ভারত

কোভিড ভাইরাসের রহস্য উন্মোচনে সফল দা সিকার বললেন, নিরাপত্তার জন্য নাম প্রকাশ করতে চাই না

বিশেষ সংবাদদাতা, কলকাতা

৬ জুন ২০২১, রবিবার, ১০:১৪ পূর্বাহ্ন

গোটা বিশ্ব এখন তাকে চেনে দা সিকার নামে। নিজেকে সম্পূর্ণ অজ্ঞাতে রেখে পূর্ব ভারতের কোনো জায়গায় বসে বিশ্বের ত্রাস কোভিড ভাইরাসের রহস্য অনেকটাই উন্মোচন করেছেন তিনি। মধ্য কুড়ির এই গবেষকের প্রতিভা অপরিসীম। সিকারের গবেষণাকে স্বীকৃতি দিয়েছে গোটা বিশ্ব। অনেকটাই উন্মোচিত হয়েছে ৬০ ন্যানোমিটারের  কালান্তক ভাইরাসের স্বরূপ। বিশ্ব নতুন করে ভাবতে শিখেছে এই ভাইরাস নিয়ে। পুনের বিজ্ঞানী দম্পতি মোনালি রাহিলকার ও রাহুল বহুলকার এই গবেষণার অঙ্গ। তবে, দা সিকারের তারা সহযোগী মাত্র। তারা কোনোদিন সিকারকে দেখেননি। তাদের যা কিছু আদান-প্রদান সব ইন্টারনেটের মাধ্যমেই। তাদের কাছ থেকে টিপস পেয়ে এনক্রিপটেড ই-মেইলের মাধ্যমে টাইমস অব ইন্ডিয়া সাক্ষাৎকার নিয়েছে এই স্থপতি, ফিল্মমেকার ও প্রাক্তন বিজ্ঞান শিক্ষকের। এত গোপনীয়তা কেন?  সিকার এই প্রশ্নের জবাবে প্রথমেই জানিয়ে দেন, তিনি কোনো খ্যাতির জন্য, কোনো পুরস্কারের জন্য, কোনো স্বীকৃতির জন্য গত একবছর ধরে এই গবেষণা করছেন না। তিনি কোনো মূল্যেই নিজের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতেও চান না, তাই এত গোপনীয়তা। চীনা ভাষা তিনি কিছুটা জানেন। সেই সূত্রেই কোভিড ভাইরাসের অনেক অজানা দিক তার গবেষণায় স্পষ্ট হয়ে গেছে। তিনিই প্রথম গোটা বিশ্বকে এই মারণ ভাইরাসের সঙ্গে চীনের উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরালজির যোগসূত্রটি আবিষ্কার করেন। ২০১২ সালে ৬ জন খনি কর্মী উহানের মজায়াং প্রদেশে বাদুড় অধ্যুষিত একটি খনিতে কাজ করতে গিয়েছিল। ৬ জনই  শ্বাসপ্রশ্বাস জনিত রোগে আক্রান্ত হয়। তাদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়। গবেষণায় দেখা যায় যে, সার্স কোভিডের অনুরূপ ভাইরাস এই অসুখের কারণ। এই মাস্টার রিসার্চের সাহায্যে দা সিকারের অনুসন্ধানধর্মী ইন্টারনেট সংস্থা দা ড্রাস্টিক কোভিড ভাইরাসের উৎসের অনেক কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। এতটাই কাছাকাছি যে অচিরেই হয়তো বলা সম্ভব হবে এই ডেডলি ভাইরাস মানুষের দ্বারা উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে সৃষ্টি হয়েছে কিনা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও দা সিকারের এই গবেষণা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। তিনি শুধু জানিয়েছেন যে আরো প্রমাণ, আরো তথ্য দরকার। সিকার জানাচ্ছেন, তার দৃঢ় বিশ্বাস, গবেষণায় আরো তথ্য, আরও প্রমাণ উঠে আসবে। পুনের বিজ্ঞানী দম্পতি মোনালি ও রাহুল এর ভাইরাস সম্পর্কিত গবেষণা দা সিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তিনি ড্রাস্টিকের কর্মকা-ের সঙ্গে তাদের যুক্ত করেন। মোনালি কিংবা রাহুলও দা সিকার সম্পর্কে বেশি কিছু জানেনা, শুধু জানে অসম্ভব মেধাযুক্ত মানুষটা ভাইরাসের উৎসের কাছাকাছি পৌঁছেছেন। আর একটু পথ যেতে পারলেই মানবসভ্যতার সব থেকে বড় কিলারের সন্ধান মিলবে। দা সিকারের দিনরাতের বেশির ভাগ সময়টাই এই গবেষণায়  ব্যয় হয়। দা সিকার বললেন, জয় আসবেই।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status