দেশ বিদেশ
ডু সামথিং ফাউন্ডেশনের মানবিক উদ্যোগ
প্রতীক ওমর, বগুড়া থেকে
১২ মে ২০২১, বুধবার, ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন
নুরজাহান বেগম, আমিনা আক্তার, ফুলেরা খাতুন, নুনি আক্তার শহরের অলিগলিতে ঘুরে ঘুরে ভিক্ষা করেন। সারাদিনে যে টাকা পায় তা দিয়েই পরিবারের অন্যান্যদের সাথে নিয়ে এক দুই বেলা খেয়ে পরে চলেন। বরাবরের মত এবারের ঈদ নিয়েও তেমন ভাবনা নেই এই মানুষগুলোর। কেউ কিছু দিলে হয়তো ঈদ হবে না দিলে অন্য দিনেই মতই ঈদের দিনও কেটে যাবে। কিন্তু এবারের ঈদ তাদের জন্য এতোটা আনন্দের হবে সেই চিন্তা কখনো মাথাতেই ছিলো না। অনেকটা স্বপ্নের মত তাদের সামনে হাজির হয়ে যায় ডু সামথিং ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবীরা। তাদের হাতে একটা টোকেন ধরে দিয়ে ১১ এপ্রিল সকালে বগুড়ার স্বপ্ন শপিং সেন্টারে আসতে বলা হয়। সেই অনুযায়ী মঙ্গলবার সকালে ২৫ জন অসহায় মানুষ হাজির হয় মালতিনগরে ওই সুপার শপে। এবার তাদের বলা হয় ইচ্ছেমত বাজার করতে। তারপর ইচ্ছেমত সবাই প্রয়োজনীয় পণ্য নেন। মূল্য পরিশোধ করা হয় ডু সামথিং ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে। এই মহৎ কাজে সহযোগিতা করেন বিকন বাংলাদেশ নামের আরেক সংগঠন।
বগুড়ার সাবগ্রামের ফুলেরা খাতুন, নাটাইপাড়া আমিনা আক্তার বলেন, ঈদের দিনে তিন বেলা পেটপুরে খেতে পারবে কিনা সেই চিন্তা মাথায় নিয়ে গত রাতেও ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ঘুম থেকে জেগেই বড় দোকানে ইচ্ছেমত চাল ডাল, লবন, তেল, মসলা, সাবান, সেমাই, সুজি, চিনিসহ প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র নিতে পারবো এমন কল্পনা আমাদের কখনোই ছিলো না। এসব পেয়ে তারা আনন্দ অশ্রুতে ভেসেছেন দু’চোখ। ।
অপরদিকে বগুড়ার দক্ষিণ ধাওয়াপাড়া এলাকার নুরজাহান বেগম বলেন, আমরা গরিব মানুষ। চেয়ে চিন্তে আমাদের দিন চলে। সুপার শপগুলো তারা বাইরে থেকে দাঁড়িয়ে বড়লোকদের কেনা কাটা করতে দেখতেন। বড় বড় গাড়ি নিয়ে এমন দোকানে ধনীলোকেরা কেনাকাটা করে বের হলে তাদের কাছে হাতপাতিয়ে দুই চার টাকা নিতাম। কোন দিন ভিতরে ঢোকার সাহস হয়নি। সেই বড় লোকের দোকানের মধ্যে গিয়ে ইচ্ছেমত জিনিসপত্র কিনতে পেরে মনটা ভরে গেছে। তারা এমন মহতি উদ্যোক্তাদের প্রাণ ভরে দোয়া করেন।
ডু সামথিং ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ডা. নাজমুল ইসলাম মানবজমিনকে জানান, স্বেচ্ছাসেবী এই সংগঠনটি সারাদেশেই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোই তাদের কাজ। তিনি আরো বলেন, ঈদ, রমজানসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশেও ডু সামথিং ফাউন্ডেশন সব সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে থাকে। সেই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার বগুড়ায় এক ভিন্নধর্মী ঈদ বাজার পরিচালিত করা হয়। এতে ২৫ জন অসহায় দরিদ্র ছিন্নমূল মানুষকে দেশের নাম করা এক সুপার শপে "ইচ্ছেমতো বাজার" শিরোনামে বাজার করার সুযোগ প্রদান করা হয়। সকাল থেকে সুশৃঙ্খল ভাবে সুপার শপের সামনে শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখে "ইচ্ছেমতো বাজার "কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
এসময় ডু সামথিং ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক আল আমিন, মাকসুদুল হাসান, আহসান হাবিব নাফি, আরাফাত রহমান কেনাকাটায় সহযোগিতা করেন। এমন মহতি উদ্যোগে বগুড়ার সাধারণ মানুষ সংগঠনটির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বগুড়ার সাবগ্রামের ফুলেরা খাতুন, নাটাইপাড়া আমিনা আক্তার বলেন, ঈদের দিনে তিন বেলা পেটপুরে খেতে পারবে কিনা সেই চিন্তা মাথায় নিয়ে গত রাতেও ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ঘুম থেকে জেগেই বড় দোকানে ইচ্ছেমত চাল ডাল, লবন, তেল, মসলা, সাবান, সেমাই, সুজি, চিনিসহ প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র নিতে পারবো এমন কল্পনা আমাদের কখনোই ছিলো না। এসব পেয়ে তারা আনন্দ অশ্রুতে ভেসেছেন দু’চোখ। ।
অপরদিকে বগুড়ার দক্ষিণ ধাওয়াপাড়া এলাকার নুরজাহান বেগম বলেন, আমরা গরিব মানুষ। চেয়ে চিন্তে আমাদের দিন চলে। সুপার শপগুলো তারা বাইরে থেকে দাঁড়িয়ে বড়লোকদের কেনা কাটা করতে দেখতেন। বড় বড় গাড়ি নিয়ে এমন দোকানে ধনীলোকেরা কেনাকাটা করে বের হলে তাদের কাছে হাতপাতিয়ে দুই চার টাকা নিতাম। কোন দিন ভিতরে ঢোকার সাহস হয়নি। সেই বড় লোকের দোকানের মধ্যে গিয়ে ইচ্ছেমত জিনিসপত্র কিনতে পেরে মনটা ভরে গেছে। তারা এমন মহতি উদ্যোক্তাদের প্রাণ ভরে দোয়া করেন।
ডু সামথিং ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ডা. নাজমুল ইসলাম মানবজমিনকে জানান, স্বেচ্ছাসেবী এই সংগঠনটি সারাদেশেই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোই তাদের কাজ। তিনি আরো বলেন, ঈদ, রমজানসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশেও ডু সামথিং ফাউন্ডেশন সব সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে থাকে। সেই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার বগুড়ায় এক ভিন্নধর্মী ঈদ বাজার পরিচালিত করা হয়। এতে ২৫ জন অসহায় দরিদ্র ছিন্নমূল মানুষকে দেশের নাম করা এক সুপার শপে "ইচ্ছেমতো বাজার" শিরোনামে বাজার করার সুযোগ প্রদান করা হয়। সকাল থেকে সুশৃঙ্খল ভাবে সুপার শপের সামনে শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখে "ইচ্ছেমতো বাজার "কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
এসময় ডু সামথিং ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক আল আমিন, মাকসুদুল হাসান, আহসান হাবিব নাফি, আরাফাত রহমান কেনাকাটায় সহযোগিতা করেন। এমন মহতি উদ্যোগে বগুড়ার সাধারণ মানুষ সংগঠনটির ভূয়সী প্রশংসা করেন।