বাংলারজমিন
৬ দফা আন্দোলনে শহীদ মনু মিয়াকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ
বিয়ানীবাজার (সিলেট) প্রতিনিধি
২০২১-০৬-০৮
৬ দফা আন্দোলনের শহীদ মনু মিয়াকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছেন তার গ্রামের বাড়ির লোকজন। দিনটি উপলক্ষে পৌর শহরের নয়াগ্রামে নির্মিত মনু মিয়া স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৬৬ সনের ৭ই জুন বাঙালির মুক্তি সনদ ৬ দফা তথা স্বাধিকার আন্দোলনে শহীদ হন পঞ্চখণ্ড তথা বিয়ানীবাজারের সূর্য সন্তান ফখরুল দৌলা মনু মিয়া। একজন সাধারণ মানুষ থেকে স্বদেশের জন্য, স্বজাতির জন্য আত্মত্যাগের মাধ্যমে অসাধারণ হয়ে ওঠেন মনু মিয়া। তার বাড়ি বিয়ানীবাজার উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের বড়দেশ গ্রামে, বর্তমানে পৌর শহরের নয়াগ্রামে বাস করেন তাদের পরিবার। পিতা মনহুর আলী খানের ৬ পুত্র ও ৩ কন্যার মধ্যে দ্বিতীয় ছিলেন তিনি। পরিবারের আর্থিক অভাব অনটনের কারণে প্রাথমিকের বেশি লেখাপড়া করতে পারেননি। ২০-২২ বছর বয়স পর্যন্ত বাড়িতে গৃহস্থালি কাজ করেন। অতঃপর জীবন ও জীবিকার তাড়নায় ঢাকায় পাড়ি দেন। গাড়ি চালানো শিখে চাকরি নেন এক কোমল পানীয়ের কোম্পানিতে। একেবারেই গ্রাম থেকে উঠে আসা শ্রমিক মনু মিয়ার শরীরে তখনও ছিল মাটির ঘ্রাণ, মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত সেই প্রত্যয় ধারণ করেছিলেন মনু মিয়া। ৭ই জুন সকাল ১১টা। তেজগাঁও শিল্প এলাকার শ্রমিক কর্মচারীরা মিছিল নিয়ে রাজপথে বেরিয়ে পড়ে। অবস্থান নেয় তেজগাঁও রেলস্টেশনের আউটার সিগনালের কাছে। অবরোধ করে রেললাইন। পুলিশ প্রহরায়ও রেল চালাতে ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে পুলিশ প্রতিবাদকারী শ্রমিক-জনতার ওপর গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন ৩০ বছর বয়সী শ্রমিক মনু মিয়া। মনু মিয়ার লাশ নিয়ে ছাত্র-জনতা ও শ্রমিকরা বিশাল বিক্ষোভ মিছিল করে। বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সারা দেশ। এরই ধারাবাহিকতায় মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা।
স্বাধীনতার পর শহীদ মনু মিয়ার স্মৃতি রক্ষার উদ্যোগ নেয় বঙ্গবন্ধুর সরকার। রাজধানী ঢাকার তেজগাঁও নাখালপাড়ায় তার নামে ‘মনু মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এছাড়াও স্থানীয়ভাবে শহীদ মনু মিয়ার কোনো স্মৃতিচিহ্ন রক্ষার্থে বিয়ানীবাজারের যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের অর্থায়নে স্থাপনকৃত স্মৃতিসৌধ ২০১৭ সালের ১৯শে আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।
এদিনের সকল কর্মসূচিতে অংশ নেয়ায় বিয়ানীবাজারবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন শহীদ মনু মিয়া স্মৃতি পরিষদের আহ্বায়ক মো. আলী আহমদ ও সদস্য সচিব খালেদ জাফরী।
১৯৬৬ সনের ৭ই জুন বাঙালির মুক্তি সনদ ৬ দফা তথা স্বাধিকার আন্দোলনে শহীদ হন পঞ্চখণ্ড তথা বিয়ানীবাজারের সূর্য সন্তান ফখরুল দৌলা মনু মিয়া। একজন সাধারণ মানুষ থেকে স্বদেশের জন্য, স্বজাতির জন্য আত্মত্যাগের মাধ্যমে অসাধারণ হয়ে ওঠেন মনু মিয়া। তার বাড়ি বিয়ানীবাজার উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের বড়দেশ গ্রামে, বর্তমানে পৌর শহরের নয়াগ্রামে বাস করেন তাদের পরিবার। পিতা মনহুর আলী খানের ৬ পুত্র ও ৩ কন্যার মধ্যে দ্বিতীয় ছিলেন তিনি। পরিবারের আর্থিক অভাব অনটনের কারণে প্রাথমিকের বেশি লেখাপড়া করতে পারেননি। ২০-২২ বছর বয়স পর্যন্ত বাড়িতে গৃহস্থালি কাজ করেন। অতঃপর জীবন ও জীবিকার তাড়নায় ঢাকায় পাড়ি দেন। গাড়ি চালানো শিখে চাকরি নেন এক কোমল পানীয়ের কোম্পানিতে। একেবারেই গ্রাম থেকে উঠে আসা শ্রমিক মনু মিয়ার শরীরে তখনও ছিল মাটির ঘ্রাণ, মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত সেই প্রত্যয় ধারণ করেছিলেন মনু মিয়া। ৭ই জুন সকাল ১১টা। তেজগাঁও শিল্প এলাকার শ্রমিক কর্মচারীরা মিছিল নিয়ে রাজপথে বেরিয়ে পড়ে। অবস্থান নেয় তেজগাঁও রেলস্টেশনের আউটার সিগনালের কাছে। অবরোধ করে রেললাইন। পুলিশ প্রহরায়ও রেল চালাতে ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে পুলিশ প্রতিবাদকারী শ্রমিক-জনতার ওপর গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন ৩০ বছর বয়সী শ্রমিক মনু মিয়া। মনু মিয়ার লাশ নিয়ে ছাত্র-জনতা ও শ্রমিকরা বিশাল বিক্ষোভ মিছিল করে। বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সারা দেশ। এরই ধারাবাহিকতায় মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা।
স্বাধীনতার পর শহীদ মনু মিয়ার স্মৃতি রক্ষার উদ্যোগ নেয় বঙ্গবন্ধুর সরকার। রাজধানী ঢাকার তেজগাঁও নাখালপাড়ায় তার নামে ‘মনু মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এছাড়াও স্থানীয়ভাবে শহীদ মনু মিয়ার কোনো স্মৃতিচিহ্ন রক্ষার্থে বিয়ানীবাজারের যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের অর্থায়নে স্থাপনকৃত স্মৃতিসৌধ ২০১৭ সালের ১৯শে আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।
এদিনের সকল কর্মসূচিতে অংশ নেয়ায় বিয়ানীবাজারবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন শহীদ মনু মিয়া স্মৃতি পরিষদের আহ্বায়ক মো. আলী আহমদ ও সদস্য সচিব খালেদ জাফরী।