বিশ্বজমিন
টিকার প্যাটেন্ট বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দিতে সমর্থন জো বাইডেনের
মানবজমিন ডেস্ক
৬ মে ২০২১, বৃহস্পতিবার, ২:২৩ অপরাহ্ন
অবস্থান পাল্টেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলো যাতে করোনা ভাইরাসের টিকা পায় তার জন্য এই টিকার ‘ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি’ বা প্যাটেন্ট বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দেয়ার প্রস্তাবে বুধবার সমর্থন দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার নিজের দল ডেমোক্রেট এবং অন্য শতাধিক দেশের চাপে এ অবস্থান নিয়েছেন তিনি। ফলে আগের অবস্থান থেকে বাইডেন সরে এসে দরিদ্র দেশগুলোকে টিকার প্যাটেন্ট শেয়ার করার দাবির প্রতি সমর্থন দিয়েছেন। তার এই সমর্থন যদি কার্যকর হয় তাহলে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে উৎপাদন করা যাবে টিকা। তাতে অসংখ্য মানুষকে করোনা ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা করা সহজ হবে। তবে বাইডেনের এমন সমর্থনের কারণে ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়, নিজের প্রধান বাণিজ্য বিষয়ক মধ্যস্থতাকারী ক্যাথেরিন তাই-এর দেয়া একটি সরকারি বিবৃতির পর হোয়াইট হাউজে বক্তব্য রাখেন জো বাইডেন। এতে তিনি তার আগের অবস্থান থেকে সরে আসেন এবং টিকা উৎপাদনের জন্য অস্থায়ী ওয়েভার দেয়ার পক্ষে সমর্থন দেন। তার আগে ক্যাথেরিন তাই এক বিবৃতিতে করোনা ভাইরাস ইস্যুতে বলেন, এটা একটা বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সঙ্কট। কোভিড-১৯ মহামারিতে ব্যতিক্রমী অবস্থায় ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ নিতে হবে। ভারতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এ নিয়ে ক্রমশই উদ্বেগ বাড়ছে। এ উদ্যোগের খবর প্রকাশ হতেই টিকা উৎপাদনের বড় বড় প্রতিষ্ঠানের শেয়ারে আঘাত ফেলেছে। তাদের শেয়ারের মূল্য কমে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে করোনার টিকা উৎপাদনকারী সবচেয়ে বড় দুটি কোম্পানি হলো মডার্না এবং ফাইজার।
জো বাইডেনের অবস্থানের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেডরোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস। তিনি টুইটারে কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি গতিময় মুহূর্ত প্রত্যাশা করছিলেন। সিনিয়র একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেছেন, ঘোষণা দেয়ার আগে সরকারের পরিকল্পনা নিয়ে ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোকে বিষয়টি অবহিত করেছে বাইডেন প্রশাসন। এসব কোম্পানি করোনাকালে বিপুল রাজস্ব ও লাভ করেছে। কিন্তু ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পের সবচেয়ে বড় লবি গ্রুপ সতর্ক করেছে এই বলে যে, বাইডেন যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা অনাকাঙ্খিত। তার এ উদ্যোগের ফলে মহামারি এবং নিরাপত্তার মধ্যে এক রকম সমঝোতার মাধ্যমে পুরো বিষয়টিকে খাটো করে ফেলবে। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই তার সরকারের শীর্ষ অগ্রাধিকারে থাকবে বলে প্রশ্রিুতি দিয়েছিলেন। তারপর যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসের টিকা দেয়ার ফলে সেখানে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা কমে আসে। উল্লেখ্য, বাইডেনের আগে যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতায় ছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের সঙ্গে চার বছরে সম্পর্ক হয়ে উঠেছিল তিক্ত। সেখান থেকে বেরিয়ে বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাইডেন। এমন প্রতিশ্রুতি দেয়া প্রেসিডেন্টের ওপর তারই দল ডেমোক্রেটদের পক্ষ থেকে চাপ বাড়ে। চাপ বাড়ে টিকা উৎপাদনের প্রযুুক্তি বিশ্বের সঙ্গে শেয়ার করতে। ভারতে যখন করোনা ভাইরাস এক মহামারি সৃষ্টি করেছে তখনই এমন সিদ্ধান্ত এসেছে বাইডেনের পক্ষ থেকে।
ওদিকে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে জেনেভাভিত্তিক গ্রুপ ‘গাভি’। তারা ওয়াশিংটনের কাছে জানতে চেয়েছে কিভাবে বিশ্বজুড়ে এই টিকা তৈরি প্রক্রিয়া হাতবদল করা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার করোনা টিকা বিষয়ক কর্মসূচি ‘কোভ্যাক্স’-এর নেতৃস্থানে আছে জেনেভাভিত্তিক গ্রুপ গাভি। তারা রয়টার্সের কাছে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেছে, বেশি বেশি কাঁচামাল তৈরিতে বাইডেন প্রশাসনের প্রতিশ্রুতিকে আমরা স্বীকৃতি দিই। যদি এই কাঁচামাল বেশি থেকে বেশি সরবরাহ দেয়া যায়, তাহলে বিশ্বজুড়ে করোনার বিস্তার রোধে সহায়ক হবে।
জো বাইডেনের অবস্থানের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেডরোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস। তিনি টুইটারে কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি গতিময় মুহূর্ত প্রত্যাশা করছিলেন। সিনিয়র একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেছেন, ঘোষণা দেয়ার আগে সরকারের পরিকল্পনা নিয়ে ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোকে বিষয়টি অবহিত করেছে বাইডেন প্রশাসন। এসব কোম্পানি করোনাকালে বিপুল রাজস্ব ও লাভ করেছে। কিন্তু ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পের সবচেয়ে বড় লবি গ্রুপ সতর্ক করেছে এই বলে যে, বাইডেন যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা অনাকাঙ্খিত। তার এ উদ্যোগের ফলে মহামারি এবং নিরাপত্তার মধ্যে এক রকম সমঝোতার মাধ্যমে পুরো বিষয়টিকে খাটো করে ফেলবে। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই তার সরকারের শীর্ষ অগ্রাধিকারে থাকবে বলে প্রশ্রিুতি দিয়েছিলেন। তারপর যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসের টিকা দেয়ার ফলে সেখানে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা কমে আসে। উল্লেখ্য, বাইডেনের আগে যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতায় ছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের সঙ্গে চার বছরে সম্পর্ক হয়ে উঠেছিল তিক্ত। সেখান থেকে বেরিয়ে বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাইডেন। এমন প্রতিশ্রুতি দেয়া প্রেসিডেন্টের ওপর তারই দল ডেমোক্রেটদের পক্ষ থেকে চাপ বাড়ে। চাপ বাড়ে টিকা উৎপাদনের প্রযুুক্তি বিশ্বের সঙ্গে শেয়ার করতে। ভারতে যখন করোনা ভাইরাস এক মহামারি সৃষ্টি করেছে তখনই এমন সিদ্ধান্ত এসেছে বাইডেনের পক্ষ থেকে।
ওদিকে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে জেনেভাভিত্তিক গ্রুপ ‘গাভি’। তারা ওয়াশিংটনের কাছে জানতে চেয়েছে কিভাবে বিশ্বজুড়ে এই টিকা তৈরি প্রক্রিয়া হাতবদল করা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার করোনা টিকা বিষয়ক কর্মসূচি ‘কোভ্যাক্স’-এর নেতৃস্থানে আছে জেনেভাভিত্তিক গ্রুপ গাভি। তারা রয়টার্সের কাছে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেছে, বেশি বেশি কাঁচামাল তৈরিতে বাইডেন প্রশাসনের প্রতিশ্রুতিকে আমরা স্বীকৃতি দিই। যদি এই কাঁচামাল বেশি থেকে বেশি সরবরাহ দেয়া যায়, তাহলে বিশ্বজুড়ে করোনার বিস্তার রোধে সহায়ক হবে।