বাংলারজমিন
বাল্য বিয়ের পর স্বামীর নির্যাতন, জীবন দিলো গৃহবধূ
বন্দর (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
৪ মে ২০২১, মঙ্গলবার, ১:০৩ অপরাহ্ন
বন্দরে এসএসসি উত্তীর্ণ এক শিক্ষার্থীর বাল্যবিবাহের ৮ বছর স্বামীর মানসিক শারীরিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে অবশেষে আত্মহত্যার পথ বেচে নিয়েছে। রেখা বেগম এক ছেলে এক মেয়ে রেখে ৫ মাসের গর্ভবতীবস্থায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আঁড়ার সঙ্গে ঝুলে ফাঁসি দিয়ে জীবন দিতে বাধ্য করে স্বামী গনি আমিন ও ভাসুর নাজির ও কালাম। সোমবার বিকালে কামতাল গ্রামের মৃত জমির আলীর বাড়িতে নিজ ঘরে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। দরজা খোলা ঘরে স্ত্রীর লাশ ঝুলন্ত দেখে বড় ভাবিকে জানিয়ে স্বামী গনি আমিন ও ভাসুর নাজির পালিয়ে যায়। পরে ভাবি ছানোয়ারা বেগম আশপাশের মানুষজনকে ডেকে এনে ঝুলন্ত অবস্থায় রেখাকে নিচে নামিয়ে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সন্ধ্যার পর পৌঁছালে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করে।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ধামগড় ইউপির কামতাল গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে রেখা আক্তার এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরপর একই গ্রামের প্রতিবেশী মৃত জমির আলীর ছেলেগনি আমিনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে গনী আমিন কাজকর্ম করতো না, নেশা করতো। পিত্রালয় থেকে টাকা এনে দেয়ার জন্য প্রতিনিয়ত চাপ সৃষ্টি করে আসছিলো। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ সৃষ্টি। এর মধ্যে এক ছেলে আব্দুল্লাহ (৭) ও মেয়ে তানজিলা (৪) দুই সন্তানের পর ফের ৫ মাসের গর্ভবতী হওয়ায় কিছুটা অসুস্থ্য থাকায় সংসারে খেয়াল কম। রোববার রাতে ঝড়বৃষ্টিতে গাছের আম পড়ে সেই আম ঘরে না আনার অজুহাতে স্বামী গনি আমিন সোমবার বিকালে রেখাকে মারধর করে। এসময় ভাসুর নাজির আলী রেখাকে মারধর করে ফকিরের মেয়ে বলে গালামন্দ করে। প্রতিনিয়ত স্বামী- ভাসুরের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে অবশেষে নিজ ঘরের আঁড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
ঘরে প্রবেশের দরজা খোলা অবস্থায় ঘরের আঁড়ায় সঙ্গে স্ত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে স্বামী গনি আমিন বড় ভাবিকে জানিয়ে বড় ভাই নাজির আলীকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে ভাবি ছানোয়ারা বেগম আশপাশের লোকজনকে ডেকে এনে রেখাকে নিচে নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সুজন বলেন, আত্মহত্যা করে মহিলা মারা গেছে বলে খবর পেয়েছি। গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্বামী-স্ত্রীর কলহ চলছিল। তবে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বুঝা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ধামগড় ইউপির কামতাল গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে রেখা আক্তার এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরপর একই গ্রামের প্রতিবেশী মৃত জমির আলীর ছেলেগনি আমিনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে গনী আমিন কাজকর্ম করতো না, নেশা করতো। পিত্রালয় থেকে টাকা এনে দেয়ার জন্য প্রতিনিয়ত চাপ সৃষ্টি করে আসছিলো। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ সৃষ্টি। এর মধ্যে এক ছেলে আব্দুল্লাহ (৭) ও মেয়ে তানজিলা (৪) দুই সন্তানের পর ফের ৫ মাসের গর্ভবতী হওয়ায় কিছুটা অসুস্থ্য থাকায় সংসারে খেয়াল কম। রোববার রাতে ঝড়বৃষ্টিতে গাছের আম পড়ে সেই আম ঘরে না আনার অজুহাতে স্বামী গনি আমিন সোমবার বিকালে রেখাকে মারধর করে। এসময় ভাসুর নাজির আলী রেখাকে মারধর করে ফকিরের মেয়ে বলে গালামন্দ করে। প্রতিনিয়ত স্বামী- ভাসুরের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে অবশেষে নিজ ঘরের আঁড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
ঘরে প্রবেশের দরজা খোলা অবস্থায় ঘরের আঁড়ায় সঙ্গে স্ত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে স্বামী গনি আমিন বড় ভাবিকে জানিয়ে বড় ভাই নাজির আলীকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে ভাবি ছানোয়ারা বেগম আশপাশের লোকজনকে ডেকে এনে রেখাকে নিচে নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সুজন বলেন, আত্মহত্যা করে মহিলা মারা গেছে বলে খবর পেয়েছি। গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্বামী-স্ত্রীর কলহ চলছিল। তবে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বুঝা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা।