বই থেকে নেয়া

মওদুদ আহমদ যখন রিমান্ডে (৬৮)

‘শেখ সেলিম তার এফআইআর-এর কপি দেখিয়েছে আমাকে’

স্টাফ রিপোর্টার

৬ জুন ২০২১, রবিবার, ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন

শুক্রবার ২৫ এপ্রিল ২০০৮ দিন ৩৭৯
কোনো সভ্য সমাজেই এমন বিতর্কিত ও উদ্দেশ্যতাড়িত মামলায় জামিন লাভ থেকে দেশের উচ্চতম আদালত কাউকে বঞ্চিত করেন না। তবে আমাদের আপিল বিভাগ তা করায় সকল শ্রেণীর জনগণ তীব্র প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছে। এই রায়ের মাধ্যমে সুপ্রীম কোর্ট তার নিজের ভাবমূর্তি অবনমিত করেছেন এবং জনগণের সামনে নিজের মর্যাদাকে খাটো করে তুলেছেন। সুপ্রীম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবীরা এক বৈঠকে এই রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন ও তা প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। তবে এ সংক্রান্ত কোনো সংবাদ সংবাদপত্রে ছাপানোর ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
কাকতালীয়ভাবে, এ মামলার রায় দেওয়ার সময় সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী মিসেস চেরী ব্লেয়ার আদালতে ছিলেন এবং শুনে আশ্চর্যান্বিত হয়েছেন। আমি নিশ্চিত যে, সুপ্রীম কোর্টের ওপর কীভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে সে সম্পর্কে এই রায় তাকে সুস্পষ্ট একটা ধারণা দিয়েছে।

শনিবার ২৬ এপ্রিল ২০০৮ দিন ৩৮০
ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটবে। এমনকি গণতন্ত্র ফিরে এলেও শাসকরা তাদের ফ্যাসিস্ট চরিত্র বহাল রাখবেন এবং একধরনের নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্র চালু রাখার চেষ্টা করবেন। মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, আইনের শাসন ইত্যাদি থাকলেও তা হবে সীমিত আকারের। এ প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়বে, অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে ভারতের উপর নির্ভরশীলতা বাড়বে। এমনকি দেশের সামগ্রিক রাজনীতিও চলে যাবে ভারতের হাতে। সমাজে গণতান্ত্রিক ও মধ্যপন্থী শক্তি তাদের প্রভাব হারাবে। সমাজে দেখা দেবে অস্থিরতা। একদিকে ফ্যাসিবাদ এবং অন্যদিকে সৃষ্টি হবে প্রতিক্রিয়াশীল ও মৌলবাদী গোষ্ঠীর শক্তি। অরাজকতা ও সামাজিক দ্বন্দ্ব বেড়ে যাওয়ায় সৃষ্টি হবে এক গৃহযুদ্ধের পরিবেশ এবং ক্রমশ বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবার পথে এগিয়ে যাবে।

রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০০৮ দিন ৩৮১
দিনের বেলা প্রায় ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না। এখানে এমন কেউ নেই যার কাছে আমরা। এ নিয়ে অভিযোগ করতে পারি। এমন অবস্থায় দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও জেল কর্তৃপক্ষ সচরাচর দেখা দেন না। কারণ, তারাও ভালো করেই জানেন যে, কিছু করার উপায় তাদের নেই। আমি হাসপাতাল কিংবা পুরনো ঢাকার কোর্টরুমে হাতবদল করা আমার সেক্রেটারি অশোক ভট্টাচার্যের টাইপ করা পাণ্ডুলিপি মোমবাতির মৃদু আলোতে সংশোধন করে সময় কাটাচ্ছি।
শেখ সেলিম তার বিরুদ্ধে দায়ের করা এফআইআর-এর কপি দেখিয়েছে আমাকে। এটা কোনো মামলাই না। এফআইআর-এ উল্লেখিত অভিযোগ দিয়ে দণ্ডবিধিতে কোনো মামলাই দায়ের করা যায় না। আমি এই মামলা খারিজের জন্য আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে তাঁকে পরামর্শ দিয়েছি।
আমি এখন জন গ্রিশাম-এর দি ইনোসেন্ট ম্যান বইটি পড়ছি। এতে দেখানো হয়েছে যে, আমেরিকাতেও বিচার প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি, নির্যাতন, মিথ্যা সাক্ষী ইত্যাদি রয়েছে। তবে এ ধরনের দৃষ্টান্ত খুবই কম। অথচ আমাদের দেশে তা একরকম সিস্টেমের অংশ হয়ে গেছে। পশ্চিমা দেশগুলোতে তা কিছুটা ব্যতিক্রমধর্মী ঘটনা হতে পারে, তবে একেবারে হয় না এমনটি বলা যাবে না।

সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০০৮ দিন ৩৮২
বাতি নেই। বাতাসহীন উষ্ণতা ও আর্দ্রতা প্রায় সহ্যাতীত হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে আমি বাস করছি নরকতুল্য এক স্থানে। কিন্তু কেন? কী দোষ করেছি আমি?
সংবাদপত্রের শীর্ষ শিরোনামে ছাপা হয়েছে, হাসিনা বলেছেন, তিনি কিছুতেই রাজনীতি ছেড়ে দেবেন না। ড. কামাল হোসেনকে তিনি বিশ্বাসঘাতক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এও অভিযোগ করেছেন যে, ড. কামাল হোসেন ১০২ কোটি কালো টাকা সাদা করেছেন।
প্রায় ৫০ জন বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হলেও হাফিজ উদ্দিনসহ অন্যান্য সংস্কারবাদী নেতারা চলাফেরা করছেন পুলিশি নিরাপত্তাধীনে- যদিও তারা খুব কমই প্রকাশ্যে বের হচ্ছেন ।

মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০০৮ দিন ৩৮৩
আমি প্রায়ই নিজেকে প্রশ্ন করি, কেন আমি এই জেলখানায়? কেন আমাকে গ্রেফতার করা হলো? এই সিদ্ধান্ত নিল কে? দুর্নীতিবাজ হিসেবে আমার কোনো বদনাম নেই, সরকার দুর্নীতিবাজদের যে তালিকা পত্রিকায় ছাপিয়েছে তাতে আমার নাম কখনো ওঠেনি। গত পাঁচ বছর ধরে আমি ছিলাম আইনমন্ত্রী, যেখানে কোনো ক্রয় বা কন্ট্রাক্ট। কাউকে দিয়ে অর্থ আত্মসাতের কোনো সুযোগও নেই। কোনো সরবরাহ বা ক্রয় সংক্রান্ত কেবিনেট কমিটির সদস্যও আমি ছিলাম না। আমার পদের ধরন ও মর্যাদা অনেক বেশি এবং সাধারণত সৎ ও সম্মানী লোকদের মধ্য থেকেই আইনমন্ত্রী নিয়োগ করা হয়ে থাকে। তাহলে আমাকে কেন বন্দীদশায় রাখা হয়েছে? এটা কি হিংসা, ঘৃণাবোধ, প্রতিহিংসা নাকি ক্রোধ? কিন্তু কেন? আমি তো জ্ঞাতসারে কোনোদিন কারো প্রতি কোনো অন্যায় করিনি। জুলুম করিনি।
খুব সম্ভবত এটি হলো একটি রাজনৈতিক কারণ। আমি বলী হয়েছি এমন সব লোকজনের ষড়যন্ত্রে যারা এদেশ থেকে জাতীয়তাবাদী নেতৃত্বকে সমূলে উৎখাত করতে চায়। আমার কোনো কোনো শুভাকাক্সক্ষীরা বলেন, সিআইএ-এর অনুরূপ ভারতীয় ‘র’ এর পরামর্শে এ কাজ করা হয়েছে। আমি সব সময়েই ভারতের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলার পক্ষে মত পোষণ করেছি, তবে আমার শর্ত হচ্ছে সে সুসম্পর্ক জাতীয় স্বার্থের সাথে আপোষ করে নয়। আমি ভারতবিরোধী নই। বরং ভারতের সাফল্যে আমি ঈর্ষাবোধ করি। পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে আমি ভারতের প্রশংসা করি এবং তাদের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করার অনুপ্রেরণাও পাই। তবে একই সাথে আমি একজন প্রো-বাংলাদেশী। আমি আমার জাতীয় সার্বভৌমত্বকে লুণ্ঠিত হতে বা আমার দেশের জনগণের মানমর্যাদা ভূলুণ্ঠিত হতে দেখতে চাই না। এই স্বাধীনতার তীব্র আকাক্সক্ষাই আমাকে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী উপনিবেশবাদী শাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণে অনুপ্রাণিত করেছিল।
লন্ডনে থাকাকালে ছাত্রাবস্থায় আমরা প্রথম লন্ডনের হাইবারি হিলস-এ ‘ইস্ট পাকিস্তান হাউসের গোড়াপত্তন ঘটিয়ে স্বাধীনতা আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটিয়েছিলাম এবং তারপর থেকে অনবরত আন্দোলন চালিয়ে শেষ পর্যন্ত জনগণের মুক্তির আকাক্সক্ষায় চূড়ান্ত বিজয়ের লক্ষ্যে ১৯৭১ সালে যোগ দিয়েছিলাম মুক্তিযুদ্ধে । এখনো যদি আমাদের পূর্ব পাকিস্তানী জনগণেরই সুপ্ত আশা আকাক্সক্ষাকে বাস্তবে রূপদানের জন্য আত্মসমর্পণ করে চলতে হয়, তাহলে পাকিস্তান ভেঙে স্বাধীনতা যুদ্ধে যাওয়ার কী প্রয়োজন ছিল? শুধুমাত্র আমাদের দেশকে ভারতের অধীনস্থ একটি ভূখণ্ডে পরিণত করার জন্য?
পা ফোলার পাশাপাশি আরো কয়েকটি রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য আবার হাসপাতালে যেতে হয়েছে আমাকে।

বুধবার ৩০ এপ্রিল ২০০৮ দিন ৩৮৪
তবে আমি আমার এই বন্দীত্বকে দার্শনিক তত্ত্বের ভিত্তিতে বিশ্লেষণ করতে চাই। হয়তো অলৌকিক দৃষ্টিভঙ্গিতে বিচার করলে আল্লাহর ইচ্ছায় আমার মঙ্গলের জন্যই এটি হয়েছে। এতে হয়তো আমার সমস্ত পাপ সংশোধনের জন্য আমাকে একটা সুযোগ দেওয়া হয়েছে এবং আল্লাহর একজন অনুতপ্ত বান্দা হিসেবে মহান আল্লাহর দরবারে আরো গভীরতর ইবাদতের ফলে আমি তার নিকটতর কোনো সান্নিধ্যে পৌছাতে পারবো। জীবনের সর্বশেষ পর্যায়ে এসে এবার আমার জন্য এক মহাসুযোগ উপস্থিত হয়েছে। এর জন্য আমি সবিশেষ কৃতজ্ঞ আল্লাহর কাছে। তার কাছে ক্ষমা চাওয়ার সময় আমি আমার ওপর সকল নির্যাতন ও অত্যাচারের দুঃখবোধ, বন্দীত্বের একাকীত্ব এবং হাসনা, আমান ও আনাকে নিয়ে আমার চিন্তাবোধ বিস্মৃত হই। এছাড়া আল্লাহ আমাকে আরো একটি বা একাধিক বই লেখার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন।
কাজেই মাঝে-মধ্যে আমি অনুভব করি যে, আমি একটা অত্যন্ত প্রচ্ছন্ন মন নিয়ে ইবাদত করতে পারছি এবং তার সাথে সাথে এক স্বর্গীয় আনন্দময় পরিবেশে আমি এখন আমার বই লেখার কাজও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।

বৃহস্পতিবার ১ মে ২০০৮ দিন ৩৮৫
আজ আন্তর্জাতিক শ্রম দিবস।
দুর্নীতি দমন কমিশন শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আনীত নাইকো চুক্তির মামলায় দুটি পৃথক চার্জশিট অনুমোদন করেছে। এতে ২৩ হাজার কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়েছে যা এককথায় শিশুসুলভ, হাস্যকর, ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক একটি মামলা, যে অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। এটা ছিল শেখ হাসিনার শাসনামলের সম্পাদিত একটি চুক্তি যা ধারাবাহিকভাবে খালেদা জিয়া সরকারের শাসনামলেও এসে পড়ে, আমি এ মামলায় খালেদা জিয়ার সাথে একজন সহ-অভিযুক্ত। কারণ, আন্তর্জাতিক একটি চুক্তির ধারাবাহিকতা বজায় রেখে তা পরবর্তী সরকারের আমলেও অব্যাহত রাখার জন্য আইন মন্ত্রণালয় একটি মতামত  দিয়েছিল- কারণ তা না করা হলে বিগত সরকারকে দায়ী করা হতো। তাছাড়া এতে করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিনিয়োগকারীদের কাছে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হতো, এমনকি মামলা হতে পারতো। অন্যদিকে তা ছিল আইন মন্ত্রণালয়ের একটি মতামত, আমার নিজস্ব কোনো মতামত নয়। সাধারণ নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এই মন্ত্রণালয়ের ছয়জন সিনিয়র অফিসারের স্বাক্ষরযুক্ত অবস্থায় এটি পাঠানো হয়েছিল আমার কাছে। এ ছিল আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আনীত দুর্নীতির অভিযোগগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম চার্জশিট, যদিও এতে কেবল রাষ্ট্রীয় ক্ষতিসাধনের। কথা বলা হয়েছে এবং অভিযুক্তের কোনো ব্যক্তিগত লাভ লোকসানের বিষয়ে কোনো প্রসঙ্গই উত্থাপন করা হয়নি।

শুক্রবার ২ মে ২০০৮ দিন ৩৮৬
শ্রম দিবস উপলক্ষে সংবাদপত্র অফিসগুলো বন্ধ থাকায় আজ কোনো কাগজ প্রকাশিত হয়নি।
আমি ইতিমধ্যে আমার বইয়ের টাইপ করা পাণ্ডুলিপির প্রায় ৯০০ পৃষ্ঠা সংশোধন করে এনেছি। সংশোধনীর প্রথম পর্যায় শেষ করতে আমাকে আরো প্রায় ২০০ পৃষ্ঠা সংশোধন করতে হবে। এই অগ্রগতি খুবই সন্তোষজনক।
আমার কারাজীবন অব্যাহত থাকলে এরপর কী করা যায় তা নিয়ে ভাবতে হবে আমাকে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, তা প্রলম্বিতই হবে। আমি গালগল্পে আমার মূল্যবান সময় নষ্ট করা একেবারেই পছন্দ করি না। এটা সব সময়ই আমার স্বভাব বিরুদ্ধ। সময়টাকে কাজে লাগাতেই আমি বেশি পছন্দ করি।

শনিবার ৩ মে ২০০৮ দিন ৩৮৭
কারাভ্যন্তরে আমাকে অপমানিত করার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। গত তিন মাস যাবৎ ডাক্তারের পরামর্শে আমার পেট ভালো রাখার জন্য আমি নিজের পয়সায় বাড়তি হিসেবে কাঁচা করলা ও একটি কাঁচা পেঁপে বেঁধে নেওয়ার জন্য জেল সুপারের অনুমতি নিয়ে রেখেছিলাম। কিন্তু আজ থেকে হঠাৎ করেই তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেন? কোনো কারণ নেই এবং এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলাও হবে অর্থহীন। জেলগেট থেকে সবজিগুলো ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের কি জেলখানায় বাঁচার জন্য খাওয়া দাওয়ারও অধিকার নেই?

চলবে...
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status