দেশ বিদেশ
শিনজিয়াংয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে নর্ডিক-বাল্টিক দেশগুলোর যৌথ বিবৃতি
মানবজমিন ডেস্ক
১৭ মে ২০২১, সোমবার, ৮:৩২ অপরাহ্ন
চীনের শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর ও অন্যান্য তুর্কিক মুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নর্ডিক-বাল্টিক দেশগুলো। এ অঞ্চলভুক্ত আটটি দেশ সম্প্রতি ইস্যুটি নিয়ে জাতিসংঘে এক যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছে। জাতিসংঘে ডেনমার্কের স্থায়ী প্রতিনিধি মার্টিন বিলে হারম্যান বিবৃতিটি প্রকাশ করেন। ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, নরওয়ে এবং সুইডেন- এই আটটি দেশ নর্ডিক এবং বাল্টিক দেশ হিসেবে পরিচিত।
দেশগুলোর পক্ষে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘শিনজিয়াংয়ের উইঘুরদের স্বায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চলে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন প্রতিবেদন ও বিবৃতিতে যেসব তথ্য প্রকাশিত হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। ‘রাজনৈতিক-পুনঃশিক্ষণ’ ক্যাম্প নামে এই অঞ্চলে যে বিশাল নেটওয়ার্কের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশগুলো। এই ক্যাম্পগুলোয় প্রচুর মানুষকে সংশোধনের নামে দীর্ঘদিন আটক রাখার অভিযোগ রয়েছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা অথবা এর বিশ্বাস, প্রকাশ, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং উইঘুরসহ অন্যান্যদের চলাফেরায় স্বাধীনতার ওপর যেসব বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় তা নিয়েও আমরা চিন্তিত।’ এছাড়া জোরপূর্বক শ্রম আদায়, জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণে বাধ্য করা, যৌন নিপীড়ন এবং জোরপূর্বক বন্ধ্যাত্ব গ্রহণের প্রমাণসহ প্রতিবেদন নিয়েও তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে এবং চীনের সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী শিনজিয়াংসহ সব অঞ্চলের সব ধর্মের এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার রক্ষা করতে হবে।’ কোনরকম নজদারি, সেন্সরশীপ অথবা প্রতিশোধের আতঙ্ক ছাড়াই শিনজিয়াংয়ের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে সাংবাদিক ও অন্যান্য গণমাধ্যমকর্মীদের সেখানে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান করেছে নর্ডিক ও বাল্টিক দেশগুলো।
উল্লেখ্য, শিনজিয়াংয়ের মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের জন্য পুরো বিশ্বেই চীন এখন নিন্দিত। তবে চীন বরাবরই সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে বিশ্বের সর্বপ্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র শিনজিয়াংয়ে ‘গণহত্যার’ অভিযোগ তুলে চীনের বিরুদ্ধে। এরপর ফেব্রুয়ারিতে কানাডা এবং নেদারল্যান্ডসের পার্লামেন্টও উইঘুর সংকটকে ‘গণহত্যার’ শামিল বলে উল্লেখ করে। এপ্রিলে যুক্তরাজ্যও শিনজিয়াংয়ে চীনের চলমান অভিযানকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে আখ্যায়িত করে।
সূত্র: এএনআই
দেশগুলোর পক্ষে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘শিনজিয়াংয়ের উইঘুরদের স্বায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চলে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন প্রতিবেদন ও বিবৃতিতে যেসব তথ্য প্রকাশিত হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। ‘রাজনৈতিক-পুনঃশিক্ষণ’ ক্যাম্প নামে এই অঞ্চলে যে বিশাল নেটওয়ার্কের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশগুলো। এই ক্যাম্পগুলোয় প্রচুর মানুষকে সংশোধনের নামে দীর্ঘদিন আটক রাখার অভিযোগ রয়েছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা অথবা এর বিশ্বাস, প্রকাশ, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং উইঘুরসহ অন্যান্যদের চলাফেরায় স্বাধীনতার ওপর যেসব বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় তা নিয়েও আমরা চিন্তিত।’ এছাড়া জোরপূর্বক শ্রম আদায়, জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণে বাধ্য করা, যৌন নিপীড়ন এবং জোরপূর্বক বন্ধ্যাত্ব গ্রহণের প্রমাণসহ প্রতিবেদন নিয়েও তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে এবং চীনের সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী শিনজিয়াংসহ সব অঞ্চলের সব ধর্মের এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার রক্ষা করতে হবে।’ কোনরকম নজদারি, সেন্সরশীপ অথবা প্রতিশোধের আতঙ্ক ছাড়াই শিনজিয়াংয়ের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে সাংবাদিক ও অন্যান্য গণমাধ্যমকর্মীদের সেখানে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান করেছে নর্ডিক ও বাল্টিক দেশগুলো।
উল্লেখ্য, শিনজিয়াংয়ের মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের জন্য পুরো বিশ্বেই চীন এখন নিন্দিত। তবে চীন বরাবরই সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে বিশ্বের সর্বপ্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র শিনজিয়াংয়ে ‘গণহত্যার’ অভিযোগ তুলে চীনের বিরুদ্ধে। এরপর ফেব্রুয়ারিতে কানাডা এবং নেদারল্যান্ডসের পার্লামেন্টও উইঘুর সংকটকে ‘গণহত্যার’ শামিল বলে উল্লেখ করে। এপ্রিলে যুক্তরাজ্যও শিনজিয়াংয়ে চীনের চলমান অভিযানকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে আখ্যায়িত করে।
সূত্র: এএনআই