয়েন্ট, যদিও দিনের শুরুতে এর চেয়ে বেশি বৃদ্ধির ইঙ্গিত ছিল। সকালে লেনদেনের শুরুতেই উত্থান ঘটা পুঁজিবাজারে একপর্যায়ে সূচক ৭৩ পয়েন্ট বেড়েছিল। তবে শেষ দেড় ঘণ্টায় ৩১ পয়েন্ট ও শেষ আধা ঘণ্টায় ১৮ পয়েন্ট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত সূচক দাঁড়ায় ৬ হাজার ৫৫ পয়েন্টে। ২০১৮ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারির পর সূচকের এটি সর্বোচ্চ অবস্থান। সেদিন সূচক ছিল ৬ হাজার ৫০ পয়েন্ট।
ডিএসই’র এক সদস্য বলেন, বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী শেয়ারবাজারে কালোটাকা বিনিয়োগের যে তথ্য দিয়েছেন, অর্থবছর শেষে তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে পুঁজিবাজারে তার থেকে অনেক বেশি কালোটাকা ঢুকেছে। কারণ কালোটাকার বড় অংশ এই জুন মাসে ঢুকেছে এবং মাসের বাকি দিনগুলোতেও ঢুকবে। শেয়ারবাজারে এখন যে তেজিভাব রয়েছে, তার পেছনে কালোটাকা বড় ভূমিকা পালন করেছে।
ডিএসই’র পরিচালক মো. শাকিল রিজভী বলেন, এক বছর ধরেই শেয়ারবাজার ভালো অবস্থানে রয়েছে। এর পেছনে বেশকিছু বিষয় কাজ করেছে। করোনার কারণে মানুষের বিকল্প বিনিয়োগকারীদের সুযোগ কমে গেছে। ব্যাংকের সুদের হারও কম। আবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বেশকিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। যা বাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়িয়েছে। এর সঙ্গে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে শেয়ারবাজারে কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া হয়। এটিও শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
এদিকে রেকর্ড লেনদেনের দিনে টাকার অঙ্কের ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১৫৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ৭৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৬৫ কোটি ৯০ লাখ টাকার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ন্যাশনাল পলিমার। এ ছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ন্যাশনাল ফিড, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের, ইসলামিক ফাইন্যান্স, এনআরবিসি ব্যাংক, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ও ফরচুন সুজ।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই আগের দিনের চেয়ে ৮৪.৩৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫১৫ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে মোট ৭৬ কোটি টাকা। লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৮২টির, কমেছে ৯৬টির। দর পাল্টায়নি ৩১টির।