বাংলারজমিন
যশোর হাসপাতাল থেকে পালানো সেই আমিরুলের ছেলেরও করোনা পজেটিভ
খুলনায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে শঙ্কা
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
৪ মে ২০২১, মঙ্গলবার, ৮:৩৯ অপরাহ্ন
ভারত থেকে করোনা আক্রান্ত হয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে পালিয়ে আসা খুলনার পাইকগাছার সেই আমিরুল ইসলাম সানার ছেলে আরিফের (১৩) এবার করোনা পজেটিভ। পাইগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ফেসবুক পেজে ভারতফেরত করোনা আক্রান্ত রোগীর ছেলে করোনায় সংক্রমিত হবার খবরে এলাকায় করোনাভাইরাসের ভারত ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এদিকে, কিশোর আরিফ করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরনে সংক্রমিত কি না, সেটা খতিয়ে দেখতে রোববার দুপুরে পুনরায় তার নমুনা সংগ্রহ করেছে খুলনা সিভিল সার্জন অফিস। গতকাল সে নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. আরিফ আহম্মেদ বলেন, গত ১৮ই এপ্রিল ভারতফেরত একজন, ২৩শে এপ্রিল পাঁচজন ও ২৪শে এপ্রিল একজন মোট ৭ জন যশোর জেনারেল হাসপাতালে আসেন। এদের করোনা পজেটিভ হওয়ায় তাদের হাসপাতালের তৃতীয় তলায় করোনা ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। ভর্তির টিকিট ওয়ার্ডে পৌঁছেছে, কিন্তু রোগীরা সেখানে যাননি। হাসপাতালে থাকতে হবে বলে সেখান থেকে তারা পালিয়ে যান। গত ২৫শে এপ্রিল বিষয়টি জানা যায় এই সাতজনের মধ্যে খুলনার দু’জন। তারা হলেন- পাইকগাছা উপজেলার ধামরাইল গ্রামের আমিরুল ইসলাম সানা (৫২) ও রূপসা উপজেলার সোহেল সরদার (১৭)। স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে তাদেরকে খোঁজ করে আবারো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তারা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে সরাসরি বাড়ি ফিরে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গেই স্বাভাবিকভাবে বসবাস করছিলেন বলে জানা গেছে। সে কারণে পাইকগাছার আমিরুল ইসলাম সানার ছেলে যে ভারত ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমিত নন, সেটা নিশ্চিত করে এখন বলা যায় না। যশোরের সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন বলেন, ভারত থেকে আসা সাতজন করোনা পজেটিভ রোগী হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। পালিয়ে যাওয়া রোগীদের ব্যাপারে নিজ নিজ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সিভিল সার্জনের কাছে চিঠি দেয়ায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের পুনরায় হাসপাতালে ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে তারা অন্যদের যে সংক্রমিত করিনি, সেটার নিশ্চয়তা কে দেবে?
হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায় বলেন, পালিয়ে যাওয়া ৭ জন করোনা রোগীকে হাসপাতালে ফেরত আনা হয়েছে। হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে তাদের চিকিৎসা চলছে। তাদের অবস্থা স্থিতিশীল।
পাইকগাছার নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, ‘উপজেলার ধামরাইল গ্রামের ভারতফেরত আমিরুল ইসলাম সানার ছেলে আরিফ (১৩) করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। গত রোববার মধ্যরাতে বিষয়টি জানতে পেরেছি। ধারণা করছি- পশ্চিমবঙ্গের ধরনটায় সে সংক্রমিত হয়েছে। তার পরিবারের সদস্যদের লকডাউন করে দিয়েছি। এখন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেই তাদের খাদ্য সরবরাহ করছি। বিষয়টি নিয়ে আমরাও চিন্তিত।’
খুলনা সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, ভারতফেরত আমিনুল সানার ছেলের করোনা পজেটিভ এসেছে। আমরা রোববার আবার নমুনা সংগ্রহ করেছি। এই নমুনাটি পরীক্ষা করা হবে-করোনার ধরনটি ভারতীয় কি না, সেটা নিশ্চিত হবার জন্যই। আতঙ্কিত হবার কিছুই নেই, পাইকগাছার ওই বাড়িটি এখন সম্পূর্ণ লকডাউনে রয়েছে।
এদিকে করোনা মহামারির মধ্যেও মোংলা বন্দরে স্বাভাবিকভাবে চলছে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। ভারত থেকে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে বন্দরে আসছে ভারতীয় লাইটার ও কার্গো জাহাজ। নাবিকরা স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই বিভিন্ন অজুহাতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন মোংলা বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায়।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. আরিফ আহম্মেদ বলেন, গত ১৮ই এপ্রিল ভারতফেরত একজন, ২৩শে এপ্রিল পাঁচজন ও ২৪শে এপ্রিল একজন মোট ৭ জন যশোর জেনারেল হাসপাতালে আসেন। এদের করোনা পজেটিভ হওয়ায় তাদের হাসপাতালের তৃতীয় তলায় করোনা ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। ভর্তির টিকিট ওয়ার্ডে পৌঁছেছে, কিন্তু রোগীরা সেখানে যাননি। হাসপাতালে থাকতে হবে বলে সেখান থেকে তারা পালিয়ে যান। গত ২৫শে এপ্রিল বিষয়টি জানা যায় এই সাতজনের মধ্যে খুলনার দু’জন। তারা হলেন- পাইকগাছা উপজেলার ধামরাইল গ্রামের আমিরুল ইসলাম সানা (৫২) ও রূপসা উপজেলার সোহেল সরদার (১৭)। স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে তাদেরকে খোঁজ করে আবারো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তারা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে সরাসরি বাড়ি ফিরে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গেই স্বাভাবিকভাবে বসবাস করছিলেন বলে জানা গেছে। সে কারণে পাইকগাছার আমিরুল ইসলাম সানার ছেলে যে ভারত ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমিত নন, সেটা নিশ্চিত করে এখন বলা যায় না। যশোরের সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন বলেন, ভারত থেকে আসা সাতজন করোনা পজেটিভ রোগী হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। পালিয়ে যাওয়া রোগীদের ব্যাপারে নিজ নিজ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সিভিল সার্জনের কাছে চিঠি দেয়ায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের পুনরায় হাসপাতালে ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে তারা অন্যদের যে সংক্রমিত করিনি, সেটার নিশ্চয়তা কে দেবে?
হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায় বলেন, পালিয়ে যাওয়া ৭ জন করোনা রোগীকে হাসপাতালে ফেরত আনা হয়েছে। হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে তাদের চিকিৎসা চলছে। তাদের অবস্থা স্থিতিশীল।
পাইকগাছার নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, ‘উপজেলার ধামরাইল গ্রামের ভারতফেরত আমিরুল ইসলাম সানার ছেলে আরিফ (১৩) করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। গত রোববার মধ্যরাতে বিষয়টি জানতে পেরেছি। ধারণা করছি- পশ্চিমবঙ্গের ধরনটায় সে সংক্রমিত হয়েছে। তার পরিবারের সদস্যদের লকডাউন করে দিয়েছি। এখন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেই তাদের খাদ্য সরবরাহ করছি। বিষয়টি নিয়ে আমরাও চিন্তিত।’
খুলনা সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, ভারতফেরত আমিনুল সানার ছেলের করোনা পজেটিভ এসেছে। আমরা রোববার আবার নমুনা সংগ্রহ করেছি। এই নমুনাটি পরীক্ষা করা হবে-করোনার ধরনটি ভারতীয় কি না, সেটা নিশ্চিত হবার জন্যই। আতঙ্কিত হবার কিছুই নেই, পাইকগাছার ওই বাড়িটি এখন সম্পূর্ণ লকডাউনে রয়েছে।
এদিকে করোনা মহামারির মধ্যেও মোংলা বন্দরে স্বাভাবিকভাবে চলছে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। ভারত থেকে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে বন্দরে আসছে ভারতীয় লাইটার ও কার্গো জাহাজ। নাবিকরা স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই বিভিন্ন অজুহাতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন মোংলা বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায়।