প্রবাসীদের কথা
অস্ট্রেলিয়া প্রবাসীর সহায়তায় দেশে ফিরলো পর্তুগালে আটকে পড়া কিশোর
স্টাফ রিপোর্টার
১০ মে ২০২১, সোমবার, ১০:৩৬ পূর্বাহ্ন

অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মতিউর রহমান
করোনায় নাস্তানাবুদ গোটা ইউরোপ। এ অঞ্চলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনেকেই নিদারুন কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। তবে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন পর্তুগালের বাংলাদেশি প্রবাসীরা। দেশটিতে কাজ হারিয়ে অনেকে দু’বেলা দু’মুঠো খাবারও যোগাড় করতে পারছেন না। সেখানে বাংলাদেশিদের অবস্থা এতই নাজুক যে, দূতাবাসের পক্ষ থেকেও কয়েক দফা ত্রাণও দেয়া হয়েছে। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় তা নিতান্তই অপ্রতুল। এ অবস্থায় বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশিরাও তাদের সাহায্যে হাত বাড়িয়েছেন। তেমনই একজন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মতিউর রহমান। চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার গাছুয়া গ্রামের মো. ওবায়দুল হকের ছেলে তিনি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক এই শিক্ষার্থী ২০১১ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করে আসছেন।
গত বছর অর্থ্যাৎ ২০২০ সালের প্রথমদিকে করোনা যখন গোটা ইউরোপে ভয়াল থাবা বসায় তখন অন্যান্য দেশের মতো পর্তুগালে অবস্থিত বাংলাদেশিরাও বিপাকে পড়েন। অনেকেই কাজ হারান। করোনার দীর্ঘসূত্রিতার কারণে তাদের অনেকেরই আর কাজে ফেরা হয়নি। এ অবস্থায় স্থায়ীভাবে বেকার হয়ে পড়েন তারা।
বরিশালের স্বামী পরিত্যক্তা এক নারী তাদেরই একজন। তিনি করোনা সংক্রমণের বছর দুয়েক আগে দেশটি যান। এরপর তার ১২ বছরের ছেলেকে নিয়ে যান নিজের কাছে। করোনা মহামারীর সময়ে অনেকের মতো ওই নারীও কাজ হারান। কিছুদিনেই নিজের শেষ সঞ্চয়টুকু শেষ হয়ে যায়। নিদারুন অর্থকষ্টে দিন কাটে তার। ছেলেকে নিয়ে মহাবিপাকে পড়েন তিনি। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে ধরেন পর্তুগালের বাংলাদেশি কমিউিনিটি। এটি নজরে আসে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মতিউর রহমানের। তিনি বাংলাদেশি কমিউনিটির মাধ্যমে খোঁজ-খবর নিয়ে এর সত্যতা যাচাই করেন। পরে সাহায্যের জন্য যোগাযোগ করেন ওই নারীর সঙ্গে। তার আর্থিক দুর্গতির কথা শোনেন। তাকে দেশটি থাকা-খাওয়ার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে আর্থিক সহায়তা দেন। করোনার দীর্ঘসূত্রিতায় কাজে ফেরা অনিশ্চয়তার কারণে এ সহযোগিতা অব্যাহত রাখেন মতিউর রহমান। পরে বাধ্য হয়ে ওই নারী তার ছেলেকে দেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু তার জন্য দরকার প্রায় ৭০ হাজার টাকা। এ টাকারও পুরোটায় বহন করেন মতিউর রহমান। চলতি বছরের ২৬শে ফেব্রুয়ারি তার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ১২ বছরের কিশোরটি দেশে ফিরেছে। গত ৬ মাস ধরে মতিউর রহমান পরিবারটিকে আর্থিক সহযোগিতা করে আসছেন। এখনও ওই নারী কর্মহীন। তাকে সাহায্য অব্যাহত রেখেছেন তিনি।
মতিউর রহমান জানান, একান্তই মানবিকতার জন্য ওই পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়েছি। বলেন, শুকরিয়া আদায় করি এজন্য যে, আল্লাহ আমার সামান্য যে সামর্থ্য দিয়েছেন তাতে অনেককেই বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করতে পারছি। তিনি বলেন, হয়তো আমার চেয়ে সামর্থবান অনেকেই আছেন। সবাই সামর্থানুযায়ী এগিয়ে আসলে আমাদের প্রবাসীরা কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন। পাশাপাশি সরকারেরও তাদের পুনর্বাসনে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া দরকার। অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী এই বাংলাদেশি আরও বলেন, তিনি (ওই নারী) আর কাজে ফিরতে পরবেন কিনা তার নিশ্চয়তা নেই। সেক্ষেত্রে তারও দেশে ফিরে যাওয়াই উত্তম। দেশে ফেরার পর তাকে পুনর্বাসনে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দেন তিনি। চট্টগ্রামের এই যুবক বলেন, এখানে জব করি। যা আয়-রোজগার করি দেশে পরিবারের প্রয়োজন মেটানোর পর যা থাকে তার পুরোটাই মানবসেবায় ব্যয় করার চেষ্টা করি। এতেই আমার আনন্দ।
মতিউর রহমান তার এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মানবিক কর্মকাণ্ডে নিয়মিত আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কাজেও অংশগ্রহণ করেন তিনি। তার পিতা মো. ওবায়দুল হকও একজন দানবীর। অবসরপ্রাপ্ত এই কর্মকর্তা তার পেনশনের সমুদয় অর্থ জনকল্যাণে ব্যয় করেছেন।
গত বছর অর্থ্যাৎ ২০২০ সালের প্রথমদিকে করোনা যখন গোটা ইউরোপে ভয়াল থাবা বসায় তখন অন্যান্য দেশের মতো পর্তুগালে অবস্থিত বাংলাদেশিরাও বিপাকে পড়েন। অনেকেই কাজ হারান। করোনার দীর্ঘসূত্রিতার কারণে তাদের অনেকেরই আর কাজে ফেরা হয়নি। এ অবস্থায় স্থায়ীভাবে বেকার হয়ে পড়েন তারা।
বরিশালের স্বামী পরিত্যক্তা এক নারী তাদেরই একজন। তিনি করোনা সংক্রমণের বছর দুয়েক আগে দেশটি যান। এরপর তার ১২ বছরের ছেলেকে নিয়ে যান নিজের কাছে। করোনা মহামারীর সময়ে অনেকের মতো ওই নারীও কাজ হারান। কিছুদিনেই নিজের শেষ সঞ্চয়টুকু শেষ হয়ে যায়। নিদারুন অর্থকষ্টে দিন কাটে তার। ছেলেকে নিয়ে মহাবিপাকে পড়েন তিনি। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে ধরেন পর্তুগালের বাংলাদেশি কমিউিনিটি। এটি নজরে আসে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মতিউর রহমানের। তিনি বাংলাদেশি কমিউনিটির মাধ্যমে খোঁজ-খবর নিয়ে এর সত্যতা যাচাই করেন। পরে সাহায্যের জন্য যোগাযোগ করেন ওই নারীর সঙ্গে। তার আর্থিক দুর্গতির কথা শোনেন। তাকে দেশটি থাকা-খাওয়ার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে আর্থিক সহায়তা দেন। করোনার দীর্ঘসূত্রিতায় কাজে ফেরা অনিশ্চয়তার কারণে এ সহযোগিতা অব্যাহত রাখেন মতিউর রহমান। পরে বাধ্য হয়ে ওই নারী তার ছেলেকে দেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু তার জন্য দরকার প্রায় ৭০ হাজার টাকা। এ টাকারও পুরোটায় বহন করেন মতিউর রহমান। চলতি বছরের ২৬শে ফেব্রুয়ারি তার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ১২ বছরের কিশোরটি দেশে ফিরেছে। গত ৬ মাস ধরে মতিউর রহমান পরিবারটিকে আর্থিক সহযোগিতা করে আসছেন। এখনও ওই নারী কর্মহীন। তাকে সাহায্য অব্যাহত রেখেছেন তিনি।
মতিউর রহমান জানান, একান্তই মানবিকতার জন্য ওই পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়েছি। বলেন, শুকরিয়া আদায় করি এজন্য যে, আল্লাহ আমার সামান্য যে সামর্থ্য দিয়েছেন তাতে অনেককেই বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করতে পারছি। তিনি বলেন, হয়তো আমার চেয়ে সামর্থবান অনেকেই আছেন। সবাই সামর্থানুযায়ী এগিয়ে আসলে আমাদের প্রবাসীরা কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন। পাশাপাশি সরকারেরও তাদের পুনর্বাসনে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া দরকার। অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী এই বাংলাদেশি আরও বলেন, তিনি (ওই নারী) আর কাজে ফিরতে পরবেন কিনা তার নিশ্চয়তা নেই। সেক্ষেত্রে তারও দেশে ফিরে যাওয়াই উত্তম। দেশে ফেরার পর তাকে পুনর্বাসনে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দেন তিনি। চট্টগ্রামের এই যুবক বলেন, এখানে জব করি। যা আয়-রোজগার করি দেশে পরিবারের প্রয়োজন মেটানোর পর যা থাকে তার পুরোটাই মানবসেবায় ব্যয় করার চেষ্টা করি। এতেই আমার আনন্দ।
মতিউর রহমান তার এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মানবিক কর্মকাণ্ডে নিয়মিত আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কাজেও অংশগ্রহণ করেন তিনি। তার পিতা মো. ওবায়দুল হকও একজন দানবীর। অবসরপ্রাপ্ত এই কর্মকর্তা তার পেনশনের সমুদয় অর্থ জনকল্যাণে ব্যয় করেছেন।