খোশ আমদেদ মাহে রমজান

নাজাতের দশক

মাওলানা এম এ করিম ইবনে মছব্বির

৩ মে ২০২১, সোমবার, ৯:১৮ অপরাহ্ন

১৪৪২ হিজরির একুশ রোজা আজ। মাহে রমজানের শেষ দশকে নাজাত দিবসের বদৌলতে যেমন রোজা পালনকারী ব্যক্তির মাতা-পিতাকে দোজখের আগুন থেকে নাজাত দেয়া হয়, এমন কি নাজাতের দশকে কোন রোজা পালনকারী ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করলে সেও দোজখ থেকে মুক্তি পায়। ঠিক তদ্রূপ মাহে রমজানের রোজা এবং রোজার শেষে আল্লাহর কয়েকটি নির্দেশনাবলী মেনে চলতে পারলে দুনিয়া ও আখেরাতের অনেক আজাব থেকেও নাজাত পাওয়া যায়। পবিত্র মাহে রমজান মানুষের জীবনকে সম্পূর্ণ ভাবে আত্মসংযমের অনুশীলন করতে রমজান উদ্যমী ভূমিকা পালন করে। রমজান মাস মানব জীবনকে পাপ ও পঙ্কিলতামুক্ত জীবন পরিচালনা করতে সহায়তা করে। রমজানের প্রথমদিক থেকেই আমরা মহান আল্লাহর আদেশ ও নিষেধের সকল বাণীসমূহকে ফলোআপ করে আত্মসংযমী হওয়ার চেষ্টা করি। পবিত্র কোরআনুল করিমে সূরায়ে হুযরাতে মহান আল্লাহর ঘোষণা- ফাতাবাইয়ানু, অর্থাৎ বর্ণনা বা বয়ানের আদেশ, নিষেধসমূহকে মেনে চলা। এবং ফাআছলিহু, অর্থাৎ মুসলমানদের মধ্যে ছুলেহ বা আপোষ মীমাংসা করা। ওয়া আকছিতু,অর্থাৎ ইনছাফ বা ন্যায়ভিত্তিক কাজ করা। লা ইয়াছখারু, অর্থাৎ একে অন্যকে নিয়ে মজাক, ঠাট্টা না করা। ওয়ালা তালমিজু,অর্থাৎ একে অন্যের প্রতি স্ক্যান্ডাল বা বদনাম অথবা দুর্নাম না করা। ওয়ালা তানাবারু বিল আলকাব। অর্থাৎ খারাপ উপাধিতে কাউকে ভূষিত না করা। লা ইয়াগতাব, অর্থাৎ একে অন্যর গীবত না করা। লা তাজাছ্‌ছাছু। অর্থাৎ কারো ঠোঁটের মাঝে না উঠা, যেমন, একজনকে খুশি করার জন্য অন্যজনকে মন্দ বলে ঠোঁটে না উঠা। ইযতানিবু কাছিরাম মিনায জান্নি। অর্থাৎ বদ, খারাপ সন্দেহ থেকে বেঁচে থাকা। পবিত্র রমজান মাসে পবিত্র কোরআনের উপর উল্লিখিত নির্দেশনা মেনে চলাই হবে উত্তম পন্থা। মহান আল্লাহ পাক আমাদিগকে উপরোল্লিখিত দোষত্রুটি থেকে বেঁচে থাকার তওফিক দান করুন। আমীন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status