শেষের পাতা

হঠাৎ সবজি ও মাছ-মাংসের বাজার চড়া

স্টাফ রিপোর্টার

১৭ মে ২০২১, সোমবার, ৯:০০ অপরাহ্ন

আগে থেকেই রাজধানীর বাজারে বেশকিছু নিত্য পণ্যের দাম ছিল চড়া। রোজার মাস শুরু হলে মূল্যবৃদ্ধির
 তালিকায় যোগ হয় আরো কিছু পণ্য। এ অবস্থায় ঈদের ছুটি শেষে মানুষ যখন ঢাকায় ফিরছে তখন অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে কিছু পণ্যের দাম। ঈদের দ্বিতীয় দিন রাজধানীর বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, বাজারে মাছ, মাংস এবং পিয়াজসহ সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। ছুটি শেষে মানুষ ঢাকায় ফেরা শুরু করলেও বাজারে আগের মতো ক্রেতা নেই। বন্ধ রয়েছে কাঁচাবাজারে অধিকাংশ দোকান। তবুও সবজির দাম চড়া।
বিক্রেতারা জানান, মান ভেদে দেশি ও আমদানি করা পিয়াজ কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। যা ঈদের আগে ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ওদিকে বাজারে হঠাৎ করেই সবজির দাম যেন আকাশছোঁয়া। ঈদের আগে ২৫-৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে। ঈদের আগে ৮০ টাকায় বিক্রি হওয়া কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। এ ছাড়া গাজর বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়, কাঁচা কলার হালি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পটল ৪০, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৬০ টাকা, ঝিঙ্গা ৩০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা থেকে ১০০ টাকা, শসা ৬০ টাকা এবং বেগুন ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। গতকাল রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখে গেছে। হঠাৎ মূল্যবৃদ্ধির ফলে ক্রেতারা ভোগান্তিতে পড়েছেন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের ছুটি এবং লকডাউনের কারণে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম কিছুটা বেড়েছে। কয়েকদিন গেলেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে বলে জানান তারা।
মালিবাগ বাজারে বাজার করতে আসা একজন ক্রেতা জানান, বাজারে সবজি কিনতে গিয়ে দাম শুনে চমকে গিয়েছি। পেঁপের দাম চেয়েছে ৮০ টাকা কেজি। অথচ ঈদের আগে ২৫ টাকা করে কিনে খেয়েছি। এ ছাড়া আরো কিছু সবজির দামও চড়া বলে জানান তিনি।  
ওদিকে বাজারে গরুর মাংসের বিক্রি কমলেও দাম কমেনি। প্রতিকেজি গরুর মাংস ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। মুরগির বাজারে ক্রেতা না থাকলেও দাম বেশি। কাওরান বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা ঈদের আগে ১৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া পাকিস্তানি মুরগি ২৬০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৫০ টাকা ও দেশি মুরগি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজারের চিত্র একই। বাজার ঘুরে দেখা যায়, চিংড়ি মাছ ৬০০ টাকা, পাবদা ৫০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০ টাকা, বড় রুই-কাতলা ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদের পর মাছের দাম কিছুটা বেড়েছে। নদীতে পর্যাপ্ত মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। সেজন্য মাছের সরবরাহ কম। তাই দাম কিছুটা বাড়তি।
এদিকে পিয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেড়েছে। মান ভেদে কেজিপ্রতি পিয়াজ কিনতে হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, যা ঈদের আগে ৫ থেকে ১০ টাকা কম ছিল। এর কারণ হিসেবেও সরবরাহ বন্ধ থাকার কথা বলছেন বিক্রেতারা। পিয়াজের আমদানিকারকরা বলছেন, করোনার বিধিনিষেধের মধ্যে ভারত থেকে পিয়াজ আনা যাচ্ছে না। এ কারণে বাজারে পিয়াজের দাম বেড়েছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status