বাংলারজমিন
মুক্তিপণ না পেয়ে শিশু রিয়াদকে খুন
স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে
৬ মে ২০২১, বৃহস্পতিবার, ৯:১৫ অপরাহ্ন
সিদ্ধিরগঞ্জে মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে ৭ বছরের শিশু রিয়াদকে খুন করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ঘাতক সুজন (২৮) কে আটক করেছে। পরে তার দেয়া তথ্যমতে গতকাল ভোরে থানার জালকুড়ি তালতলা এলাকার মাদবর বাজার সংলগ্ন বিলের ডোবা থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত ২৪শে এপ্রিল বিকাল থেকে নিখোঁজ ছিল শিশু রিয়াদ। ২৮শে এপ্রিল একটি মোবাইল নাম্বার থেকে রিয়াদের বাবার কাছে ফোন করে দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এ ঘটনায় ওইদিন রিয়াদের বাবা সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি জিডি করে।
নিহত শিশু রিয়াদের বাবা দিনমজুর রাজু জানান, তার পরিবার এবং সুজন উভয়ের গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধায়। সম্পর্কে সে আমার চাচাতো ভায়রা। কর্মসূত্রে তারা সিদ্ধিরগঞ্জে ভাড়াটিয়া হিসেবে মুনলাইট এলাকায় ও সুজন চর সুমিলপাড়া এলাকায় বসবাস করে। নিখোঁজের দিন বিকালে আমার ভায়রা সুজন আমার দুই ছেলেকে দোকান থেকে কেক কিনে দেয়ার জন্য নিয়ে যায়। পরে আমার দুই ছেলে কেক নিয়ে বাসায় আসে এবং আমার বড় ছেলে রিয়াদ আবার বাসা থেকে বেড়িয়ে যায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। আমরা তাকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে শুরু করি। আমাদের সঙ্গে সুজনও খোঁজ করে। পরে অন্য একটি অপরিচিত ব্যক্তির ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার থেকে ফোন করে আমার কাছে দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। কন্ঠ শুনেই সুজনকে আমার সন্দেহ হয়। আমি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে বিষয়টি জানাই।
নারায়ণগঞ্জ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী বলেন, উক্ত ঘটনায় মুক্তিপণ দাবি করা মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সুজন নামে একজনকে আটক করা হয়। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী শিশু রিয়াদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ২৪শে এপ্রিল শিশু রিয়াদকে অপহরণ করে ওই রাতেই হত্যার পর লাশটি গুম করার উদ্দেশ্যে জালকুড়ি এলাকার বিলে একটি ডোবার পানিতে ভাসমান জঙ্গলের নিচে লুকিয়ে রাখে সুজন। এ ঘটনায় আরো কেউ জড়িত আছে কি না, সে বিষয়ে তদন্ত চলছে।
নিহত শিশু রিয়াদের বাবা দিনমজুর রাজু জানান, তার পরিবার এবং সুজন উভয়ের গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধায়। সম্পর্কে সে আমার চাচাতো ভায়রা। কর্মসূত্রে তারা সিদ্ধিরগঞ্জে ভাড়াটিয়া হিসেবে মুনলাইট এলাকায় ও সুজন চর সুমিলপাড়া এলাকায় বসবাস করে। নিখোঁজের দিন বিকালে আমার ভায়রা সুজন আমার দুই ছেলেকে দোকান থেকে কেক কিনে দেয়ার জন্য নিয়ে যায়। পরে আমার দুই ছেলে কেক নিয়ে বাসায় আসে এবং আমার বড় ছেলে রিয়াদ আবার বাসা থেকে বেড়িয়ে যায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। আমরা তাকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে শুরু করি। আমাদের সঙ্গে সুজনও খোঁজ করে। পরে অন্য একটি অপরিচিত ব্যক্তির ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার থেকে ফোন করে আমার কাছে দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। কন্ঠ শুনেই সুজনকে আমার সন্দেহ হয়। আমি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে বিষয়টি জানাই।
নারায়ণগঞ্জ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী বলেন, উক্ত ঘটনায় মুক্তিপণ দাবি করা মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সুজন নামে একজনকে আটক করা হয়। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী শিশু রিয়াদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ২৪শে এপ্রিল শিশু রিয়াদকে অপহরণ করে ওই রাতেই হত্যার পর লাশটি গুম করার উদ্দেশ্যে জালকুড়ি এলাকার বিলে একটি ডোবার পানিতে ভাসমান জঙ্গলের নিচে লুকিয়ে রাখে সুজন। এ ঘটনায় আরো কেউ জড়িত আছে কি না, সে বিষয়ে তদন্ত চলছে।