দেশ বিদেশ
জ্ঞানীয় যুদ্ধ ব্যবহার করে ইচ্ছাকৃত উত্তেজনার পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে চীন: তাইওয়ান
মানবজমিন ডেস্ক
১৩ মে ২০২১, বৃহস্পতিবার, ১:৫১ অপরাহ্ন
তাইওয়ানে ইচ্ছাকৃতভাবে উত্তেজনার পরিস্থিতি সৃষ্টি এবং ‘জ্ঞানীয় যুদ্ধ’ ব্যবহার করে দেশটির জনসাধারনকে মানসিকভাবে চাপে রাখছে চায়নিজ কমিউনিস্ট পার্টি (সিসিপি)। তাইওয়ানের মেইনল্যান্ড অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিলের (এমএসি) পক্ষ থেকে সম্প্রতি এ অভিযোগ করা হয়। আইনসভা ইউয়ানে উপস্থাপন করা এক প্রতিবেদনে এমএসি উদ্বেগ প্রকাশ করে জানায় বেইজিং তাদের ‘এক চীন’ নীতি মেনে নেয়ার জন্য অব্যাহতভাবে চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছে।
এমএসির প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়, ‘১৯৯২ সালের চুক্তি’ তে বলা বলা ‘এক চীন’ নীতি মেনে নিলেই দুপক্ষের মধ্যে একটি সহজ সম্পর্ক বজায় থাকবে। অন্যদিকে তাইওয়ান বহুদিন ধরেই স্বায়ত্ত্বশাসন দাবি করে আসছে। চীন এই দ্বীপপুঞ্জকে নিজেদের অঞ্চলের ‘অবিচ্ছেদ্য ও পবিত্র’ অংশ হিসেবে দাবি করে আসছে।
তবে চীনের এসব দাবির বিষয়ে তাইওয়ান এখন এসব বিষয়ে জোর দিচ্ছে। দেশটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) প্রায়সময়ই এখানে সামরিক মহড়ার আয়োজন করে থাকে। এমএসির প্রতিবেদনটিতে আরো সতর্ক করে বলা হয়েছে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের মধ্যে যেকোন ধরনের আলোচনা, প্রশান্ত মহাসাগরে সমীকরন, জ্বালানী এবং জলবায়ু সরাসরি তাইওয়ানের প্রণালীর ওপর চাপ সৃষ্টি করবে। এছাড়া তাইওয়ানকে নিয়ে বিরোধি অবস্থানসহ আরো কিছু কারণে বেইজিং-ওয়াশিংটনের মধ্যকার আলোচনা স্থবির হয়ে পড়েছে।
সিসিপি তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে যুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করেছে। চলমান পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণের জন্য বেশ কিছু প্রস্তাব তুলে ধরেছে। প্রথমত, চীনা প্রশাসনকে উপত্যকার উভয় পাড়ের মানুষদের কথা শোনা ও তা মূল্যায়নের আহ্বান জানানো হয়েছে। দ্বিতীয়ত, উভয়পক্ষের মধ্যে ইতিবাচক যোগাযোগ ও সংলাপ আয়োজনের দায়িত্ব গ্রহনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এদিকে ওয়ার্ল্ড হেলথ অ্যাসেম্বলি সম্মেলনে (ডব্লিএইচএ) আমন্ত্রনের জন্য গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়েছে তাইওয়ান এবং দেশটি এ সুযোগে তাদের চিরশত্রু চীনকে তুলে ধরেছে।
সূত্র: এএনআই
এমএসির প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়, ‘১৯৯২ সালের চুক্তি’ তে বলা বলা ‘এক চীন’ নীতি মেনে নিলেই দুপক্ষের মধ্যে একটি সহজ সম্পর্ক বজায় থাকবে। অন্যদিকে তাইওয়ান বহুদিন ধরেই স্বায়ত্ত্বশাসন দাবি করে আসছে। চীন এই দ্বীপপুঞ্জকে নিজেদের অঞ্চলের ‘অবিচ্ছেদ্য ও পবিত্র’ অংশ হিসেবে দাবি করে আসছে।
তবে চীনের এসব দাবির বিষয়ে তাইওয়ান এখন এসব বিষয়ে জোর দিচ্ছে। দেশটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) প্রায়সময়ই এখানে সামরিক মহড়ার আয়োজন করে থাকে। এমএসির প্রতিবেদনটিতে আরো সতর্ক করে বলা হয়েছে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের মধ্যে যেকোন ধরনের আলোচনা, প্রশান্ত মহাসাগরে সমীকরন, জ্বালানী এবং জলবায়ু সরাসরি তাইওয়ানের প্রণালীর ওপর চাপ সৃষ্টি করবে। এছাড়া তাইওয়ানকে নিয়ে বিরোধি অবস্থানসহ আরো কিছু কারণে বেইজিং-ওয়াশিংটনের মধ্যকার আলোচনা স্থবির হয়ে পড়েছে।
সিসিপি তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে যুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করেছে। চলমান পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণের জন্য বেশ কিছু প্রস্তাব তুলে ধরেছে। প্রথমত, চীনা প্রশাসনকে উপত্যকার উভয় পাড়ের মানুষদের কথা শোনা ও তা মূল্যায়নের আহ্বান জানানো হয়েছে। দ্বিতীয়ত, উভয়পক্ষের মধ্যে ইতিবাচক যোগাযোগ ও সংলাপ আয়োজনের দায়িত্ব গ্রহনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এদিকে ওয়ার্ল্ড হেলথ অ্যাসেম্বলি সম্মেলনে (ডব্লিএইচএ) আমন্ত্রনের জন্য গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়েছে তাইওয়ান এবং দেশটি এ সুযোগে তাদের চিরশত্রু চীনকে তুলে ধরেছে।
সূত্র: এএনআই