মত-মতান্তর
একটু থামুন, মনে রাখবেন, জীবন আগে
কাজল ঘোষ
১২ মে ২০২১, বুধবার, ২:৫৮ অপরাহ্ন
ঈদ ছুটি শুরু হয়েছে। যদিও এবারের ঈদ গতবারের চেয়েও কিছুটা বাড়তি উদ্বেগের। পাশের দেশে মৃত্যু আর হাহাকার সর্বত্র। লাখ লাখ মানুষের মৃত্যুর মিছিলে সেখানে শূন্যতা চলছে। খালি নেই শ্মশান কিংবা কবরস্থান। লাশ ভেসে আসছে গঙ্গার পানিতে। সেই ঢেউ যে আমাদের এখানে আঘাত হানবে না এমনটা হলফ করে ঢাকার বিশেষজ্ঞরাও বলতে পারছেন না।
ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট আমাদের এখানে শনাক্ত হয়েছে। আইসিডিডিআরবি ইতিমধ্যেই সে খবর নিশ্চিত করেছে। যা করোনার এ সময়ের সবচেয়ে গতি সম্পন্ন ভ্যারিয়েন্ট। সীমান্ত বন্ধ হলেও যশোরসহ দেশের বিভিন্ন স্থল সীমান্ত দিয়ে মানুষ ঢুকছে প্রতিদিনই। ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা সর্বত্র।
আর এরই মধ্যে ঈদ। একদিকে ছুটি। অন্যদিকে আজব কায়দার লকডাউন। এরই মধ্যে বাড়ি ফেরা। নাড়ির টানে ছুটে যাওয়া। পরিবার পরিজনকে কাছে পাওয়া। সবই আবেগের দোহাই। কিন্তুর সবার আগে তো জীবনের নিরাপত্তা।
এই লেখাটি যখন লিখছি তখন আমাদের শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ভয়াবহ দুঃসংবাদ। সেখানে ফেরিতে ভিড়ের চাপে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এই কদিন আগেও এখানে ট্রলার দুর্ঘটনায় ২৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আর আজ দুপুরের মৃত্যু তো মানুষের দিকবিদিক হয়ে বাড়ির ফেরার চেষ্টায়। কি হতো যদি পরের ফেরিতে, কিছুটা হালকা হলে বাড়ি ফিরতেন। তাহলে হয়তো এই মর্মান্তিক মৃত্যু এড়ানো যেতো। একবার ভাবুন, এই পরিবারগুলোর ঈদ কতোটা দুঃখ নিয়ে কাটবে। আর যার প্রিয়জন চলে গেছেন তিনিই বুজতে পারছেন কি ক্ষতি হয়েছে।
এই ভিড় আর ঠেলাঠেলি করে কেন আমরা বাড়ি ফিরছি? একে তো তীব্র স্বাস্থ্যঝুঁকি। এই গাদাগাদি অবস্থায় সকলেই করোনার নিরাপদ বিনিময় করছি। আর অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনার আশঙ্কা তো রয়েছেই। যেমনটা আজ ঘটলো বাংলাবাজার ঘাটে। এমনটি আর দেখতে চাই না।
ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট আমাদের এখানে শনাক্ত হয়েছে। আইসিডিডিআরবি ইতিমধ্যেই সে খবর নিশ্চিত করেছে। যা করোনার এ সময়ের সবচেয়ে গতি সম্পন্ন ভ্যারিয়েন্ট। সীমান্ত বন্ধ হলেও যশোরসহ দেশের বিভিন্ন স্থল সীমান্ত দিয়ে মানুষ ঢুকছে প্রতিদিনই। ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা সর্বত্র।
আর এরই মধ্যে ঈদ। একদিকে ছুটি। অন্যদিকে আজব কায়দার লকডাউন। এরই মধ্যে বাড়ি ফেরা। নাড়ির টানে ছুটে যাওয়া। পরিবার পরিজনকে কাছে পাওয়া। সবই আবেগের দোহাই। কিন্তুর সবার আগে তো জীবনের নিরাপত্তা।
এই লেখাটি যখন লিখছি তখন আমাদের শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ভয়াবহ দুঃসংবাদ। সেখানে ফেরিতে ভিড়ের চাপে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এই কদিন আগেও এখানে ট্রলার দুর্ঘটনায় ২৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আর আজ দুপুরের মৃত্যু তো মানুষের দিকবিদিক হয়ে বাড়ির ফেরার চেষ্টায়। কি হতো যদি পরের ফেরিতে, কিছুটা হালকা হলে বাড়ি ফিরতেন। তাহলে হয়তো এই মর্মান্তিক মৃত্যু এড়ানো যেতো। একবার ভাবুন, এই পরিবারগুলোর ঈদ কতোটা দুঃখ নিয়ে কাটবে। আর যার প্রিয়জন চলে গেছেন তিনিই বুজতে পারছেন কি ক্ষতি হয়েছে।
এই ভিড় আর ঠেলাঠেলি করে কেন আমরা বাড়ি ফিরছি? একে তো তীব্র স্বাস্থ্যঝুঁকি। এই গাদাগাদি অবস্থায় সকলেই করোনার নিরাপদ বিনিময় করছি। আর অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনার আশঙ্কা তো রয়েছেই। যেমনটা আজ ঘটলো বাংলাবাজার ঘাটে। এমনটি আর দেখতে চাই না।