কলকাতা কথকতা
কলকাতা কথকতা
রাজ্যে হিংসা, প্রধানমন্ত্রীর ফোন রাজ্যপালকে, রাষ্ট্রপতি শাসনের ভ্রুকুটি
জয়ন্ত চক্রবর্তী, কলকাতা
৫ মে ২০২১, বুধবার, ৯:৫৭ পূর্বাহ্ন
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার ঠিক আগের দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখরকে টেলিফোন করে রাজ্যের হিংসা নিয়ে নিজের ক্ষোভ, ক্রোধ এবং রাজ্যের অক্ষমতার কথা জানালেন। রোববার ভোটের ফল প্রকাশের পর মঙ্গলবার পর্যন্ত সংঘাতে রাজ্যে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে তৃণমূল কর্মীরাও আছেন। বিজেপি কর্মীদের বাড়ি আক্রান্ত হয়েছে। হিংসার বলি হয়েছেন কজন বিজেপি কর্মী। লুঠতরাজ, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রতাপ নাড্ডা মঙ্গলবার হিংসায় নিহত কজন বিজেপি কর্মীর বাড়িতে যান।
আজ মমতার শপথ গ্রহণের দিন বিজেপি সারা দেশে ধর্নায় বসছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি তার টেলিফোনে উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, কোনো রাজ্যে ফল প্রকাশের পর এই রকম হিংসা দেখা যায় না। রাজ্যপাল পরে টুইট করে মোদির ক্ষোভ এবং তার নিজের সহমর্মিতার কথা জানান। বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র সম্বিৎ পাত্র বলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা আর তার রাজ্যেই বিজেপির মহিলা কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন, মারা যাচ্ছেন।
পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা নিয়ে বলিউড তারকা কঙ্গনা রানাওয়াতের একটি টুইটের পর টুইটার সেটি মুছে দিয়ে কঙ্গনার একাউন্টটি সাসপেন্ড করে। ক্ষুব্ধ কঙ্গনা বলেন, টুইটার তার একাউন্ট বন্ধ করলে কি হবে, পশ্চিমবঙ্গের লাগামহীন সন্ত্রাস সম্পর্কে হাজার একটা মাধ্যমে তিনি মত প্রকাশ করবেন।
তৃণমূল কংগ্রেস গোটা ঘটনায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারির ইঙ্গিত দেখছে। তাদের ধারণা মোদি-অমিত শাহ তাদের নিজেদের এতটা বিপর্যয় মেনে নিতে পারছেন না। তাই তারা হিংসার কথা তুলছেন। বহু তৃণমূল কর্মীও মারা যাচ্ছেন। তারা শুধু ফাটা রেকর্ডের মত বিজেপি আক্রান্ত বলে চেঁচিয়ে যাচ্ছেন। জনগণের বিপুল ম্যানডেটকে অস্বীকার করে রাষ্ট্রপতি শাসনের চেষ্টা হলে রাজ্যে আগুন জ্বলবে। তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা ফিরহাদ হাকিম বলেন, বিজেপি রাজ্যে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, শপথ নেয়ার পর তিনি শক্ত হাতে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নেবেন।
আজ মমতার শপথ গ্রহণের দিন বিজেপি সারা দেশে ধর্নায় বসছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি তার টেলিফোনে উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, কোনো রাজ্যে ফল প্রকাশের পর এই রকম হিংসা দেখা যায় না। রাজ্যপাল পরে টুইট করে মোদির ক্ষোভ এবং তার নিজের সহমর্মিতার কথা জানান। বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র সম্বিৎ পাত্র বলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা আর তার রাজ্যেই বিজেপির মহিলা কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন, মারা যাচ্ছেন।
পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা নিয়ে বলিউড তারকা কঙ্গনা রানাওয়াতের একটি টুইটের পর টুইটার সেটি মুছে দিয়ে কঙ্গনার একাউন্টটি সাসপেন্ড করে। ক্ষুব্ধ কঙ্গনা বলেন, টুইটার তার একাউন্ট বন্ধ করলে কি হবে, পশ্চিমবঙ্গের লাগামহীন সন্ত্রাস সম্পর্কে হাজার একটা মাধ্যমে তিনি মত প্রকাশ করবেন।
তৃণমূল কংগ্রেস গোটা ঘটনায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারির ইঙ্গিত দেখছে। তাদের ধারণা মোদি-অমিত শাহ তাদের নিজেদের এতটা বিপর্যয় মেনে নিতে পারছেন না। তাই তারা হিংসার কথা তুলছেন। বহু তৃণমূল কর্মীও মারা যাচ্ছেন। তারা শুধু ফাটা রেকর্ডের মত বিজেপি আক্রান্ত বলে চেঁচিয়ে যাচ্ছেন। জনগণের বিপুল ম্যানডেটকে অস্বীকার করে রাষ্ট্রপতি শাসনের চেষ্টা হলে রাজ্যে আগুন জ্বলবে। তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা ফিরহাদ হাকিম বলেন, বিজেপি রাজ্যে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, শপথ নেয়ার পর তিনি শক্ত হাতে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নেবেন।