বাংলারজমিন
মুরাদনগরে চুরির অপবাদে কিশোরের হাত-পা বেঁধে নির্যাতন
মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
১৭ মে ২০২১, সোমবার, ৮:০৯ অপরাহ্ন
কুমিল্লার মুরাদনগরের দক্ষিণ নোয়াগাঁও গ্রামে চুরির অপবাদে সোহাগ (১৭) নামের এক কিশোরকে গাছের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে অমানুষিকভাবে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। যার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার ও গ্রেপ্তারের দাবিতে এলাকায় ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। নির্যাতনের শিকার কিশোর সোহাগ (১৭) উপজেলার দক্ষিণ নোয়াগাঁও গ্রামের মুন্সী বাড়ির আল-আমীনের ছেলে। আর অভিযুক্তরা একই গ্রামের মোকবল হোসেনের ছেলে আশিক, মতিন মোল্লার ছেলে রুবেল ও আছমত আলীর ছেলে কামাল।
জানা গেছে, গত বুধবার রাতে কামাল্লা ইউনিয়নের দক্ষিণ নোয়াগাঁও গ্রামের কামারচর মোড় এলাকায় সজিবের দোকান থেকে একটি মোবাইল ও নগদ কিছু টাকা চুরি হয়। এ চুরির ঘটনায় ভুক্তভোগী সোহাগকে চোর বলে সন্দেহ করা হয়। পরদিন সকাল ৬টায় আশিক, রুবেল ও কামালের নেতৃত্বে একদল যুবক সোহগকে তার বাড়ি থেকে আটক করে মোকবল মিয়ার বাড়িতে নিয়ে যায় এবং সেখানে সোহাগকে গাছের খুঁটির সঙ্গে হাত-পা বেঁধে দিনব্যাপী অমানুষিক নির্যাতন চালায়। পরে একই এলাকার ধনু মিয়ার ছেলে নজরুলের (১৫) কাছ থেকে মোবাইলটি উদ্ধার করা হয়। এরপর নির্যাতনের ঘটনা কাউকে না বলা ও কিছুদিন গ্রাম ছাড়া থাকার হুমকি প্রদান করে সোহাগকে ছেড়ে দেয়া হয়। সোহাগ বর্তমানে ভয়ে পালাতক রয়েছে।
এ বিষয়ে সোহাগের বাবা আল-আমীন অভিযোগ করে বলেন, আমি একজন প্রতিবন্ধী। ভিক্ষা করে সংসার চালাই। আমি গরিব বলেই আজ আমার ছেলেকে চুরির অপবাদ দিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
অভিযুক্ত মোকবল হোসেন তার বাড়িতে নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, যার দোকানে চুরি হয়েছে তারাই সোহাগকে আটক করেছে।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাদেকুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমি অবহিত নই। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জানা গেছে, গত বুধবার রাতে কামাল্লা ইউনিয়নের দক্ষিণ নোয়াগাঁও গ্রামের কামারচর মোড় এলাকায় সজিবের দোকান থেকে একটি মোবাইল ও নগদ কিছু টাকা চুরি হয়। এ চুরির ঘটনায় ভুক্তভোগী সোহাগকে চোর বলে সন্দেহ করা হয়। পরদিন সকাল ৬টায় আশিক, রুবেল ও কামালের নেতৃত্বে একদল যুবক সোহগকে তার বাড়ি থেকে আটক করে মোকবল মিয়ার বাড়িতে নিয়ে যায় এবং সেখানে সোহাগকে গাছের খুঁটির সঙ্গে হাত-পা বেঁধে দিনব্যাপী অমানুষিক নির্যাতন চালায়। পরে একই এলাকার ধনু মিয়ার ছেলে নজরুলের (১৫) কাছ থেকে মোবাইলটি উদ্ধার করা হয়। এরপর নির্যাতনের ঘটনা কাউকে না বলা ও কিছুদিন গ্রাম ছাড়া থাকার হুমকি প্রদান করে সোহাগকে ছেড়ে দেয়া হয়। সোহাগ বর্তমানে ভয়ে পালাতক রয়েছে।
এ বিষয়ে সোহাগের বাবা আল-আমীন অভিযোগ করে বলেন, আমি একজন প্রতিবন্ধী। ভিক্ষা করে সংসার চালাই। আমি গরিব বলেই আজ আমার ছেলেকে চুরির অপবাদ দিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
অভিযুক্ত মোকবল হোসেন তার বাড়িতে নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, যার দোকানে চুরি হয়েছে তারাই সোহাগকে আটক করেছে।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাদেকুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমি অবহিত নই। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।