কলকাতা কথকতা
কলকাতা কথকতা
হিন্দিভাষী অবাঙালিদের ভোটও বেশিরভাগ পেয়েছে তৃণমূল
জয়ন্ত চক্রবর্তী, কলকাতা
৪ মে ২০২১, মঙ্গলবার, ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কাটাছেঁড়া শুরু হয়ে গেছে। এই পোস্টমর্টেমে চাঞ্চল্যকর একটি তথ্য উঠে এসেছে- এবার ভোটে হিন্দিভাষী অবাঙালিদের ভোট বেশি পেয়েছে তৃণমূল। অথচ এই ভোট ব্যাংকের ওপর নির্ভর করেছিল বিজেপি। বারাকপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী ঘাতকের হাতে নিহত মনীষ শুক্লার বাবা ডাঃ চন্দ্রমনি শুক্লার বিরুদ্ধে প্রার্থী ছিলেন তৃণমূলের সেলিব্রিটি প্রার্থী রাজ চক্রবর্তী। রাজ হিন্দি ছবি বানান না। হিন্দি বলয়ে তাঁর প্রভাব নেই। ব্যারাকপুরের মুকুটহীন সম্রাট, বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। তবু জিতলেন রাজ চক্রবর্তী। অবাঙালি হিন্দি ভাষীরা রাজকে নয়, প্রাণ খুলে ভোট দিয়েছেন মমতাকে, তৃণমূলকে। কারণ, তাঁদের উপলব্ধি বাংলায় তাঁদের সুরক্ষিত রাখতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। উত্তর চব্বিশ পরগনার বীজপুর, নোয়াপাড়া, জগদ্দল, খড়দহ, আগারপাড়, টিটাগড় এর হিন্দিভাষী অবাঙালি ভোট পেয়েছেন মমতা। একই ভাবে হুগলির চন্দননগর, চাঁপদানি, ভদ্রেশ্বর, পুরশুরা, আরামবাগ প্রভৃতির হিন্দি ভাষী অবাঙালি ও সংখ্যালঘু ভোট গেছে তৃণমূলে। হাওড়ায় বিভাজনটা অবশ্য স্পষ্ট। অবাঙালি হিন্দুরা ভোট দিয়েছে বিজেপিকে। সংখ্যালঘু মুসলমানরা তৃণমূলকে। প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যায় দেখা যাচ্ছে তৃণমূল বিজেপির থেকে ৫৮ লাখ ৮৪ হাজার ৭১০ ভোট বেশি পেয়েছে। তৃণমূল পেয়েছে মোট ২ কোটি ৮৭ লাখ ৩৫ হাজার ৪২০ ভোট। আর বিজেপি পেয়েছে ২ কোটি ২৮ লাখ ৫০ হাজার ৭১০ ভোট। শতাংশের হিসেবে তৃণমূল ৪৭.৯ শতাংশ। বিজেপি পেয়েছে ৩৮.১ শতাংশ। সিপিএম মোট ভোট পেয়েছে ২৮ লাখ ৩৭ হাজার ২৩৬ টি। অর্থাৎ ৪.৭০ শতাংশ। কংগ্রেসের প্রাপ্ত ভোট আরো কম, মোট ১৭ লাখ ৫৭ হাজার ১৩১ টি। নোটায় এবার ভোট পড়েছে ৬ লাখ ৪৬ হাজার ৮২৭ টি। মোট ভোটারদের ১.১ শতাংশের কোনো প্রার্থীকেই পছন্দ হয় নি।