প্রথম পাতা
এক সপ্তাহ চালানো যাবে টিকা
১৪ লাখ মানুষের দ্বিতীয় ডোজের কি হবে
স্টাফ রিপোর্টার
১৭ মে ২০২১, সোমবার, ৯:১০ অপরাহ্ন
দেশে টিকার মজুত খুব দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। দ্বিতীয় ডোজের টিকাদান কার্যক্রম আর এক সপ্তাহ চলতে পারে। প্রাপ্ত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার পরিমাণ হাতে মাত্র ৬ লাখ ৮০ হাজার ডোজ। ঘাটতি টিকার পরিমাণ ১৪ লাখের বেশি। তাই প্রশ্ন হচ্ছে- এই ঘাটতি টিকার কী হবে। বিভিন্ন উৎস থেকে এনে এই ঘাটতি পূরণ করতে সরকার নানা দৌড়ঝাঁপও করছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, প্রত্যেক ব্যক্তিকে একই টিকার দুই ডোজ নিতে হবে। অন্য টিকা গ্রহণ করার সুযোগ নেই এখনো। ফলে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণকারীরা এখন একই টিকা পাওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে ভারত আগামী মাসে প্রতিবেশী দেশগুলোতে কিছু টিকা দিতে পারে। যদিও তা এখনো নিশ্চিত নয়।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর)-এর সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং বর্তমানে সংস্থাটির উপদেষ্টা ডা. মুস্তাক হোসেন মানবজমিনকে বলেন, যারা প্রথম ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়েছেন তাদেরকে একই টিকা দিতে হবে। অন্য টিকা তারা গ্রহণ করতে পারবে না। তকিন্তু এখন টিকার মজুত ফুরিয়ে আসছে। তবে আশা করি আগামী এক মাসের মধ্যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেশে চলে আসবে। তাতে সমস্যা হবে না। যদি যথাসময়ের টিকা না আসে সেক্ষেত্রে এই টিকা গ্রহণকারীদের ভবিষ্যৎ কি হবে জানতে চাইলে এই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বলেন, বৈজ্ঞানিক তথ্য যেভাবে বলবে সেভাবেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এক্ষেত্রে অন্যভাবে কোনো কিছু করার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত দেবে। সেই আলোকে আমাদের এগুতে হবে।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডা. শামসুল হক মানবজমিনকে বলেন, টিকার মজুত শেষ হয়ে যাচ্ছে, ঠিক আছে। তবে আশা করি, যারা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন তারা একই টিকা তিন মাসের মধ্যেই নিতে পারেন। এই টিকা চলে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরো জানান, তিন মাস পরেও একই টিকা নিতে পারবেন। তাতে কোনো সমস্যা নেই।
দ্বিতীয় ডোজের টিকার আর এক সপ্তাহের মজুত রয়েছে: এদিকে গতকাল কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভার্চ্যুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে অধিদপ্তরের মুখপাত্র রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের (সিডিসি) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজের টিকার আর এক সপ্তাহের মজুত রয়েছে। প্রতিষ্ঠান ভেদে তা আরো দু-একদিন কমবেশি হতে পারে। তবে বিভিন্ন উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রথম ডোজের টিকা গ্রহণের ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহণ করা যাবে। করোনার বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধ সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে।
এদিকে, গতকাল পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৩৭ লাখ ৮৩ জন। প্রথম ও দ্বিতীয় মিলে টিকা দেয়া হয়েছে ৯৫ লাখ ১৯ হাজার ৯৯৫ ডোজ। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিতরণ করা টিকা বাদ দিলে হাতে মজুত আছে মাত্র ৬ লাখ ৮০ হাজার ৫ ডোজ। ঘাটতি টিকার পরিমাণ ১৪ লাখ ৩৯ হাজার ৮২৪ ডোজ। অন্যদিকে এ পর্যন্ত দেশে মোট প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৯১২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৩৬ লাখ ৮ হাজার ৯৭৯ জন এবং নারী ২২ লাখ ১০ হাজার ৯৩৩ জন। অনলাইনে নিবন্ধনও ২রা মের পর থেকে বন্ধ রয়েছে। এ পর্যন্ত মোট নিবন্ধন করেছেন ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৯ জন।
প্রসঙ্গত, গত ২৭শে জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে গণ টিকাদান শুরু হয় ৭ই ফেব্রুয়ারি থেকে। আর দ্বিতীয় ডোজ শুরু হয় ৮ই এপ্রিল থেকে। দেশে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা এবং উপহার পাওয়া মিলে এ পর্যন্ত টিকা এসেছে এক কোটি দুই লাখ ডোজ। এছাড়া এ মাসের ১২ তারিখে চীনের কাছ থেকে উপহার পাওয়া টিকার পরিমাণ ৫ লাখ ডোজ। যা এখনো প্রয়োগ শুরু হয়নি।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর)-এর সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং বর্তমানে সংস্থাটির উপদেষ্টা ডা. মুস্তাক হোসেন মানবজমিনকে বলেন, যারা প্রথম ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়েছেন তাদেরকে একই টিকা দিতে হবে। অন্য টিকা তারা গ্রহণ করতে পারবে না। তকিন্তু এখন টিকার মজুত ফুরিয়ে আসছে। তবে আশা করি আগামী এক মাসের মধ্যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেশে চলে আসবে। তাতে সমস্যা হবে না। যদি যথাসময়ের টিকা না আসে সেক্ষেত্রে এই টিকা গ্রহণকারীদের ভবিষ্যৎ কি হবে জানতে চাইলে এই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বলেন, বৈজ্ঞানিক তথ্য যেভাবে বলবে সেভাবেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এক্ষেত্রে অন্যভাবে কোনো কিছু করার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত দেবে। সেই আলোকে আমাদের এগুতে হবে।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডা. শামসুল হক মানবজমিনকে বলেন, টিকার মজুত শেষ হয়ে যাচ্ছে, ঠিক আছে। তবে আশা করি, যারা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন তারা একই টিকা তিন মাসের মধ্যেই নিতে পারেন। এই টিকা চলে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরো জানান, তিন মাস পরেও একই টিকা নিতে পারবেন। তাতে কোনো সমস্যা নেই।
দ্বিতীয় ডোজের টিকার আর এক সপ্তাহের মজুত রয়েছে: এদিকে গতকাল কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভার্চ্যুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে অধিদপ্তরের মুখপাত্র রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের (সিডিসি) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজের টিকার আর এক সপ্তাহের মজুত রয়েছে। প্রতিষ্ঠান ভেদে তা আরো দু-একদিন কমবেশি হতে পারে। তবে বিভিন্ন উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রথম ডোজের টিকা গ্রহণের ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহণ করা যাবে। করোনার বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধ সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে।
এদিকে, গতকাল পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৩৭ লাখ ৮৩ জন। প্রথম ও দ্বিতীয় মিলে টিকা দেয়া হয়েছে ৯৫ লাখ ১৯ হাজার ৯৯৫ ডোজ। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিতরণ করা টিকা বাদ দিলে হাতে মজুত আছে মাত্র ৬ লাখ ৮০ হাজার ৫ ডোজ। ঘাটতি টিকার পরিমাণ ১৪ লাখ ৩৯ হাজার ৮২৪ ডোজ। অন্যদিকে এ পর্যন্ত দেশে মোট প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৯১২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৩৬ লাখ ৮ হাজার ৯৭৯ জন এবং নারী ২২ লাখ ১০ হাজার ৯৩৩ জন। অনলাইনে নিবন্ধনও ২রা মের পর থেকে বন্ধ রয়েছে। এ পর্যন্ত মোট নিবন্ধন করেছেন ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৯ জন।
প্রসঙ্গত, গত ২৭শে জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে গণ টিকাদান শুরু হয় ৭ই ফেব্রুয়ারি থেকে। আর দ্বিতীয় ডোজ শুরু হয় ৮ই এপ্রিল থেকে। দেশে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা এবং উপহার পাওয়া মিলে এ পর্যন্ত টিকা এসেছে এক কোটি দুই লাখ ডোজ। এছাড়া এ মাসের ১২ তারিখে চীনের কাছ থেকে উপহার পাওয়া টিকার পরিমাণ ৫ লাখ ডোজ। যা এখনো প্রয়োগ শুরু হয়নি।