দেশ বিদেশ

ব্লাসফেমি আইন নিয়ে ‘কোন আপোষ নয়’: পাকিস্তান

মানবজমিন ডেস্ক

৫ মে ২০২১, বুধবার, ৬:১৪ অপরাহ্ন

পাকিস্তান চরম বিতর্ক এবং আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র আপত্তি সত্বেও ব্লাসফেমি আইন নিয়ে কোন ধরনের সমঝোতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান সরকার। অথচ কয়েকদিন আগেই ইউরোপীয় পার্লামেন্টের গৃহীত এক রেজ্যুলেশনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে সম্প্রতি ব্লাসফেমি আইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ‘বিপদজনক’ হারে বাড়ছে। এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে দেশটিকে দিয়ে আসা জেনারেল স্কিম অব প্রিফারেন্সেস প্লাস (জিএসপি) সুবিধা অব্যাহত রাখা হবে কিনা সে বিষয়টি পুনরায় ভেবে দেখা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে রেজ্যুলেশনটিতে।

দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবরে বলা হয়েছে, ইইউ পার্লামেন্টের রেজ্যুলেশনটিতে বলা হয়েছে, গত এক বছর ধরে অনলাইন ও অফলাইনে ব্লাসফেমি আইন নিয়ে ব্যাপক অভিযোগ জমা হচ্ছে। পাকিস্তানকে ধর্মীয় স্বাধীনতার জন্য সুযোগ সৃষ্টি করার দাবি জানানো হয়েছে এই রেজ্যুলেশনটিতে। পাশাপাশি পাকিস্তানকে দেয়া জিএসপি প্লাস সুবিধাও পর্যালোচনার আহ্বান জানিয়েছেন ইইউ কর্তৃপক্ষ। ইইউ পার্লামেন্টের এসব দাবি পর্যালোচনা করতে সোমবার বৈঠক করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ইইউ’র এই রেজ্যুরেলশন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। বিভিন্ন মাধ্যমে পাওয়া খবর অনুযায়ী, সোমবারের বৈঠকে পাকিস্তান সরকার আহমাদি সম্প্রদায়কে অমুসলিম হিসেবে ঘোষণার পাশাপাশি ব্লাসফেমি আইনের সঙ্গে কোন আপোষ না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বৈঠকে আরো বলা হয়, ইই্উ-পাকিস্তানের বিভিন্ন চুক্তিতে ধর্মীয় বিষয় নিয়ে কোন শর্ত অন্তর্ভুক্ত নেই। মানুষের স্বাধীনতা, জোরপূর্বক গায়েব করা প্রতিরোধ, নারীদের অধিকার এবং সংখ্যালঘুদের অধিকার প্রদানসহ বিভিন্ন মানবাধিকার ইস্যুতে ইইউর সঙ্গে মোট আটটি চুক্তি সম্পন্ন করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের বৈঠকটিতে আরো বলা হয়, ইইউ যদি জিএসপি স্ট্যাটাস প্রত্যাহার করে নেয় তাহলে তাদের বার্ষিক ৩ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হবে।

ইইউর ফ্লাগশিপ ট্রেডিং স্কিমের আওতায় ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে পাকিস্তান জিএসপি সুবিধা পেয়ে আসছে। ভালো মানবাধিকার রেকর্ড থাকা উন্নয়নশীল দেশগুলোকে জিএসপির মাধ্যমে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে মুক্ত বাণিজ্যের সুবিধা দিয়ে থাকে জিএসপি। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডমের ২০১৯ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানে কমপক্ষে ৮০ জন ব্যাক্তিকে ব্লাসফেমি আইন অনুযায়ী দোষী সব্যস্ত করা হয়েছে এবং এদের মধ্যে অনেককেই মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।

২০২০ সালের ডিসেম্বরে বিশ্বব্যাপি প্রচলিত ব্লাসফেমি, ধর্মবিরোধ ও ধর্মত্যাগ বাতিলের আহ্বান জানিয়ে একটি রেজ্যুলেশন পাস করে যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ। বিষয়বস্তু এবং প্রয়োগ উভয় দিক থেকেই পাকিস্তানের ব্লাসফেমি আইন দেশটির মানবাধিকার আইন, চিন্তা প্রকাশের স্বাধীনতা, বিবেক এবং ধর্ম বা বিশ্বাসের সঙ্গে পুরোপুরি সাংঘর্ষিক।
সূত্র: এএনআই
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status