দেশ বিদেশ

বাংলাদেশ ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে

স্টাফ রিপোর্টার

১৮ মে ২০২১, মঙ্গলবার, ৯:৪১ অপরাহ্ন

বাংলাদেশ ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা। গতকাল বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্যসংঘ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তারা এ মন্তব্য করেন। ‘এঙিলারেটিং ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন ইন চ্যালেঞ্জিং টাইমস’- এই প্রতিপাদ্য নিয়ে জাতিসংঘের অঙ্গ সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) এর ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মতো বাংলাদেশের  ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং  বিটিআরসি  প্রতিবছর নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে আসছে। করোনার কারণে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা সম্ভব না হলেও এ বছর ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও বিটিআরসি’র উদ্যোগে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিপুল সম্ভাবনা এবং একে সমাজ ও অর্থনীতির কল্যাণে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে সকলকে সচেতন করাই দিবসটি উদযাপনের মূল লক্ষ্য। দিবসটি উপলক্ষে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বাণী দিয়েছেন। আইটিইউ-এর মহাসচিব হাউলিন ঝাওও শুভেচ্ছা বার্তা দেন। এই উপলক্ষে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন্স ইউনিয়ন ও ইউনিভার্সেল পোস্টাল ইউনিয়নের সদস্যপদ গ্রহণ, ১৯৭৫ সালের ১৪ই জুন বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র চালু এবং টি অ্যান্ড টি বোর্ড প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে জাতির পিতা  ডিজিটাল টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তির বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করেছিলেন। কৃষিভিত্তিক এই ভূ-খণ্ডে লাঙ্গল জোঁয়াল ছাড়া আর কোনো প্রযুক্তি ছিল না। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা যান্ত্রিক যুগের শিল্পায়নেও যুক্ত ছিলাম না। প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে ৯৬-২০০১ ও গত ১২ বছরের বাংলাদেশ অভাবনীয় পরিবর্তন ঘটেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। প্রত্যন্ত গ্রামের শিশুটিও মোবাইলে ক্লাস করছে উল্লেখ করে শিক্ষায় ডিজিটাল রূপান্তরের অগ্রদূত জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ডিজিটাল সক্ষমতার নজির স্থাপন করেছে। বাংলাদেশের ইউনিয়ন পর্যন্ত এমনকি দুর্গম দ্বীপ, চর ও হাওরাঞ্চলে পর্যন্ত ফাইভ-জি কানেক্টিভিটি দেয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছি। উইসিস এর সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাফা জব্বার  বলেন, ২০০৩ সালে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় বিশ্ব সম্মেলনে তৎকালীন সরকার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা করেননি। এমনকি পরবর্তী ফলোআপ সম্মেলনে পর্যন্ত অংশ নেয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার তথ্য সমাজ প্রতিষ্ঠার সেই ধাপ অতিক্রম করে ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে  অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন এবং অ্যামটব চেয়ারম্যান মাহতাব উদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। মন্ত্রী ১৭ই মে বাংলাদেশের জাতীয় জীবনের এক অনন্য দিন হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, বাঙালি জাতির জন্য এই দিনটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা পঁচাত্তর পরবর্তী ছয় বছরের লড়াই, দুঃখ-কষ্ট, নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করে বাংলাদেশে পদার্পণ করেছিলেন। তিনি ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির মতো দুঃসাহসিক ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন কর্মসূচি না নিলে আজকের এই বাংলাদেশ আমরা পেতাম না। প্রথম আন্তর্জাতিক টেলিগ্রাফ কনভেনশন এবং আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (আইটিইউ) প্রতিষ্ঠার স্মারক হিসেবে ১৯৬৯ সালের ১৭ই মে হতে প্রতিবছর বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস পালিত হয়ে আসছে। প্রথম আন্তর্জাতিক টেলিগ্রাফ কনভেনশন এবং আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (আইটিইউ) প্রতিষ্ঠার স্মারক হিসেবে ১৯৬৯ সালের ১৭ই মে হতে প্রতি বছর বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস পালিত হয়ে আসছে। পরবর্তীতে তথ্য- প্রযুক্তির বিকাশের ধারাবাহিকতায় ২০০৬ সাল হতে ১৭ই মে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status