অনলাইন
লকডাউন ঢাকা
শরীফ আস্-সাবের
৬ মে ২০২১, বৃহস্পতিবার, ৭:৪৯ অপরাহ্ন
১.
আমি হালায় ঢাকাই পোলা, কেঠায় আমায় বান্দে,
হুদাই কিলায় হালাইছো এই লকডাউনের ফান্দে?
পাঙ্খিদারী পোলা আমার, আমার সোনা চান্দে -
নান্না মিয়ার কোরমা পোলাও টিক্কা চাইয়া কান্দে।
বয়ফ্রেন্ডের নাইক্যা দেখা, মাইয়া রইছে রাইগ্যা
চকের মোড়ে যাইবার চায় সোনা বন্ধুর লাইগ্যা।
বউয়ের আমার লাগবো নাকি নতুন শাড়ী গয়না
কেনাকাটার নেশা উনার, মনডা ঘরে রয় না।
আমার কিছু ভাল্লাগেনা, ঘরে আছি পইড়া,
বউয়ের বকা ঝকা খাইয়া কইলজা গেছে মইরা।
২.
হবায় খবর আইলো শহর দিছে নাকি খুইল্যা
শপিং মলে যাইতাছে সব টেম্পু বাসে ঝুইল্যা।
আমার এহন মুক্তি দিবস, খুশীর বাতাস বইছে
বউ পোলাপান যে যার মত ঘরের বাহির হইছে।
আমি গেলাম নবাবপুরে খাসির মগজ খাইতে,
দিন দুনিয়ার হাল হকিকত একটুখানি চাইতে।
বহুত লোকের মুখে মুখোশ যেন জোকার, মুর্তি!
খাওয়ন দাওয়ন চলতে আছে, আহা কি যে ফুর্তি।
পেট পুরাইয়া ঢেঁকুর দিয়া চাইয়া দেখি রাস্তায় -
বাদে বাদে একটা দুইটা মরা মাইনসের লাশ যায়।
৩.
রাইতের বেলা ঘরে ফিরা মনের সুখে হাসলাম,
সকাল বেলায় ঘুম ভাঙলে শুকনা কাশি কাশলাম।
তিনদিন পর গলা ব্যথা, জ্বরও আইলো ঠাইস্যা,
করোনাতে ধরছে রে বাপ, পোলা কইলো আইস্যা!
হেল্প লাইনে ফোন ধরে না, পাড়ার ক্লিনিক বন্ধ
মনে হইলো কপাল আমার অক্কোবারে মন্দ।
ধরমরাইয়া আমি আর বউ লোকাল বাসে উইঠ্যা -
মহাখালি হাসপাতালে গেলাম তখন ছুইট্টা।
হাসপাতালে হাজির, মগার কেউ দিলো না পাত্তা
নার্স ডাক্তার কেউই আইস্যা ধরলো না এই হাতটা।
একলা বেডে শুইয়া আছি, বুকটা করে হাসফাস
চারদিকে সব কান্নাকাটি, আজরাইলের নি:শ্বাস।
নিজের ঘরে ছিলাম ভালো লকডাউনের ফান্দে,
মনডা আমার বউ পোলাপান ঘরের লাইগ্যা কান্দে।
আমি হালায় ঢাকাই পোলা, কেঠায় আমায় বান্দে,
হুদাই কিলায় হালাইছো এই লকডাউনের ফান্দে?
পাঙ্খিদারী পোলা আমার, আমার সোনা চান্দে -
নান্না মিয়ার কোরমা পোলাও টিক্কা চাইয়া কান্দে।
বয়ফ্রেন্ডের নাইক্যা দেখা, মাইয়া রইছে রাইগ্যা
চকের মোড়ে যাইবার চায় সোনা বন্ধুর লাইগ্যা।
বউয়ের আমার লাগবো নাকি নতুন শাড়ী গয়না
কেনাকাটার নেশা উনার, মনডা ঘরে রয় না।
আমার কিছু ভাল্লাগেনা, ঘরে আছি পইড়া,
বউয়ের বকা ঝকা খাইয়া কইলজা গেছে মইরা।
২.
হবায় খবর আইলো শহর দিছে নাকি খুইল্যা
শপিং মলে যাইতাছে সব টেম্পু বাসে ঝুইল্যা।
আমার এহন মুক্তি দিবস, খুশীর বাতাস বইছে
বউ পোলাপান যে যার মত ঘরের বাহির হইছে।
আমি গেলাম নবাবপুরে খাসির মগজ খাইতে,
দিন দুনিয়ার হাল হকিকত একটুখানি চাইতে।
বহুত লোকের মুখে মুখোশ যেন জোকার, মুর্তি!
খাওয়ন দাওয়ন চলতে আছে, আহা কি যে ফুর্তি।
পেট পুরাইয়া ঢেঁকুর দিয়া চাইয়া দেখি রাস্তায় -
বাদে বাদে একটা দুইটা মরা মাইনসের লাশ যায়।
৩.
রাইতের বেলা ঘরে ফিরা মনের সুখে হাসলাম,
সকাল বেলায় ঘুম ভাঙলে শুকনা কাশি কাশলাম।
তিনদিন পর গলা ব্যথা, জ্বরও আইলো ঠাইস্যা,
করোনাতে ধরছে রে বাপ, পোলা কইলো আইস্যা!
হেল্প লাইনে ফোন ধরে না, পাড়ার ক্লিনিক বন্ধ
মনে হইলো কপাল আমার অক্কোবারে মন্দ।
ধরমরাইয়া আমি আর বউ লোকাল বাসে উইঠ্যা -
মহাখালি হাসপাতালে গেলাম তখন ছুইট্টা।
হাসপাতালে হাজির, মগার কেউ দিলো না পাত্তা
নার্স ডাক্তার কেউই আইস্যা ধরলো না এই হাতটা।
একলা বেডে শুইয়া আছি, বুকটা করে হাসফাস
চারদিকে সব কান্নাকাটি, আজরাইলের নি:শ্বাস।
নিজের ঘরে ছিলাম ভালো লকডাউনের ফান্দে,
মনডা আমার বউ পোলাপান ঘরের লাইগ্যা কান্দে।