বাংলারজমিন

করোনা বুঝি না, যেতে হবে পরিবারের কাছে

স্টাফ রিপোর্টার, মানিকগঞ্জ থেকে

১১ মে ২০২১, মঙ্গলবার, ৮:২১ অপরাহ্ন

উপায় নেই, ঈদ বলে কথা। যেতে হবে পরিবারের কাছে। তাই করোনা বুঝি না, ঠেলা-ধাক্কা আর গাদাগাদি করে হলেও যেতে হবে বাবা-মায়ের কাছে। কথাগুলো গোপালগঞ্জের আইরিন আক্তারের। দুপুরে বিভিন্ন কৌশলে পাটুরিয়া ঘাটে আসেন এই নারী। তার মতো দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শত শত  মানুষ করোনার ভয় উপেক্ষা করে ছুটে চলেছেন আপন ঠিকানায়। পাটুরিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে,  সোমবার সকাল থেকে ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেশি। তবে গাড়ি বলতে এম্বুলেন্স, লাশবাহী ও পণ্যবাহী পরিবহনই বেশি দেখা গেছে। তবে এসব গাড়ির সংখ্যা তুলনামূলক কম। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের টেপড়ায় বিজিবি’র চেকপোস্ট থাকায় সরাসরি প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস সহ অন্যান্য ছোট গাড়িগুলো ঘাটে ভিড়তে পারেনি। দিনের বেলায় এসব গাড়ি ঘাটে যাওয়ার চেষ্টা করলেও টেপড়া এলাকায় বিজিবি’র বাধা পেয়ে কেউ উল্টো পথে ফিরে যাচ্ছে। আবার কোনো কোনো গাড়ি মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে থেকে যাচ্ছে। রাতে সে সব গাড়ি ফেরি পারাপার হবে। তবে পাটুরিয়া ঘাটে ছোট গাড়ি প্রবেশ করতে না পারলেও দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীরা বিভিন্ন কায়দায় ভেঙে ভেঙে ঘাটে ঠিকই পৌঁছাচ্ছেন। আর ঘাটে পৌঁছানোর পর তারা ফেরির অপেক্ষায় থাকছে। ৫-৬টি ফেরি দিয়ে জরুরি পরিবহনগুলো পারাপার করা হলেও তার ভেতর রয়েছে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। করোনার এই দুঃসময়ে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধির ছিটেফোঁটাটুকুও মেনে চলছে না কোনো যাত্রী। তাদের উদ্দেশ্য বাড়ি ফিরতে হবে। তাই করোনার ভয় কারো মধ্যে বিন্দু পরিমাণ দেখা যায়নি। যাত্রীদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানিয়েছেন, পথেঘাটে বিভিন্ন চেকপোস্ট ভেদ করে ঢাকা থেকে বিভিন্নভাবে তারা পাটুরিয়া ঘাটে এসেছেন। যেতে হবে পরিবারের কাছে। তাই করোনা ভয়কে উপেক্ষা করে তারা ছুটে চলেছেন বলে জানান। বিআইডব্লিউটিসির ভারপ্রাপ্ত ডিজিএস জিল্লুর রহমান বলেন, জরুরি গাড়ি পারাপারের জন্য ৫-৬টি ফেরি সচল রাখা হয়েছে। তবে ফেরিগুলোতে গাড়ির চাইতে মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি থাকছে। এত কঠোর অবস্থানে থাকার পরও এসব মানুষ বিভিন্ন কৌশলে ঘাটে আসছে। মানবিক কারণে বাধ্য হয়ে মানুষজনকে পার করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status