বাংলারজমিন

মাছের সঙ্গে শত্রুতা কেন?

কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

১৭ মে ২০২১, সোমবার, ৮:০৯ অপরাহ্ন

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় শত্রুতার জেরে বিষ ঢেলে ৫টি ফিশারি পুকুরে মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাটি উপজেলার আশুজিয়া ইউনিয়নের রামপুর দুর্গাশ্রম গ্রামে হাফিজ উদ্দিনের ফিশারি পুকুরে ঘটেছে। পুকুরে বিষক্রিয়ায় চাষ করা দেশীয় জাতের রুই, কাতল, কার্প, সরপুঁটিসহ বেশ কয়েকটি প্রজাতির প্রায় ১২ লাখ টাকার মাছ মরে গেছে। জানা গেছে, কেন্দুয়া উপজেলা রামপুর দুর্গাশ্রম গ্রামের সুজন আহম্মদ খাঁ ও লালন আহম্মদ খাঁ’র ৫ একরের ৭টি পুকুর ৫ বছরের জন্য লিজ নেয় পার্শ্ববর্তী নেত্রকোনা সদর উপজেলার চন্দনকান্দী গ্রামের হাফিজ উদ্দন। পুকুর লিজ নিয়ে প্রতিবারের ন্যায় এবারও পুকুরে দেশীয় জাতের রুই, কাতল, কার্প, সরপুঁটিসহ আরো কয়েকটি প্রজাতির মাছ চাষ করেন। ইতিমধ্যে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে আসায় হাফিজকে সুজন ও লালন আবার পুকুর লিজ নেয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। গতবারের চেয়ে মূল্য বেশি ধরায় পুকুর মালিক সুজন ও লালনকে লিজ আর নিবেনা বলে জানিয়ে দেন হাফিজ উদ্দিন। এ নিয়ে দু-পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এরইমধ্যে শনিবার রাত ৯টার দিকে ৫টি পুকুরের মাছ ভেসে উঠতে থাকে। পুকুরের পাড়ে কিছু ট্যাবলেট ও একটি ট্যাবলেটের কৌটা পাওয়া যায়। এরপর স্থানীয় মৎস্যচাষি ও মৎস্য অফিসের লোকজন পানির প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হন মাছগুলো বিষক্রিয়ায় মারা গেছে। হাফিজ উদ্দিন জানান, শনিবার সন্ধ্যার পর পুকুরগুলোতে খাবার দিয়ে বাড়িতে যাই। রাত ৯টার দিকে পুকুরের মাছ মরে ভেসে ওঠার খবর পেয়ে পুকুর পাড়ে এসে দেখি বিষের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে আর সবগুলো পুকুরের মাছ মরে ভেসে উঠছে। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সাজ্জাত হোসেন জানান, ধারণা করছি মাছগুলো বিষক্রিয়ায় মারা গেছে। কেন্দুয়া থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত মাছচাষিকে লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status