অনলাইন

ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা

চট্টগ্রামে যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে

৪ মে ২০২১, মঙ্গলবার, ৩:১৫ অপরাহ্ন

বন্দরনগরীতে করোনার যুক্তরাজ্য  ও দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন একদল গবেষক। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের এই  গবেষণা টিম  তাদের একমাস গবেষণা শেষে  এই ফলাফল জানান।
সোমবার (৩ মে) প্রতিষ্ঠানটি থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) উপাচার্য অধ্যাপক ড. গৌতম বুদ্ধ দাশের সার্বিক নির্দেশনায়  বিশ্ব্যবিদ্যালয়টির অধ্যাপক ড. পরিতোষ কুমার বিশ্বাস, অধ্যাপক ড. শারমিন চৌধুরী, ডা. ইফতেখার আহমেদ রানা, ডা. ত্রিদীপ দাশ, ডা. প্রণেশ দত্ত, ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম ও ডা. তানভীর আহমদ নিজামী এই গবেষণা চালান বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
সিভাসু থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি মূল্যায়ন করে এ গবেষণা কার্যক্রম চালানো হয়। গবেষণার অংশ হিসেবে SARS-CoV-2 বা নোভেল করোনাভাইরাসের পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকুয়েন্স (Whole Genome Sequence) বা জীবন রহস্য উন্মোচন করার জন্য ১০টি নমুনা পাঠানো হয় বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসাআইআর), ঢাকায়। এরপর বিসিএসআইআর-এর দুইজন গবেষক ড. মো. সেলিম খান ও ড. মো. মোরশেদ হাসান সরকার এ গবেষণায় যোগ দেন। তবে গবেষণাটি মূলত চট্টগ্রাম কেন্দ্রিক করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,  প্রতিষ্ঠানটির গবেষকরা ১০টি নমুনা পরীক্ষা করে কয়েকটিতে  কোভিডের  যুক্তরাজ্যের ধরনের সাদৃশ্য আছে বলে ধারণা করেন। একই সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকান ধরনও ছিল বলে  তারা মনে করছেন। এক্ষেত্রে আরও বেশি নমুনা থেকে ভাইরাসের জিনোম সিকুয়েন্স করলে প্রকৃত চিত্রটি স্পষ্ট হত। এছাড়া এই ১০টি নমুনার জিনোম সিকুয়েন্সের তথ্য পাবলিক ডাটাবেজ GISAID-এ জমা দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ১০টি নমুনার মধ্যে ছয়টিতে করোনাভাইরাসের যুক্তরাজ্যের ধরনের (ই.১.১.৭)  উপস্থিতি রয়েছে এবং তিনটিতে দক্ষিণ আফ্রিকান ধরন (ই.১.৩৫১) রয়েছে। তবে যে ধরন (ই.১.৬১৭) বর্তমানে ভারতে শনাক্ত হয়েছে, কোনো নমুনাতেই তার উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, গবেষণা কাজে বিভিন্ন বয়সের আক্রান্ত রোগীর কাছ থেকে নমুনাগুলো সংগ্রহ করা হয়। এছাড়া ওই আক্রান্ত রোগীদের পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল।

এই বিষয়ে গবেষণা টিমের সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি ও ভ্যাটেরাইন সাইন্সের শিক্ষক ড. ইফতেখারুল ইসলাম মানবজমিনকে জানান,  সাত জন শিক্ষকের দেড় মাস গবেষণা শেষে এই ফলাফল পাওয়া গেছে। তবে আরও বেশি নমুনা থেকে  ভাইরাসের জিনোম সিকুয়েন্স করলে প্রকৃত চিত্রটি স্পষ্ট হত। যদিও বিষয়টি অনেক বেশি সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল বলে জানান তরুণ  এই গবেষক।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে করোনার দ্বিতীয় চট্টগ্রামে গত এপ্রিল মাসে  সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয় । গত এপ্রিলে   এখানে  মোট শনাক্ত ছিল ৫ হাজার ২৮৪ জন। আর মারা যায় ১৩৬ জন। তবে গত দুইদিনে শনাক্তের সংখ্যা একটু কমলে মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকে। সর্বশেষ ২৪ ঘন্টায় এখানে করোনায় আরো ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status