যেমন ছিল প্রথম ৩ দিনের আয়োজন

ঈদ আনন্দের অন্যতম একটি অংশ টেলিভিশন অনুষ্ঠান। করোনা সংক্রমণ ও লকডাউনের কারণে গত দুই বছর ধরে ঈদে টিভি অনুষ্ঠানের দর্শকও বেড়েছে। এবারো ঈদে দেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। বেশির ভাগ চ্যানেলেরই এ আয়োজন সাত কিংবা আট দিনের। ঈদের প্রথম তিনদিনের আয়োজন এরইমধ্যে শেষ। এই সময়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রচার হয়েছে। লকডাউনের অনেক আগেই এবার চ্যানেলগুলো ঈদের নাটক ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিয়েছিলো। সে কারণে ঈদের আগে থেকে চলা লকডাউনের কারণে অনুষ্ঠান প্রচারে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। এবারের ঈদ আয়োজনে সব মিলিয়ে প্রচার হওয়ার কথা ৫ শতাধিক নাটক। একটু আলাদা গল্পের নাটকের দিকে ঝোঁক ছিল চ্যানেলগুলোর। যদিও এবারের নাটকেও শুধু নায়ক-নায়িকানির্ভর গল্পের আধিক্যের অভিযোগও ছিল। নাটকে চরিত্রের সংখ্যা ছিল কম। এবার রোমান্টিক-কমেডির পাশাপাশি মেসেজনির্ভর নাটকের প্রাধান্য লক্ষ্য করা গেছে। বরাবরের মতোই ঈদে বিভিন্ন চ্যানেলে অধিক সংখ্যক ধারাবাহিক নাটক প্রচার নিয়ে দর্শকদের অসন্তুষ্টি ছিল। কারণ ধারাবাহিক নাটক একই সময়ে প্রতিদিন দেখা কষ্টসাধ্য। নাটক ছাড়াও বিভিন্ন চ্যানেল প্রচার করেছে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান, চলচ্চিত্র, সংগীতানুষ্ঠান, নৃত্যানুষ্ঠান, গেইম শো, সরাসরি সংগীত পরিবেশনা, শিশুতোষসহ নানা অনুষ্ঠান। এবারো অতি বিজ্ঞাপনে বিরক্ত হয়েছেন দর্শকরা। বিজ্ঞাপনের বিরক্তি এড়াতে দর্শকরা ইউটিউবেও নাটক-টেলিছবি উপভোগ করছেন। এবারের আয়োজনে বিটিভিতে প্রচারিত ফেরদৌস-পূর্ণিমার উপস্থাপনায় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘আনন্দমেলা’ পছন্দ করেছেন দর্শকরা। অন্যদিকে হানিফ সংকেতের গ্রন্থনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনায় ‘ইত্যাদি’ ছিল এবারো দর্শকপ্রিয়তায়। এটিএন বাংলায় প্রচারিত হানিফ সংকেতের তারকাবহুল মেসেজনির্ভর নাটক ‘সৎ-এর সত্য সমাচার’ ছিল প্রশংসিত। একই চ্যানেলে ঈদের পরদিন ড. মাহফুজুর রহমানের একক সংগীতানুষ্ঠান ‘সুখে থাকো তুমি’ ছিল আলোচিত। রাবেয়া খাতুনের গল্পে চ্যানেল আইতে প্রচারিত নাটক ‘শহরের শেষ বাড়ি’ এবং ফরিদুর রেজা সাগরের গল্পে মুক্তদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মায়ের শাড়ি’ ছিল প্রশংসিত। ঈদের পরদিন একই চ্যানেলে প্রচার হয় শাইখ সিরাজের ‘কৃষকের ঈদ আনন্দ’। বরাবরের মতো এ অনুষ্ঠানটি নির্মল আনন্দ দিয়েছে দর্শক মনে। একুশে টিভিতে ঈদের দিন প্রচারিত টেলিছবি ‘শহরে’ ছিল প্রশংসিত। এনটিভিতে নাটক ‘কাটা হেরি ক্ষান্ত কেন’ পছন্দ করেছেন দর্শকরা। একই চ্যানেলে নুসরাত ইমরোজ তিশার উপস্থাপনায় ‘দ্য বক্স’ ছিল আলোচনায়। বাংলাভিশনে প্রচারিত নাটক ‘হঠাৎ বাদশাহ’ এবং ‘শেষের খুব কাছে’ ছিল দর্শকপ্রিয়তায়। আরটিভিতে প্রচারিত ‘ক্রেডিট শো’ এবং ‘তালমিছরি না হওয়াই মিঠাই-২’ নাটক ছিল প্রশংসিত। মাছরাঙায় প্রচারিত ‘কাল্লু সুইপার’ নাটকটি পছন্দ করেছেন দর্শকরা। অন্যদিকে বৈশাখী টিভির ‘বুড়া জামাই-২’ এবং ‘আমার বউ সেলিব্রেটি’ নাটক দুটি দর্শক টেনেছে। এ ছাড়া দেশ টিভিতে প্রচারিত নাটক ‘ফিরে এলো রূপবান’, নাগরিক টিভির নাটক ‘চোরের ওপর বাটপারি’, দীপ্ত টিভির নাটক ‘কুসুম বিউটি পার্লার’, দুরন্ত টিভির গেম শো ‘মা-বাবাই সেরা’ ছিল দর্শক প্রশংসায়।