বাংলারজমিন
মাটির ব্যাংকের জমানো টাকায় হতদরিদ্রদের ইফতার বিতরণ
মো. শরিফুল হক শাহীন, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) থেকে
৪ মে ২০২১, মঙ্গলবার, ৮:২০ অপরাহ্ন
রোদেলা ও মেহেলী। দুই বোন। তিল তিল করে মাটির ব্যাংকে সঞ্চয় করেছিল কিছু টাকা। কিন্তু তাদের পিতা সংবাদকর্মী সাইফুল ইসলাম রয়েল সেই টাকা দিয়ে ৫০টি অসহায় হতদরিদ্র পরিবারকে রমজানে ইফতার সামগ্রী কিনে দিয়েছেন। পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর শহরের এ বাসিন্দা গত কয়েক দিন ধরে অতিদরিদ্র মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে এসব খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন। জানা গেছে, রোদেলা ও মেহেলীা পিতা রয়েল বেসরকারি একটি টেলিভিশনে কালাপাড়া প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত রয়েছে। বৈশ্বিক মহামারি করানোয় পরিস্থিতিতে এলাকার মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এছাড়া গৃহবন্দি হয়ে পড়ে হতদরিদ্র পরিবার। কাজ কর্ম না থাকায় অনেকেরই ইফতার কিনে খাওয়ার মতো সামর্থটুকুও নেই। এ বিষয় নিয়ে ঘরে বসে তার স্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে মানুষের দুরবস্থার কথা। এ সময় তিনি বলেন, আমার যদি টাকা থাকতো তাহলে এই মুহূর্তে অসহায় মানুষকে মাহে রমজানের ইফতার সামগ্রী কিনে দিতাম। কথাগুলো শুনতে পায় তার দুই মেয়ে রোদেলা ও মেহেলী। সঙ্গে সঙ্গেই দু’টি মাটির ব্যাংক তাদের বাবার কাছে হাজির হয়। তারা বলে বাবা এর মধ্যে জমানো কিছু টাকা আছে। এ টাকা দিয়ে ওইসব মানুষকে ইফতার সামগ্রী কিনে দিতে পারবে। সেই মাটির ব্যাংক ভেঙে পাওয়া যায় ৩৭২৪ টাকা। এই টাকার সঙ্গে তার কিছু টাকা যুক্ত করে ইফতার সামগ্রী কিনে মানুষের দুয়ারে গিয়ে পৌঁছে দিয়েছেন। সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম রয়েল-এর বড় মেয়ে রোদেলা জানায়, করোনা পরিস্থিতিতে অনেকেরই ইফতার সামগ্রী কেনার সামর্থ নেই। আর আমার বাবা মানুষের কষ্ট সইতে পারেন না। তাই আমাদের দুই বোনের দুই মাটির ব্যাংক বাবার হাতে দিয়েছি। এতে জমানো টাকা ছিল। সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম রয়েল বলেন, মেয়েদের জমানো টাকা দিয়েই প্রায় ৫০ অতিদরিদ্র পরিবারকে ইফতার সামগ্রী দিতে পেরেছি। প্রতিটি পরিবারকে এক কেজি মুড়ি, এক কেজি ছোলা বুট, এক কেজি চিড়া, এক কেজি চিনি, ৫০০ গ্রাম খেজুর ও এক প্যাকেট ট্যাং দেয়া হয়েছে।