বাংলারজমিন
রাজাপুরে আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, আটক ৩
রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি
১৮ মে ২০২১, মঙ্গলবার, ১০:১৪ পূর্বাহ্ন
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়নের চড় হাইলারকাঠি এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ঘর থেকে টেনে বের করে হালিম খলিফা (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন প্রতিপক্ষরা। সেই সাথে নারী সহ তিন জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১ জনকে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শেবাচিমে প্রেরণ করা হয়েছে এবং রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে একজনকে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী সুমী বেগমকে সাধারণ চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত হালিম খলিফা মঠবাড়ি ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
নিহত হালিম খলিফার স্ত্রী সুমী বেগম বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সোমবার বিকেলে আমার স্বামীকে খুন করার হুমকি দেয় প্রতিপক্ষরা। পরবর্তীতে সন্ধ্যায় আমার বাড়ির সামনে অনেকগুলো মোটরসাইকেল ও মানুষ দেখতে পাই। তখন আমার স্বামীকে বাঁচাতে ঘরের ভিতরে নিয়ে দরজা আটকে দেই। দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী আমার ঘরের দরজা ভেঙে গনি খলিফার ছেলে মন্টু খলিফা (৪১), মন্টু খলিফার ভাগিনা আজিজ হাওলাদারের ছেলে উজ্জল, আবু মোল্লার ছেলে কবির মোল্লা, সেলিম খান এর ছেলে তুহিন, কহিনুর বেগম, সেলিম খান, শাহিন, সোহাগ, সজীব, শামিম ও শাওনসহ ১৫/২০ জন্য পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামীকে টেনে নিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি কালভার্টের উপর ফেলে পেটের নিচে বাম পায়ের সংযোগস্থল কেটে ফেলে। তখন অমার ভাই লিটন আমার স্বামীকে বাঁচাতে গেলে তার পায়ের রগ কেটে দেয় প্রতিপক্ষরা। আমার ছোটো ভাই সাইফুল ও আমি আমার স্বামীকে বাঁচাতে গেলে সন্ত্রাসীরা আমাদেরকেও কুপিয়ে আহত করে। এরপরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আমার স্বামী ও ভাইদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসার জন্য রওনা হলে পথিমধ্যে তুহিন আমাদের গাড়ী আটকে দেয়। তখন আমাদের ডাকচিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে তাদের সহয়তায় আমরা হাসপাতালে আসি।
রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক হালিম খলিফাকে মৃত ঘোষণা করে এবং লিটনের অবস্থা বেগতিক থাকায় তাকে রবিশাল শেবাচিমে প্রেরণ করেন।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শহিদুল ইসলাম বলেন জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় রাজাপুর থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং মন্টু ও তার স্ত্রী সহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
নিহত হালিম খলিফার স্ত্রী সুমী বেগম বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সোমবার বিকেলে আমার স্বামীকে খুন করার হুমকি দেয় প্রতিপক্ষরা। পরবর্তীতে সন্ধ্যায় আমার বাড়ির সামনে অনেকগুলো মোটরসাইকেল ও মানুষ দেখতে পাই। তখন আমার স্বামীকে বাঁচাতে ঘরের ভিতরে নিয়ে দরজা আটকে দেই। দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী আমার ঘরের দরজা ভেঙে গনি খলিফার ছেলে মন্টু খলিফা (৪১), মন্টু খলিফার ভাগিনা আজিজ হাওলাদারের ছেলে উজ্জল, আবু মোল্লার ছেলে কবির মোল্লা, সেলিম খান এর ছেলে তুহিন, কহিনুর বেগম, সেলিম খান, শাহিন, সোহাগ, সজীব, শামিম ও শাওনসহ ১৫/২০ জন্য পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামীকে টেনে নিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি কালভার্টের উপর ফেলে পেটের নিচে বাম পায়ের সংযোগস্থল কেটে ফেলে। তখন অমার ভাই লিটন আমার স্বামীকে বাঁচাতে গেলে তার পায়ের রগ কেটে দেয় প্রতিপক্ষরা। আমার ছোটো ভাই সাইফুল ও আমি আমার স্বামীকে বাঁচাতে গেলে সন্ত্রাসীরা আমাদেরকেও কুপিয়ে আহত করে। এরপরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আমার স্বামী ও ভাইদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসার জন্য রওনা হলে পথিমধ্যে তুহিন আমাদের গাড়ী আটকে দেয়। তখন আমাদের ডাকচিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে তাদের সহয়তায় আমরা হাসপাতালে আসি।
রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক হালিম খলিফাকে মৃত ঘোষণা করে এবং লিটনের অবস্থা বেগতিক থাকায় তাকে রবিশাল শেবাচিমে প্রেরণ করেন।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শহিদুল ইসলাম বলেন জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় রাজাপুর থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং মন্টু ও তার স্ত্রী সহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।