অনলাইন
করোনায় মৃতের প্রথম ক্লিনিক্যাল অটোপসি, সামনে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
নিজস্ব সংবাদদাতা
৯ জুন ২০২১, বুধবার, ৪:৪৬ অপরাহ্ন
করোনা সংক্রমণে মৃত ব্যক্তির ক্লিনিক্যাল অটোপসির রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলো। যা পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই, ভারতের মধ্যেও প্রথমবার বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। তিন সপ্তাহ আগে গণদর্পণের প্রতিষ্ঠাতা ও রাজ্যে মরণোত্তর দেহদানের পথিকৃৎ ব্রজ রায়ের মৃত্যু হয়। তার ইচ্ছে ছিল, মরণোত্তর দেহ দান করার। কিন্তু সেই সাধ পূরণ হয়নি। তবে তার দেহ ক্লিনিক্যাল অটোপসির জন্য রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের হাতে তুলে দেয়া হয়। ক্লিনিক্যাল অটোপসির দায়িত্ব বর্তায় আর জি কর মেডিকেল কলেজের উপর। তিন বিশেষজ্ঞের কমিটি গঠিত হয়। এই চিকিৎসক দল ব্রজ রায়ের দেহ ৪০টি ধাপে অটোপসি করে। দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, চামড়া, কিডনি, ফুসফুস থেকে ব্রেন সমস্ত কিছুর আলাদা আলাদাভাবে পরীক্ষা করে দেখা হয়। প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে পর্যায়ক্রমে অটোপসি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এবার বুধবার প্রকাশ্যে এলো সেই অটোপসির রিপোর্ট। এতদিন পর্যন্ত যেটা জানা গিয়েছিল, করোনায় আক্রান্ত হলে ফুসফুসে বদল আসছে, ফুসফুসে সংক্রমণ এতটাই মারাত্মক হয়ে উঠছে, যার কারণবশত রোগীর মৃত্যু হচ্ছে। ব্রজ রায়ের প্যাথোলজিকাল পোস্ট মর্টেম থেকে জানা যাচ্ছে, করোনায় আক্রান্ত হলে ফুসফুস ও কিডনির বদল এসেছে। প্রসঙ্গত, ব্রজ রায় আগে থেকেই কিডনি রোগে আক্রান্ত ছিলেন। কিন্তু এমন কিছু জিনিস লক্ষ্য করা গেছে, যা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরই ঘটেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে , মানুষের শ্বাসনালী দিয়ে ঢুকে ফুসফুসের আস্তরণ নষ্ট করে ফেলছে ভাইরাস। অক্সিজেন ঢোকা ও কার্বন ডাই অক্সাইড বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াটাই বাধা পাচ্ছে। যে কারণেই রোগীর শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। একইভাবে কিডনিরও ক্ষতি করছে করোনাভাইরাস। করোনাতে মৃত্যু হলে সে শরীরের কোনও ময়নাতদন্ত করার নিয়ম এখনো সেভাবে চালু হয়নি। কারণ দেহ সঙ্গে সঙ্গে সৎকার করে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু সব বাধা কাটিয়ে আরজিকর মেডিকেলে প্রথম এই ধরণের ময়না তদন্ত করা হলো। যা আগামীদিনে গবেষণার নতুন দিক খুলে দিল বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।