খেলা

শ্রীলঙ্কায় যেমন কাটলো নাফীসের

স্পোর্টস রিপোর্টার

৬ মে ২০২১, বৃহস্পতিবার, ৮:১১ অপরাহ্ন

১২ই সেপ্টেম্বর ২০০৫, শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে টেস্ট অভিষেক হয় শাহরিয়ার নাফীসের। এর মাঝে এক যুগ পেরিয়ে গেছে। ক্যারিয়ারে উত্থান-পতনে আবারো সেই লঙ্কায় টেস্ট সফরে যাওয়ার সুযোগ হয় জাতীয় দলের এই ওপেনারের। না, ক্রিকেটার হিসেবে নয়, এবার তার ভূমিকা ভিন্ন। ২০১৩তে শেষ টেস্ট খেলেছেন। এরপর বাদ পড়েন। সেখান থেকে শুধুই অপেক্ষা। অবশেষে টাইগার শিবিরে ফিরলেন কাঁধে নতুন এক দায়িত্ব নিয়ে। হ্যাঁ, নতুন ভূমিকাতে তার অভিষেক হয়েছে জাতীয় দলের লজিস্টিক ম্যানেজার হিসেবে। প্রথম মিশনেই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের  চ্যালেঞ্জ নিয়ে মুমিনুল হক সৌরভের দলের সঙ্গে গেলেন লঙ্কা সফরে।  ব্যাট-বল ছেড়ে কেমন ছিল সেই অভিজ্ঞতা! দৈনিক মানবজমিনকে নাফীস বলেন, ‘এক কথায় দারুণ। ক্রিকেটাররা ২০০ পারসেন্ট সহযোগিতা করেছে। দলের সঙ্গে টিম ডিরেক্টর হিসেবে থাকা সুজন  (খালেদ মাহমুদ) প্রতিটি স্টেপে আমাকে সাহায্য করেছে। এখানেই (শ্রীলঙ্কা) আমার অভিষেক হয়েছিল। আবার নতুন একটি অধ্যায় এখানেই শুরু করলাম। এ কারণেই আমি দারুণ উপভোগ করেছি। দল আরো একটু ভালো করতে পারলে হয়তো আরো ভালো লাগতো।’
১৪ই ফেব্রুয়ারি ২০২০, বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগে (বিসিএল) ব্যাট হাতে মাঠে নেমেছিলেন শাহরিয়ার নাফীস দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে। দেশের করোনা পরিস্থিতির অবনতি না হলে হয়তো তাকে আরো কিছু দিন দেখা যেত মাঠে ব্যাট-বল হাতে। তবে ৩৬ বছর বয়সে এসে হাল ছাড়লেন, হঠাৎ করেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রস্তাবে অপারেশন্স কমিটিতে ডেপুটি ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব নিলেন তিনি। এরপর দ্রুতই তাকে দলের সঙ্গে লজিস্টিক ম্যানেজার হিসেবে পাঠানো হয় শ্রীলঙ্কায়। এতদিন যাদের সঙ্গে খেলেছেন তাদের সঙ্গে নতুন এই ভূমিকাতে মানিয়ে নেয়ার ব্যাপারটা আসলে কতটা কঠিন ছিল? নাফীস বলেন, ‘এমনতো নয় যে ব্যাংকে চাকরি বা নতুন কোনো পেশা। ক্রিকেটের সঙ্গেই ছিলাম।  যেটা হয়েছে এত দিন পর্দার ওপার থেকে ম্যানেজারের ভূমিকা দেখেছি। এবার নিজে সেটি দেখলাম। দায়িত্বটা নতুন তাই একটুতো বুঝতে দেরি হবেই। আর ক্রিকেটারদের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার বিষয়টি  তেমন কঠিন ছিল না। এতদিন এদের সঙ্গেই খেলেছি। এমনকি এখানে যারা ছিলেন তাদের সঙ্গে এক দলে খেলারও অভিজ্ঞতা আছে। তাই তাদের সঙ্গে ইন্টারেকশনটা ভালো ছিল।’
শ্রীলঙ্কায় তার অভিষেক। এমনকি ক্রিকেট ক্যারিয়ারে খেলেছেন দেশটির অনেক ক্রিকেটারের সঙ্গেও। পুরানো সঙ্গীদের সঙ্গে সেখানে তার দেখা হয়েছে। তাকে নতুন এই ভূমিকাতে দেখে কতট ইতিবাচক ছিলেন তারা? নাফিস বলেন, ‘দেখেন আমাদের যে ব্যাচটা ক্রিকেট খেলতাম। অনূর্ধ্ব-১৯ থেকে শুরু করেছি তাদের বেশির ভাগই এখন খেলছে না। অনেকেই নতুন নতুন পেশা বেছে নিয়েছে। যেমন ফারভেজ মাহরুফ আমার সঙ্গে খেলেছে। ওকে দেখলাম এই সিরিজে ধারাভাষ্যকার হিসেবে। ওর সঙ্গে কথা হয়েছে। নতুন ভূমিকা নিয়ে কথা হয়নি। তবে ও জানতে চেয়েছিল ভারতে কেন লিজেন্ড ক্রিকেটে খেললাম না।’
ক্যান্ডিতে সিরিজের প্রথম টেস্টে ড্র করে বাংলাদেশ। পরেরটাতে হেরে যায়। দলের ব্যাটিং-বোলিং ও ফিল্ডিং পারফরম্যান্স ছিল গড়পড়তা। দল যখন বাজে অবস্থায় ছিল তখন সদ্য ক্রিকেট ছেড়ে দেয়া নাফীসের মনের অবস্থা কেমন ছিল? এমটা মনে হতেই পারে যে যদি আমি থাকতাম!  এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘না, ক্রিকেট ছেড়ে একেবারেই প্রফেশনালি এই কাজটি করছি। যাদের দায়িত্ব ছিল মাঠে খেলার তারা খেলেছে। আমার যে কাজ আমি করেছি। আমার এমনটা একবারও মনে হয়নি। নতুন দায়িত্বটাই উপভোগ করেছি।’
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status