প্রথম পাতা

বিদেশফেরতদের কোয়ারেন্টিনের তথ্য নেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে

সিরাজুস সালেকিন

১২ মে ২০২১, বুধবার, ৯:৩৪ অপরাহ্ন

বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের হোটেল কোয়ারেন্টিনের বিষয়ে কোনো
তথ্য নেই সরকারের কাছে। হোটেল খরচের ব্যাপারে নেই কোনো নির্দেশনা। কোয়ারেন্টিনে খরচ কমাতে রুম শেয়ার করছেন যাত্রীরা। একই রুমে একাধিক ব্যক্তি অবস্থানের কারণে উভয়েই ঝুঁকির মধ্যে পড়ছেন। বিদেশফেরত যাত্রীরা আদৌ কোয়ারেন্টিনে থাকছেন কি-না সে বিষয় নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। শুধুমাত্র হোটেলের তালিকা প্রকাশ করেই যেন দায় শেষ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। গত ৫ই মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা বিদেশফেরত যাত্রীদের কোয়ারেন্টিনের জন্য ৫২টি হোটেলের তালিকা প্রকাশ করে। এর আগেও বেশ কয়েক দফা হোটেলের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। এ তালিকায় রয়েছে তারকা হোটেলের পাশাপাশি আবাসিক অ্যাপার্টমেন্টও।
গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৪ হাজার মানুষ দেশে প্রবেশ করেছে। গত সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে সারা দেশে প্রায় এক হাজারের মতো মানুষ যুক্ত হলেও বিদেশফেরতদের কোনো হিসাব নেই। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হটলাইনে যোগাযোগ করা হলে তারা রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক ডা. নাজমুল ইসলাম ও ডা. রোবেদ আমিনের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। উভয়ের সঙ্গে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
গুলশানের দি ওয়ে ঢাকা হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তাদের কোয়ারেন্টিনের জন্য অনুমতি দিয়েছে। পরবর্তীতে তাদের সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ হয়নি। প্রতিদিন দু’একজন করে অতিথি আসছেন। তাদের হোটেলে প্রতিদিনের খরচ ৭ হাজার টাকা। যাত্রীরা চাইলে এয়ারপোর্ট থেকে তাদের পিকআপ করা হয়। অথবা যাত্রীরা নিজেরাও সরাসরি আসতে পারেন। অবশ্য হোটেল বুকিংয়ের কাগজ এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হয়। হোটেল অ্যাফোর্ড ইন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের হোটেলে এক রুমের ভাড়াসহ খরচ ৪ হাজার টাকা। তবে চাইলে রুম শেয়ার করে থাকা যায়। সেই ক্ষেত্রে খরচ ২ হাজার ৫০০ টাকা। অতিথিরা রুম শেয়ারের ব্যবস্থা করে দেন।
করোনার সংক্রমণ রোধে ৩৮টি দেশের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে ১লা মে থেকে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। এই ৩৮টি দেশ থেকে কেউ বাংলাদেশে আসলে তার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এরমধ্যে বেশিরভাগ দেশের ক্ষেত্রে আগতদের হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। তবে সরকার নির্ধারিত হোটেলের তালিকা প্রকাশ না করা, ভাড়া নির্ধারণ না করা, হোটেলের বুকিং অনলাইনে করতে না পারাসহ বিভিন্ন জটিলতার মধ্য পড়েন প্রবাসীরা। সরকারি কোনো সংস্থার ওয়েবসাইটেও এ বিষয়ে তথ্য ছিল না। পরবর্তীতে যোগাযোগের নম্বর উল্লেখ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে হোটেলের তালিকা প্রকাশ করা হয়। বাধ্য হয়ে বিদেশে সরকারের কোনো নির্দেশনা না থাকায় একই হোটেলের জন্য ভাড়া চাওয়া হচ্ছে একেকজনের কাছে একেক রকম। হোটেলের পরিবেশ না দেখেই অগ্রিম বুকিং নেয়া হচ্ছে। অনেক আবাসিক বাসাতেও কোয়ারেন্টিন করার অনুমতি দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ফলে বিদেশ থেকে আগতদের কোয়ারেন্টিনের যে উদ্দেশ্য তা ব্যাহত হচ্ছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status