খেলা
শুধুই কোচকে দায়ী মনে করেন না আকরাম
করোনা বাঁচিয়ে দিচ্ছে ডমিঙ্গোকে!
স্পোর্টস রিপোর্টার
৫ মে ২০২১, বুধবার, ৮:৫৭ অপরাহ্ন
শ্রীলঙ্কায় টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের মিশন শেষ। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। যদিও ক্যান্ডি টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ ড্র দিয়ে শুরু করেছিল টাইগাররা। কিন্তু পরের ম্যাচে আগের চেহারায় ফেরে বাংলাদেশ। অধিনায়ক মুমিনুল ও প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর ভাগ্য নির্ভর করছিলো এই সিরিজের পারফরমেন্সের ওপর। এমনটাই গুঞ্জন চলছিলো চারিদিকে। ধারণা করা হচ্ছিলো ফলাফল ভালো না হলে এই দুইজনকে সরিয়ে দিবে বিসিবি। বিশেষ করে প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোকে ছেঁটে ফেলা হচ্ছে এমনই সংবাদ দেশের ক্রিকেটে। ধারণা করা হচ্ছিলো টেস্ট সিরিজ শেষে তিনি দেশে গিয়ে আর ফিরবেন না। দায়িত্ব দেয়া হবে নতুন কাউকে। তবে এসব গুজব উড়িয়ে দিলেন ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান। দৈনিক মানবজমিনকে তিনি বলেন, ‘এমন কত কথাই তো শোনা যায়! সব কি সত্যি হয়? করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বের যে পরিস্থিতি তাতে কোচ বদলানো এত সহজ বিষয় নয়। তবে দল খারাপ করলে দায়টা অধিনায়ক বা কোচের ওপরই বর্তায়। এখানে আমি শুধুই কোচকে দায়ী করতে রাজি নই। এ নিয়ে আমরা দেশের পরিস্থিতি ভালো হলে আলোচনায় বসবো। যেটা দেশের জন্য ভালো সেই ভাবে সিদ্ধান্ত নিবো। এখনই কোচ বাদ দিচ্ছি এমন কোনো কিছু হয়নি।’
এই কোচের অধীনে ৯ টেস্টের ৭টিতে হেরেছে বাংলাদেশ। ৯ ওয়ানডে খেলে জয় ৬টিতে। তাও দেশের মাটিতে দুর্বল জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় সারির দলের বিপক্ষে। এই বছরের শুরুতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দেশের মাটিতে টেস্টে হোয়াইটওয়াশ হয় বাংলাদেশ। অন্যদিকে ১০ টি-টোয়েন্টিতে এসেছে মাত্র ৩ জয়। সবশেষ নিউজিল্যান্ড সফরে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দুই সিরিজে বাজেভাবে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে টাইগাররা। তখন থেকেই বিদায়ের সুর বাজতে শুরু করেছে কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর! যে কারণে শ্রীলঙ্কায়
টেস্ট সিরিজে বড় পরীক্ষার মুখোমুখি ছিলেন প্রধান কোচ। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে মাঠে যাদের দায়িত্ব সেই ক্রিকেটারদের ব্যর্থতার দায়ে কেন শুধু কোচই উঠবেন কাঠগড়ায়? আকরাম খানও নিজেও এককভাবে কোচকে দায়ী করতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘দেখুন ও (ডমিঙ্গো) ভালো কোচ। তার প্রোফাইল দেখে আমরা নিয়েছি। কোচের দায়িত্ব পরিকল্পনা করা, ক্রিকেটারদের ভুলগুলো নিয়ে কাজ করা, আর মানসিকভাবে প্রস্তুত রাখা। কিন্তু মাঠে খেলাটা ক্রিকেটারই খেলবেন। কোচ তো আর সেখানে
গিয়ে হাতে ধরে খেলে দিবেন না। তাই আমি এককভাবে কোচকে দায়ী করতে পারি না। তবে অনেক কিছু আছে যা আমাদের আলোচনা করতে হবে। ক্রিকেটার, টিম ম্যানেজমেন্ট সবার সঙ্গে বসতে হবে। এরপরই সিদ্ধান্ত নিবো আমরা কি করতে পারি।’
শুধু তাই নয় শুধুই কোচকে দায়ী না করে আকরাম খান নিজেদের ভুলগুলোও খুঁজতে চান বলেও জানালেন। তিনি বলেন, ‘এমন পারফরমেন্সে শুধু কোচ দায়ী হবে কেন! আমাদেরও ভুল আছে। যেমন প্রায় আমরা কোচকে সেরা দল দিতে পারছি না। ক্রিকেটারদের ইনজুরি ছাড়াও নানা সমস্যা আছে। শ্রীলঙ্কা সফরেও আমরা কিন্তু কোচকে সেরা দল দিতে পারিনি। এ ছাড়াও আমাদের কিছু ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। আমি বলতে চাইছি যদি প্রয়োজন হয়, আমরা কোচ পরিবর্তন করবো। কিন্তু নিজেদের ভুলগুলোও মনে রাখতে হবে।’
গতকাল দলের সঙ্গে দেশে ফিরে এসেছেন টাইগারদের সব বিদেশি কোচরাও। বলা হচ্ছিলো তারা ঈদের ছুটিতে চলে যাবেন নিজ নিজ দেশে। কিন্তু ১৫ থেকে ১৭ মে’র মধ্যে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল। ২৩শে মে থেকে শুরু হবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। কিন্তু কোচরা এখন দেশে ফিরে গেলে তাদের এসে ফের কোয়ারেন্টিন করতে হবে। আর সেই কারণে এবার ঈদের ছুটিতে ডমিঙ্গোদের থাকতে হচ্ছে বাংলাদেশেই। আকরাম খান বলেন, ‘আমাদের বিদেশি কোচরা তো দেশে ফিরে আসছে শ্রীলঙ্কা থেকে। না, তারা এবার ছুটিতে নিজ দেশে ফিরে যাবে না। কারণ হাতে সময় কম। শ্রীলঙ্কা দল এই মাসের তৃতীয় সপ্তাহেই চলে আসবে। এখন দেশে ফিরে গেলে কোচদের এসে কোয়ারেন্টিন করতে হবে। তাই ওরা কেউ যাচ্ছে না। এ ছাড়াও শ্রীলঙ্কা থেকে ফিরে আসা ক্রিকেটাররা যারা ওয়ানডে দলে আছেন তারা ২-১ দিন বিশ্রাম নিয়ে অনুশীলন শুরু করবে। ১০ই এপ্রিল থেকে ঈদের ছুটি, সেখান থেকে ফিরে ওয়ানডে সিরিজের জন্য চলবে জোরালোভাবে প্রস্তুতি।’
এই কোচের অধীনে ৯ টেস্টের ৭টিতে হেরেছে বাংলাদেশ। ৯ ওয়ানডে খেলে জয় ৬টিতে। তাও দেশের মাটিতে দুর্বল জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় সারির দলের বিপক্ষে। এই বছরের শুরুতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দেশের মাটিতে টেস্টে হোয়াইটওয়াশ হয় বাংলাদেশ। অন্যদিকে ১০ টি-টোয়েন্টিতে এসেছে মাত্র ৩ জয়। সবশেষ নিউজিল্যান্ড সফরে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দুই সিরিজে বাজেভাবে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে টাইগাররা। তখন থেকেই বিদায়ের সুর বাজতে শুরু করেছে কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর! যে কারণে শ্রীলঙ্কায়
টেস্ট সিরিজে বড় পরীক্ষার মুখোমুখি ছিলেন প্রধান কোচ। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে মাঠে যাদের দায়িত্ব সেই ক্রিকেটারদের ব্যর্থতার দায়ে কেন শুধু কোচই উঠবেন কাঠগড়ায়? আকরাম খানও নিজেও এককভাবে কোচকে দায়ী করতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘দেখুন ও (ডমিঙ্গো) ভালো কোচ। তার প্রোফাইল দেখে আমরা নিয়েছি। কোচের দায়িত্ব পরিকল্পনা করা, ক্রিকেটারদের ভুলগুলো নিয়ে কাজ করা, আর মানসিকভাবে প্রস্তুত রাখা। কিন্তু মাঠে খেলাটা ক্রিকেটারই খেলবেন। কোচ তো আর সেখানে
গিয়ে হাতে ধরে খেলে দিবেন না। তাই আমি এককভাবে কোচকে দায়ী করতে পারি না। তবে অনেক কিছু আছে যা আমাদের আলোচনা করতে হবে। ক্রিকেটার, টিম ম্যানেজমেন্ট সবার সঙ্গে বসতে হবে। এরপরই সিদ্ধান্ত নিবো আমরা কি করতে পারি।’
শুধু তাই নয় শুধুই কোচকে দায়ী না করে আকরাম খান নিজেদের ভুলগুলোও খুঁজতে চান বলেও জানালেন। তিনি বলেন, ‘এমন পারফরমেন্সে শুধু কোচ দায়ী হবে কেন! আমাদেরও ভুল আছে। যেমন প্রায় আমরা কোচকে সেরা দল দিতে পারছি না। ক্রিকেটারদের ইনজুরি ছাড়াও নানা সমস্যা আছে। শ্রীলঙ্কা সফরেও আমরা কিন্তু কোচকে সেরা দল দিতে পারিনি। এ ছাড়াও আমাদের কিছু ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। আমি বলতে চাইছি যদি প্রয়োজন হয়, আমরা কোচ পরিবর্তন করবো। কিন্তু নিজেদের ভুলগুলোও মনে রাখতে হবে।’
গতকাল দলের সঙ্গে দেশে ফিরে এসেছেন টাইগারদের সব বিদেশি কোচরাও। বলা হচ্ছিলো তারা ঈদের ছুটিতে চলে যাবেন নিজ নিজ দেশে। কিন্তু ১৫ থেকে ১৭ মে’র মধ্যে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল। ২৩শে মে থেকে শুরু হবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। কিন্তু কোচরা এখন দেশে ফিরে গেলে তাদের এসে ফের কোয়ারেন্টিন করতে হবে। আর সেই কারণে এবার ঈদের ছুটিতে ডমিঙ্গোদের থাকতে হচ্ছে বাংলাদেশেই। আকরাম খান বলেন, ‘আমাদের বিদেশি কোচরা তো দেশে ফিরে আসছে শ্রীলঙ্কা থেকে। না, তারা এবার ছুটিতে নিজ দেশে ফিরে যাবে না। কারণ হাতে সময় কম। শ্রীলঙ্কা দল এই মাসের তৃতীয় সপ্তাহেই চলে আসবে। এখন দেশে ফিরে গেলে কোচদের এসে কোয়ারেন্টিন করতে হবে। তাই ওরা কেউ যাচ্ছে না। এ ছাড়াও শ্রীলঙ্কা থেকে ফিরে আসা ক্রিকেটাররা যারা ওয়ানডে দলে আছেন তারা ২-১ দিন বিশ্রাম নিয়ে অনুশীলন শুরু করবে। ১০ই এপ্রিল থেকে ঈদের ছুটি, সেখান থেকে ফিরে ওয়ানডে সিরিজের জন্য চলবে জোরালোভাবে প্রস্তুতি।’