প্রথম পাতা
ইতিহাস আর কেউ মুছতে পারবে না
স্টাফ রিপোর্টার
১৮ মে ২০২১, মঙ্গলবার, ৯:৩২ অপরাহ্ন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর বাংলাদেশের ইতিহাস বিকৃত করার যে চেষ্টা হয়েছিল, তেমন কাজ এ দেশে আর কেউ করতে পারবে না। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেছেন, অনেক ঝড়-ঝাঁপটা পেরিয়ে বাংলাদেশ যেখানে পৌঁছেছে, সেই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর প্রায় পৌনে ছয় বছর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে দেশে ফেরার দিনটি স্মরণ করে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের শুরুতে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবন থেকে তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন। শেখ হাসিনা বলেন, আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছি। শুধু আমাদের দেশের ভেতরে না, বাইরেও, সবকিছু মিলিয়ে অনেক ঝড়-ঝাঁপটা পার হয়েই আজকে এই জায়গায় আমরা আসতে পেরেছি। এটাই সব থেকে বড় কথা। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পরের অবস্থা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতিহাস একেবারেই মুছে ফেলা হয়েছিল, পুরো পরিবর্তন। এখন একটা আত্মবিশ্বাস এসে গেছে যে, বাংলাদেশের ইতিহাস আর কেউ কোনোদিন বিকৃত করতে পারবে না। আর মুছতে পারবে না। শেখ হাসিনা বলেন, আল্লাহ্ সব সময় সহযোগিতা করেন এবং আল্লাহ্ কিছু কাজ দেন মানুষকে। সেই কাজটা যতক্ষণ শেষ না হয়, ততক্ষণ কিন্তু আল্লাহ্ রক্ষা করেন। জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর যারা অবৈধভাবে সরকারে এসেছিল, তারা দেশে ফেরায় পথে পদে পদে বাধার সৃষ্টি করেছিল বলেও মন্তব্য করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। তিনি বলেন, এই বাংলাদেশ স্বাধীন বাংলাদেশ, স্বাধীন থাকবে এবং আমার বাবার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। অনেক ঝড়-ঝাঁপটা, বাধা অতিক্রম করেই আমাকে আসতে হয়েছিল। কারণ অনেক বাধা ছিল। দেশে ফেরার সেই সময়ের পরিস্থিতি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, খুনি এবং যুদ্ধাপরাধী যাদের বিচার জাতির পিতা শুরু করেছিলেন তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তারা ক্ষমতায়, খুনিদের ইনডেমনিটি দেওয়া হয়েছে, তারা ক্ষমতায়। ওই অবস্থায় কিন্তু আমি চলে এসেছিলাম। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ব্যর্থ হতে পারে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, স্বাধীনতাকে সফল করতেই হবে’- এমন প্রতিজ্ঞা ছিল বলেই সে সময় তারা দেশে ফিরেছিলেন। সেই দিনটির কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসেছি তো ঝড় মাথায় নিয়েই। সেদিন ৬০ মাইল বেগে ঝড় হচ্ছিল। তখন আমি ট্রাকে। আর হাজার হাজার মানুষ রাস্তায়। জনগণের সেই ভালোবাসার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, জনগণের শক্তিটা হচ্ছে সব থেকে বড় শক্তি। কারণ আমি যখন বাবা-মা, ভাই-বোন সব হারিয়ে এই দেশে এসেছি গ্রামেগঞ্জে যেখানেই গেছি, সাধারণ মানুষ, গ্রামের মানুষ, তাদের অনেক ভালোবাসা পেয়েছি, অনেক স্নেহ, দোয়া। আমার মনে হয় ওই শক্তিটাই সব থেকে বড় শক্তি ছিল।